পদ্মা সেতু তৈরি তাঁর স্বপ্ন, বললেন মুসা
(নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনীতে দুদক কার্যালয়ে যান বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের। ছবি: প্রথম আলো) পদ্মা
সেতু তৈরি তাঁর ও তার বাবারও স্বপ্ন বলে দাবি করেছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী
মুসা বিন শমসের। আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ
শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। দুর্নীতি হয়েছে, এমন
অভিযোগে পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আগে সরকারই সেখান
থেকে সরে আসে। এর পরই মুসা বিন শমসের পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগের প্রস্তাব
করেছিলেন মর্মে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ব্যাপারে জানতে
চাইলে সাংবাদিকদের মুসা বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু আমার নয়, আমার বাবারও
স্বপ্ন ছিল। পদ্মা সেতু গোয়ালন্দ থেকে আরিচা, নগরবাড়ী-এখানে অ্যাঙ্গেল
একটা ব্রিজ হবে। তিন বিলিয়ন ডলার লাগবে এতে।’
সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুসা সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি গল্পের পেছনে একটি ইতিহাস থাকে। ধৈর্য ধরেন। সব জানতে পারবেন। আমার সম্পর্কে বলা হয়েছে, আমি ৫১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। দুদকের অনুসন্ধানে এটা বেরিয়ে আসবে।
একটি বিশেষ সূত্র জানায়, অনিয়মিত লেনদেনের কারণে কয়েক বছর আগে সুইস ব্যাংকে তাঁর সাত বিলিয়ন ডলার ফ্রিজ করা হয়। এ ব্যাপারে মুসা বলেন, এ পরিমাণ টাকা কেউ দেশে অর্জন করতে পারেনি। আগামী ৫০ বছরেও কেউ অর্জন করতে পারবেও না। এটা সবাই বুঝতে পারবে যে, এ পরিমাণ টাকা বাংলাদেশ থেকে অর্জন করা সম্ভব নয়। যা উপার্জন করেছি বিদেশেই। আমি দেশ থেকে কোনো টাকা বিদেশে পাচার করিনি।
গত ৩ নভেম্বর কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মুসা বিন শমসেরের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ হয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশ দেওয়া হয় মুসাকে।
দুদক সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুসা। সম্পদসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে দুদকের চাহিদামতো তথ্য সরবরাহ করার অঙ্গীকারও করেছেন বলেও সূত্রটি জানায়।
চলতি বছরের জুন মাসে বিজনেস এশিয়া নামের একটি সাময়িকীর ঈদসংখ্যায় মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তাঁর সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওই সাময়িকীতে এই ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাঁর জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করা হয়।
১৯৪৫ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরে জন্ম নেওয়া মুসা ড্যাটকো গ্রুপের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি করেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তাঁকে বাংলাদেশে ‘জনশক্তি রপ্তানির জনক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে টনি ব্লেয়ারের নির্বাচনী প্রচারের জন্য ৫০ লাখ পাউন্ড অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন এ ব্যবসায়ী।
বিজনেস এশিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসা, তেল বাণিজ্য ও কেনাবেচার মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়েছেন মুসা।
সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুসা সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি গল্পের পেছনে একটি ইতিহাস থাকে। ধৈর্য ধরেন। সব জানতে পারবেন। আমার সম্পর্কে বলা হয়েছে, আমি ৫১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। দুদকের অনুসন্ধানে এটা বেরিয়ে আসবে।
একটি বিশেষ সূত্র জানায়, অনিয়মিত লেনদেনের কারণে কয়েক বছর আগে সুইস ব্যাংকে তাঁর সাত বিলিয়ন ডলার ফ্রিজ করা হয়। এ ব্যাপারে মুসা বলেন, এ পরিমাণ টাকা কেউ দেশে অর্জন করতে পারেনি। আগামী ৫০ বছরেও কেউ অর্জন করতে পারবেও না। এটা সবাই বুঝতে পারবে যে, এ পরিমাণ টাকা বাংলাদেশ থেকে অর্জন করা সম্ভব নয়। যা উপার্জন করেছি বিদেশেই। আমি দেশ থেকে কোনো টাকা বিদেশে পাচার করিনি।
গত ৩ নভেম্বর কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মুসা বিন শমসেরের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ হয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশ দেওয়া হয় মুসাকে।
দুদক সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুসা। সম্পদসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে দুদকের চাহিদামতো তথ্য সরবরাহ করার অঙ্গীকারও করেছেন বলেও সূত্রটি জানায়।
চলতি বছরের জুন মাসে বিজনেস এশিয়া নামের একটি সাময়িকীর ঈদসংখ্যায় মুসাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তাঁর সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওই সাময়িকীতে এই ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তাঁর জীবনযাত্রা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করা হয়।
১৯৪৫ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরে জন্ম নেওয়া মুসা ড্যাটকো গ্রুপের মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানি করেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তাঁকে বাংলাদেশে ‘জনশক্তি রপ্তানির জনক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে টনি ব্লেয়ারের নির্বাচনী প্রচারের জন্য ৫০ লাখ পাউন্ড অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন এ ব্যবসায়ী।
বিজনেস এশিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসা, তেল বাণিজ্য ও কেনাবেচার মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়েছেন মুসা।
No comments