ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
দেশের
ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনে যে কোন ধরনের সহিংসতা ও
ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বর্তমান রপ্তানি
প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে আগামী ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের
দেশে উন্নীত হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ২০তম ঢাকা
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০১৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত মাসব্যাপী এই মেলার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি
কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে তৈরী পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সরকারের সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বলেন, এটা উচ্চাভিলাষী মনে হলেও আমি মনে করি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে আপনারা অরাজকতা দেখেছেন। মাত্র দু’দিন আগে তারা একজন স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেছে। অপর একজন স্কুল শিক্ষকের ওপর পেট্রল বোমা ছুড়ে হামলা চালিয়েছে। তার এক সন্তান এতে গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি এ ধরনের অরাজকতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ব্যবসায়ী সমপ্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, জনগণ এ ধরনের সন্ত্রাস পছন্দ করে না। তারা শান্তি ও উন্নয়ন চায়। তিনি বলেন, সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাণিজ্য সমপ্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যবসায়ী সমাজ ও সরকারকে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বিশ্ব বাণিজ্য অধিকতর উদারীকরণের মাধ্যমে বাণিজ্য সমপ্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এসব পদক্ষেপ একদিকে আমাদের সামনে যেমন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, তেমনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জেরও সৃষ্টি করছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে বাণিজ্য সমপ্রসারণে নতুন বাজার খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী সমপ্রদায় ও সরকারকে নতুন কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
বর্তমানে আমরা ৭২৯টি পণ্য বিশ্বের ১৯২টি দেশে রপ্তানি করছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০.১২ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.১৯ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ ৩গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ বছরে আমাদের রপ্তানির গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ১৪.৯০ ভাগ। আমাদের প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জন ছিল ঈর্ষণীয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বৃদ্ধির জন্য দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী জুনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পরে এটিকে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের উৎপাদন বন্ধ করে দেশের চাকা পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন বাড়িয়ে এ সমস্যা সমাধান করেছি। পাশাপাশি সোলার, বায়োগ্যাস ইত্যাদি ব্যবস্থাসহ পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেনারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ভারত থেকেও বিদ্যুৎ এনেছি। পরে প্রধানমন্ত্রী পাশের মেলা প্রাঙ্গণের কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশকে এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। এখন আর কেউ এ কথা বলতে পারবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে তৈরী পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সরকারের সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বলেন, এটা উচ্চাভিলাষী মনে হলেও আমি মনে করি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে আপনারা অরাজকতা দেখেছেন। মাত্র দু’দিন আগে তারা একজন স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেছে। অপর একজন স্কুল শিক্ষকের ওপর পেট্রল বোমা ছুড়ে হামলা চালিয়েছে। তার এক সন্তান এতে গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি এ ধরনের অরাজকতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে ব্যবসায়ী সমপ্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, জনগণ এ ধরনের সন্ত্রাস পছন্দ করে না। তারা শান্তি ও উন্নয়ন চায়। তিনি বলেন, সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাণিজ্য সমপ্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যবসায়ী সমাজ ও সরকারকে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বিশ্ব বাণিজ্য অধিকতর উদারীকরণের মাধ্যমে বাণিজ্য সমপ্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এসব পদক্ষেপ একদিকে আমাদের সামনে যেমন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, তেমনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জেরও সৃষ্টি করছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে বাণিজ্য সমপ্রসারণে নতুন বাজার খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী সমপ্রদায় ও সরকারকে নতুন কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
বর্তমানে আমরা ৭২৯টি পণ্য বিশ্বের ১৯২টি দেশে রপ্তানি করছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০.১২ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.১৯ বিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ ৩গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ বছরে আমাদের রপ্তানির গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ১৪.৯০ ভাগ। আমাদের প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি অর্জন ছিল ঈর্ষণীয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বৃদ্ধির জন্য দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী জুনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পরে এটিকে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের উৎপাদন বন্ধ করে দেশের চাকা পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদন বাড়িয়ে এ সমস্যা সমাধান করেছি। পাশাপাশি সোলার, বায়োগ্যাস ইত্যাদি ব্যবস্থাসহ পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেনারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ভারত থেকেও বিদ্যুৎ এনেছি। পরে প্রধানমন্ত্রী পাশের মেলা প্রাঙ্গণের কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশকে এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। এখন আর কেউ এ কথা বলতে পারবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।
No comments