‘ওয়ান মাইল স্কয়ার’ প্রদর্শনী শুরু
(পুরান
ঢাকার ১৬টি স্থানে আজ শুরু হচ্ছে ‘ওয়ান মাইল স্কয়ার’ নামের বিশেষ
শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। গতকাল বিউটি বোর্ডিংয়ে স্থাপনাকর্ম করেন শিল্পী
সুলেখা চৌধুরী l ছবি: প্রথম আলো) রাজধানীর
পুরান ঢাকায় ‘ওয়ান মাইল স্কয়ার’ নামের বিভিন্ন শিল্পমাধ্যমের
ব্যতিক্রমী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায়
পুরান ঢাকার এক বর্গমাইল এলাকার ১৬টি স্থানে একযোগে শুরু হয় এই শিল্পকর্ম
প্রদর্শনী। শিল্পীদের সংগঠন বৃত্ত আর্ট ট্রাস্টের আয়োজনে ও
নেদারল্যান্ডসের সংস্থা আর্টস কোলাবরেটরির সহায়তায় এ ১৬টি স্থানে ৪০ জন
শিল্পী সারা দিন ধরে শিল্পকর্ম রচনা করবেন। পুরান ঢাকার পরিবেশ, সাংস্কৃতিক
ঐতিহ্যের ক্ষয়িষ্ণুতা ও রূপান্তরের প্রক্রিয়া নিয়েই আয়োজন করা হয়েছে
এই বিশাল শিল্পকর্মযজ্ঞ। চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। আয়োজনটি হচ্ছে
দ্বিতীয়বারের মতো। প্রথম হয়েছিল ২০০৯ সালে। জানা গেছে, এই শিল্পকর্ম
প্রদর্শনীতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে স্থাপনাকর্মের ওপর। তবে এর পাশাপাশি
থাকছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, পারফরম্যান্স আর্ট, ভিডিও, চলচ্চিত্র,
চিত্রকলা, অ্যানিমেশনসহ অনেক রকম মাধ্যমের কাজ। বাহাদুরশাহ পার্ক, পোগজ
স্কুল, পাটুয়াটুলী, বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা), বিউটি বোর্ডিং,
ঈশ্বর দাস লেন, জুবিলী স্কুল মার্কেট, লালকুঠি, ফরাশগঞ্জ অরফানেজ, রূপলাল
হাউস, শ্যামবাজার, রূপলাল দাস লেন, পাঁচবাড়ি, ঢাকা কেন্দ্র, মালাকা টোলা ও
শ্যামবাজার ঘাটে শিল্পকর্মগুলো রচনার কাজ শুরু হয়েছে। সবার জন্য উন্মুক্ত
থাকবে শিল্পসুষমামণ্ডিত এই এক বর্গমাইল।
গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজনের সমন্বয়কারী শিল্পী তাইয়েবা বেগম জানান, এক মাস ধরে এ আয়োজনের জন্য একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হয়েছে। এতে ৪০ জন শিল্পী ও দুজন গবেষক কাজ করছেন। পুরান ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায় তাঁরা বেশ কয়েক দফা ঘুরে স্থান নির্বাচন করেছেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে পুরান ঢাকার সমস্যা, সম্ভাবনা, সংরক্ষণ এসব নিয়ে তাঁদের অভিমত নিয়েছেন। এ ছাড়া গ্রিন রোডের বৃত্ত আর্ট ট্রাস্ট কার্যালয়ে ‘পুরোনো ঢাকা: ঐতিহ্য পরিবর্তন এবং উদ্ধার’ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এতে অংশ নেন নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির ও স্থপতি সালমা শফি। এসবের ভিত্তিতেই বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণের সঙ্গে শিল্পকলার সম্পর্ক নিবিড় করে তোলার মধ্য দিয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজনের সমন্বয়কারী শিল্পী তাইয়েবা বেগম জানান, এক মাস ধরে এ আয়োজনের জন্য একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হয়েছে। এতে ৪০ জন শিল্পী ও দুজন গবেষক কাজ করছেন। পুরান ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায় তাঁরা বেশ কয়েক দফা ঘুরে স্থান নির্বাচন করেছেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে পুরান ঢাকার সমস্যা, সম্ভাবনা, সংরক্ষণ এসব নিয়ে তাঁদের অভিমত নিয়েছেন। এ ছাড়া গ্রিন রোডের বৃত্ত আর্ট ট্রাস্ট কার্যালয়ে ‘পুরোনো ঢাকা: ঐতিহ্য পরিবর্তন এবং উদ্ধার’ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এতে অংশ নেন নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির ও স্থপতি সালমা শফি। এসবের ভিত্তিতেই বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণের সঙ্গে শিল্পকলার সম্পর্ক নিবিড় করে তোলার মধ্য দিয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
No comments