ফলের ভিত্তিতে ভর্তি বাতিল
শিক্ষকের বাড়তি অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে শুধু এ ইস্যুতে আটকে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি। দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোর বিরোধিতায় গত কয়েক বছর ধরে আটকে আছে এ পদ্ধতি কার্যকরের প্রক্রিয়া। এ পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে বুধবার আরেকটি প্রস্তাব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে ভর্তির প্রস্তাব দেয় গুটি কয়েক কর্মকর্তা। শিক্ষামন্ত্রী বিষয় না জেনে স্বাক্ষর করার একদিন পরই তা প্রত্যাহার করে নিল শিক্ষামন্ত্রণালয়। গতকাল শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ ধরনের পদ্ধতি চালু হলে প্রকৃত মেধাবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ফলের ভিত্তিতে ভর্তির বিষয়টি বাতিল করেছি। এর আগে বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি নির্দেশ দেয়। এ সংত্রুান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বুধবার দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর একদিন পরই তা বাতিল করেছে।
সম্প্রতি হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটিজ এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)-এর একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ভর্তি মওসুমে একজন শিক্ষক ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নানাভাবে আয় করে থাকেন। গুচ্ছভর্তি হলে সেই আয়ের পথ বন্ধ হবে। শিক্ষকদের এ সুবিধা আর শঙ্কার বলি হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এজন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পদ্ধতির পেছনে লেগে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করানো হবে এ ধরনের কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল ছিলাম না। তিনি বলেন, আমাদের দাবি ছিল গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি, সময় ও অর্থের অপচয় রোধ করতে এ পদ্ধতি এখন সময়ে দাবি। কিন্তু কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোর বিরোধিতায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অতিরিক্ত পরিচালক ফেরদৌস জামান মানবজমিনকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে আমাদের উদ্যোগ অনেক দিন আগের। কিন্তু এটি কেবল মিটিং পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাধাই এখানে মূল সমস্যা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল ভর্তি জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। এটি রোধ করতে কার্যত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তাই আগামী বছর থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অভিন্ন একটি পদ্ধতির জোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু ঢাবি, রাবি, চবি, বুয়েটসহ কয়েকটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতির ঘোর বিরোধিতা করে আসছে। এ পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে বুধবার সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি দাবি উত্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশে। বিষয়টি স্বীকার করে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এটি হুট করে করার বিষয় না। ভেবেচিন্তে, গবেষণা করে করতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, চলমান পদ্ধতিতে লাভবান কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে ওই ফাইলে মন্ত্রীর স্বাক্ষর নেয়া হয়। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ফাইল তলব করে তা স্থগিত করেন। আরও আলোচনা ও যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ওই ফাইলে নোট দিয়েছেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটিজ এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)-এর একটি প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ভর্তি মওসুমে একজন শিক্ষক ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নানাভাবে আয় করে থাকেন। গুচ্ছভর্তি হলে সেই আয়ের পথ বন্ধ হবে। শিক্ষকদের এ সুবিধা আর শঙ্কার বলি হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এজন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পদ্ধতির পেছনে লেগে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করানো হবে এ ধরনের কোন সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল ছিলাম না। তিনি বলেন, আমাদের দাবি ছিল গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি, সময় ও অর্থের অপচয় রোধ করতে এ পদ্ধতি এখন সময়ে দাবি। কিন্তু কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোর বিরোধিতায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অতিরিক্ত পরিচালক ফেরদৌস জামান মানবজমিনকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে আমাদের উদ্যোগ অনেক দিন আগের। কিন্তু এটি কেবল মিটিং পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাধাই এখানে মূল সমস্যা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল ভর্তি জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। এটি রোধ করতে কার্যত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তাই আগামী বছর থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অভিন্ন একটি পদ্ধতির জোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু ঢাবি, রাবি, চবি, বুয়েটসহ কয়েকটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতির ঘোর বিরোধিতা করে আসছে। এ পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে বুধবার সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি দাবি উত্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশে। বিষয়টি স্বীকার করে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এটি হুট করে করার বিষয় না। ভেবেচিন্তে, গবেষণা করে করতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, চলমান পদ্ধতিতে লাভবান কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে ওই ফাইলে মন্ত্রীর স্বাক্ষর নেয়া হয়। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ফাইল তলব করে তা স্থগিত করেন। আরও আলোচনা ও যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ওই ফাইলে নোট দিয়েছেন মন্ত্রী।
No comments