দুর্ভাগ্যের কারণেও ক্যানসার হতে পারে
বংশগত বা পরিবেশগত কারণে নয়, ‘দুর্ভাগ্যের’ কারণেও অনেক সময় ক্যানসার হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এক গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে এ দাবি করেছেন। সায়েন্স সাময়িকীর সাম্প্রতিক সংখ্যায় গবেষণাবিষয়ক এই নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। খবর এএফপির। গবেষণায় গবেষকেরা মানব টিস্যুর বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের পরিসংখ্যানিক মডেল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তবে নারীর স্তনের ক্যানসারের বেলায় বিজ্ঞানীদের এই মতামত প্রযোজ্য নয়। নারীরা সবচেয়ে বেশি এই ক্যানসারেই আক্রান্ত হন। পুরুষের মূত্রাশয়ের ক্যানসারের বিষয়টিও হিসাবের বাইরে রাখা হয়েছে। ত্বকের ক্যানসারের পরই এ ক্যানসারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন পুরুষ। গবেষকদের তথ্যমতে, পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের বেলায় দেখা গেছে, তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশ ক্যানসারের কারণ জিনগত অবিরত রূপান্তর। এটি টিউমার সৃষ্টি হতে ইন্ধন জোগায়। এক-তৃতীয়াংশের বেলায় পরিবেশগত ও বংশানুক্রমিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ক্যানসার দেখা দেয়। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বার্ট ভগেলস্টেইনন তাঁর গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে যে ধূমপান বা অন্য কোনো বদঅভ্যাসের কারণেও ক্যানসারের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘জীবনযাপনের রীতি ও বংশগত বৈশিষ্ট্য ছাড়াও স্রেফ দুর্ভাগ্যের কারণে অনেক ক্যানসারই হতে পারে।’
No comments