ইসলামবিরোধী ‘পেগিডা’ আন্দোলনের সমালোচনায় মের্কেল
তার
দেশ শরণার্থীদের গ্রহণ করা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন জার্মান
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল। একই সঙ্গে তিনি ইসলামবিরোধী পেগিডা
আন্দোলনেরও সমালোচনা করেছেন৷ নববর্ষের বার্তায় জাতির উদ্দেশে মের্কেল বলেন,
‘‘যাদের সহায়তা প্রয়োজন জার্মানি তাদের সহায়তা করবে৷'' তিনি জানান, ২০১৪
সালে জার্মানি আশ্রয়প্রার্থীদের কাছ থেকে দুই লাখের বেশি আবেদন পেয়েছে, যা
বিশ্বে সর্বোচ্চ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০১৪ সালই সবচেয়ে বেশি শরণার্থী
দেখেছে বলে জানান জার্মান চ্যান্সেলর৷ মের্কেল বলেন, “নির্যাতনের শিকার
মা-বাবার সন্তানেরা জার্মানিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারবে – এ
জন্য জার্মানি গর্ব করতে পারে৷” সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির কয়েকটি শহরে
ইসলামবিরোধী পেগিডা (প্যাট্রিয়টিক ইউরোপিয়ানস অ্যাগেনস্ট দ্য ইসলামাইজেশন
অব অক্সিডেন্ট) আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এর সমালোচনা করে মের্কেল জার্মান
নাগরিকদের এ ধরনের কর্মসূচি থেকে নিজেদের দূরে রাখার আহ্বান জানান৷ তিনি
বলেন, “এ ধরনের কর্মসূচি বিভিন্ন বর্ণ ও ধর্মের মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক
আচরণ৷” তার দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, “আপনারা এই
আন্দোলনের আয়োজকদের অনুসরণ করবেন না৷ তারা শীতল হৃদয়ের অধিকারী এবং তাদের
মন প্রায়ই পক্ষপাতদুষ্ট ও ঘৃণায় পূর্ণ।” ইসলামিক স্টেট-এর জঙ্গিরা বিশ্বের
জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠছে বলে সবাইকে সতর্ক করে দেন মের্কেল৷ তিনি বলেন,
“এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি সব শ্রেণির মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, আর যারা
তাদের বিরোধিতা করেছে তাদের হত্যা করেছে৷ আইএস আমাদের মূল্যবোধের জন্যও
হুমকি।” মের্কেল তার নববর্ষের বার্তায় ইউরোপ-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়েও কথা
বলেন৷ ইউক্রেন সংকটের কারণে ইউরোপ বিভক্ত হবে না বলে মন্তব্য করে তিনি
বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে নয়, বরং দেশটিকে সঙ্গে নিয়েই নিরাপদ ইউরোপ
গড়তে চায় জার্মানি।
No comments