‘নিজের জিহ্বা ঠিক করেন’ -খালেদা জিয়া
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে নিজের জিহ্বা ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়া। বলেছেন, আমি তো বলবো, অন্যকে সামলানোর কথা বলার আগে
ছাত্রলীগ-গুন্ডালীগকে সামলান। স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী হলেও এই ভাষায় কেউ কথা
বলে না। আগে নিজের জিহ্বা ঠিক করেন। নিজের ভাষা সংযত করুন। আজ বিকালে
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য
ফোরাম আয়োজিত ছাত্র কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার এক অনুষ্ঠানে
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারেক রহমানকে অশিক্ষিত,
জানোয়ার আখ্যায়িত করে জিহ্বা সামলে কথা বলার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর
সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা দেশটাকে গিলে ফেলেছে। পুরো
দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভোটার বিহীন একতরফা নির্বাচন করে এখন জোর করে
ক্ষমতায় বসে আছে। ২০০৮ সালে মইনউদ্দিন ফখরুদ্দীনের বদৌলতে ক্ষমতায় এসেছিল।
ওই কার এরপর আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করেছে। খালেদা
জিয়া বলেন, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে
আন্দোলন করেছিল। তখন জামায়াত ছিল তাদের প্রধান সঙ্গী। ক্ষমতায় এসে সংবিধান
এমনভাবে পরিবর্তন করেছে নির্বাচন হলেও যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। তবে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। বিদেশীরা
বলছে, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে
নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। তাই সব দলের অংশগ্রহণের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং
ফিল্ড তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনার মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করার দাবি জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, মইনউদ্দীন-ফখরুদ্দীন সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল ১৫টি মামলা। তাদের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় নিজের মামলাগুলো তুলে নিয়েছে শেখ হাসিনা। আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শেখ হাসিনার মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। বিচার বিভাগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা চেয়ার দেখে বিচার করবেন না। নিরপেক্ষ বিচার করুন। আওয়ামী লীগ হলেই সব মাফ-এভাবে চলতে পারে না। এগুলো করলে দেশের মানুষের প্রতি অবিচার করা হবে। এর জন্য পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সাহস থাকলে আমার বাড়ির সামনে বালির ট্রাক আর পুলিশ দিয়ে আটকে রাখবেন না। রাস্তা খালি রাখবেন। রাজপথে মোকাবিলা করবেন। দেখি কতটুকু সাহস আছে। সারা দেশ থেকে আগত উপস্থিত ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, এখন আপনাদের প্রয়োজন জনগণের কাছে যাওয়া। তাদেরকে প্রস্তুত করা। যখনই ডাক দেব তখনই গুলি, টিয়ার গ্যাসসহ সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসবেন। এবার ঢাকার রাজপথ আর খালি থাকবে না। আসুন, এই অত্যাচারী জালেম সরকারকে বিদায় করে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
শেখ হাসিনার মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করার দাবি জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, মইনউদ্দীন-ফখরুদ্দীন সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল ১৫টি মামলা। তাদের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় নিজের মামলাগুলো তুলে নিয়েছে শেখ হাসিনা। আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শেখ হাসিনার মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। বিচার বিভাগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা চেয়ার দেখে বিচার করবেন না। নিরপেক্ষ বিচার করুন। আওয়ামী লীগ হলেই সব মাফ-এভাবে চলতে পারে না। এগুলো করলে দেশের মানুষের প্রতি অবিচার করা হবে। এর জন্য পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সাহস থাকলে আমার বাড়ির সামনে বালির ট্রাক আর পুলিশ দিয়ে আটকে রাখবেন না। রাস্তা খালি রাখবেন। রাজপথে মোকাবিলা করবেন। দেখি কতটুকু সাহস আছে। সারা দেশ থেকে আগত উপস্থিত ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, এখন আপনাদের প্রয়োজন জনগণের কাছে যাওয়া। তাদেরকে প্রস্তুত করা। যখনই ডাক দেব তখনই গুলি, টিয়ার গ্যাসসহ সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসবেন। এবার ঢাকার রাজপথ আর খালি থাকবে না। আসুন, এই অত্যাচারী জালেম সরকারকে বিদায় করে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
No comments