সন্ধ্যা নামতেই সরব হয়ে ওঠে চট্টগ্রামের ১০০ স্পট by মহিউদ্দীন জুয়েল
চট্টগ্রামের বন-জঙ্গল আর সাগরের পাড়ে বছরের শেষ দিনের চিত্র ছিল ব্যতিক্রম। কারণ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা অন্তত কয়েক শ’ প্রেমিক যুগল ছিল প্রেয়সীদের আনন্দঘন মুহূর্তে। যদিও সন্ধ্যা নামার পরপরই তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ সদস্যরা। তারপরও বাধা থামাতে পারেনি এসব যুবক-যুবতীদের মিলনে। চট্টগ্রাম শহরের ফয়’স লেক ও খুলশীর আশপাশের এলাকায় অন্তত ১০০ রেস্টুরেন্ট ও হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলের সব ক’টিতেই ছিল গান, ব্যান্ডশো, ডিস্কো আর ডিজে। চলেছে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে সূর্য ডোবার আগে বিকালের চিত্র ছিল পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। এখানে গড়ে ওঠা ৫০টি মিনিট টংয়ের প্রেমলীলায় প্রেম জমে ওঠে দিনভর। প্রিয় মানুষকে নিয়ে একান্তে সময় কাটাতে বেশির ভাগ প্রেমিক-প্রেমিকা ছিল এদিন নিজের মতো করে। তাই খাবার-দাবারের আয়োজনে মদ, বিয়ার আর হুইস্কির কমতি ছিল না। নেভাল একাডেমির পাড় আর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ঝাউবাগানের পাড়ে মেলা বসেছিল অন্তত ১০০০ প্রেমিক-প্রেমিকার।
তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেছেন প্রকাশ্যে। চুমু দিয়েছেন কপালে, ঠোঁটে। হাত রেখেছেন নরম স্পর্শে। দৃশ্য দেখে সাগর পাড়ে ভিড় করা কয়েক শ’ লোক তাকিয়ে ছিলেন অবাক চোখে। হুইস্কি ব্যবসায়ী আবদুল মতিন বলেন, প্রতি বছরের এই দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষা করি। তবে ছেলে মেয়েরা বিয়ার খেতে বেশি পছন্দ করে। পুরো একদিনে তার আয় ৫০,০০০ টাকা বলে তিনি জানান। এর বেশির ভাগই অর্ডার নেয়া।
নগরীর ফয়’স লেকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিকালের আলো কমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে প্রেমিক যুগলের ভিড়। কেউ গাছের আড়ালে, হেলান দিয়ে, প্রেমিকার কোলে মাথা রেখে স্বপ্ন বুনতে ব্যস্ত। এখানকার বেশির ভাগ প্রেমিক যুগল ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া। নয়তো সদ্য প্রেমে পড়া। এখানকার একাধিক চাইনিজ রেস্টুুরেন্টে রাত ১১টা পর্যন্ত ভেতরের প্রতিটি কক্ষে ছিল প্রেমিক যুগলরা। বছরের শেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে রাতে এসব হোটেলে ছিল দিনভর গান বাজনা। প্রতিটি আসন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে চাইলে শুয়ে বসে ইচ্ছেমতো আড্ডা দেয়া যাবে। তবে অনেকে প্রতারিত হওয়ার ভয়ে সেখানে যাননি। ড্রিমস নামের একটি দোকানের মালিক বলেন, কি করবো ভাই। এগুলো যুগের চাহিদা। ছেলেমেয়েরা এখানে আসে। তাদের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। আমরা তেমন কাউরে ঠকাই না। রাতে নগরীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ডিস্কো ও ডিজের আয়োজন করা হয়। এসব আয়োজেনে শহরের বিভিন্ন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজনকে অংশ নিতে দেখা যায়। ইংরেজি ও হিন্দি গানের তালে তালে সেখানে উন্মাতাল নাচ দেখা যায় ছেলে মেয়েদের। এসব আয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, আমেরিকা, আয়ারল্যান্ডের অনেক বিদেশীকেও নাচতে দেখা যায়।
চট্টগ্রামের পরিচিত মুখ ডিজে রিফাত বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট চট্টগ্রামে বরাবরই ব্যতিক্রম। সারা শহরই ব্যস্ত থাকে। তবে এখন হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ছেড়ে আয়োজনটি চলে গেছে অভিজাত বাড়িতে। দেখা যাচ্ছে সেখানে কয়েক শ’ লোক জড়ো হয়ে মিলেমিশে একাকার। তবে খারাপ কাটেনি ডিজে পারফরমারদের। হিন্দি গানের চাহিদা ছিল বেশি। শহরের অভিজাত হোটেল পেনিনসুলা, আগ্রাবাদ হোটেল, খুলশী ক্লাব, চিটাগাং ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি অভিজাত হোটেলে ছিল এই আয়োজন। তবে প্রবেশে সবার নিষেধাজ্ঞা থাকায় হোটেলের বাইরে গেটে দাঁড়িয়ে রঙিন পোশাক দেখেই ক্ষান্ত হন উৎসুক জনতা।
তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেছেন প্রকাশ্যে। চুমু দিয়েছেন কপালে, ঠোঁটে। হাত রেখেছেন নরম স্পর্শে। দৃশ্য দেখে সাগর পাড়ে ভিড় করা কয়েক শ’ লোক তাকিয়ে ছিলেন অবাক চোখে। হুইস্কি ব্যবসায়ী আবদুল মতিন বলেন, প্রতি বছরের এই দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষা করি। তবে ছেলে মেয়েরা বিয়ার খেতে বেশি পছন্দ করে। পুরো একদিনে তার আয় ৫০,০০০ টাকা বলে তিনি জানান। এর বেশির ভাগই অর্ডার নেয়া।
নগরীর ফয়’স লেকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিকালের আলো কমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে প্রেমিক যুগলের ভিড়। কেউ গাছের আড়ালে, হেলান দিয়ে, প্রেমিকার কোলে মাথা রেখে স্বপ্ন বুনতে ব্যস্ত। এখানকার বেশির ভাগ প্রেমিক যুগল ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া। নয়তো সদ্য প্রেমে পড়া। এখানকার একাধিক চাইনিজ রেস্টুুরেন্টে রাত ১১টা পর্যন্ত ভেতরের প্রতিটি কক্ষে ছিল প্রেমিক যুগলরা। বছরের শেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে রাতে এসব হোটেলে ছিল দিনভর গান বাজনা। প্রতিটি আসন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে চাইলে শুয়ে বসে ইচ্ছেমতো আড্ডা দেয়া যাবে। তবে অনেকে প্রতারিত হওয়ার ভয়ে সেখানে যাননি। ড্রিমস নামের একটি দোকানের মালিক বলেন, কি করবো ভাই। এগুলো যুগের চাহিদা। ছেলেমেয়েরা এখানে আসে। তাদের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। আমরা তেমন কাউরে ঠকাই না। রাতে নগরীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ডিস্কো ও ডিজের আয়োজন করা হয়। এসব আয়োজেনে শহরের বিভিন্ন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজনকে অংশ নিতে দেখা যায়। ইংরেজি ও হিন্দি গানের তালে তালে সেখানে উন্মাতাল নাচ দেখা যায় ছেলে মেয়েদের। এসব আয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, আমেরিকা, আয়ারল্যান্ডের অনেক বিদেশীকেও নাচতে দেখা যায়।
চট্টগ্রামের পরিচিত মুখ ডিজে রিফাত বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট চট্টগ্রামে বরাবরই ব্যতিক্রম। সারা শহরই ব্যস্ত থাকে। তবে এখন হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ছেড়ে আয়োজনটি চলে গেছে অভিজাত বাড়িতে। দেখা যাচ্ছে সেখানে কয়েক শ’ লোক জড়ো হয়ে মিলেমিশে একাকার। তবে খারাপ কাটেনি ডিজে পারফরমারদের। হিন্দি গানের চাহিদা ছিল বেশি। শহরের অভিজাত হোটেল পেনিনসুলা, আগ্রাবাদ হোটেল, খুলশী ক্লাব, চিটাগাং ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি অভিজাত হোটেলে ছিল এই আয়োজন। তবে প্রবেশে সবার নিষেধাজ্ঞা থাকায় হোটেলের বাইরে গেটে দাঁড়িয়ে রঙিন পোশাক দেখেই ক্ষান্ত হন উৎসুক জনতা।
No comments