ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা : আহত ২০
পুলিশি
হামলায় পণ্ড চার দফা দাবিতে বিক্ষোভরত বিএসসি ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ
করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে ২০ শিক্ষার্থী
আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে
পুলিশ। বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএসসি ডেন্টাল স্টুডেন্ট
অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে শিক্ষা
মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে সচিবালয় ফটকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে শিক্ষার্থীদের
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা ও আটককৃতদের মুক্তি দাবিতে ২০
ডিসেম্বর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা
দিয়েছে বিএসসি ডেন্টাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল ১১টার দিকে বিএসসি
ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে তাদের ৪
দফা দাবিতে স্লোগান দিতে থকে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে
প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা মিছিল
সহকারে প্রেস ক্লাব, হাইকোর্ট, পল্টন মোড় হয়ে আবার প্রেস ক্লাবের পাশ দিয়ে
সচিবালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড সরিয়ে
প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ জলকামানের মাধ্যমে রঙিন গরমপানি ছুড়ে তাদের
ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এসময় প্রথমে ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে
প্রেস ক্লাবের সামনে, হাইকোর্ট মোড় ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষুব্ধ
শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে চাইলে আরও ১২ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে শাহবাগ
থানায় আটক বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আরও ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
কর্মসূচি চলাকালে পুলিশি লাঠিচার্জে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন বলে দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসসি ডেন্টাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আরাফাত হায়দার যুগান্তরকে বলেন, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিতে যাই। এ সময় সচিবালয়ের গেটে পুলিশ ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। আমরা ব্যারিকেড সরিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে। আরাফাত বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব দীপঙ্কর রায়সহ ২২ জনকে আটক করে। আটককৃত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম, কাজী আনিসুর রহমান, সুশান্ত রায়, নেওয়াজ শরীফ, রিপন মিয়া, রাজীব গান্ধী, আবুল হাসনাত রনি, দেবদাস, আশরাফ হোসেন, দেবু মহাজন, মাহবুব আলম, ইকবাল প্রমুখ। পুলিশি লাঠিচার্জে আহত ২০ জনের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা সচিবালয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকজনের নাম চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা না দিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং রাস্তায় যানবাহন ভাংচুর শুরু করে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পৃথকভাবে কয়েকজনকে আটক করে। আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আটককৃতদের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুরের অপরাধে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিএসসি ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা পাস করার পর প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশন প্রদানসহ চার দফা দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল। তাদের অন্য দাবিগুলো হল- কোর্সের বর্তমান কারিকুলাম বিদ্যমান রেখে অনতিবিলম্বে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা, সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বিসিএস ও এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান, কোর্সের মেয়াদ আরও ১ বছর বৃদ্ধি করে সারা দেশে অভিন্ন কারিকুলামে কোর্স পরিচালনা। শিক্ষার্থীদের হামলা ও আটকের প্রতিবাদে ২০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে পূর্বঘোষিত সড়ক অবরোধ কর্মসূচিও পালন করা হবে।
কর্মসূচি চলাকালে পুলিশি লাঠিচার্জে ২০ শিক্ষার্থী আহত হন বলে দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসসি ডেন্টাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আরাফাত হায়দার যুগান্তরকে বলেন, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিতে যাই। এ সময় সচিবালয়ের গেটে পুলিশ ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। আমরা ব্যারিকেড সরিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে। আরাফাত বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব দীপঙ্কর রায়সহ ২২ জনকে আটক করে। আটককৃত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম, কাজী আনিসুর রহমান, সুশান্ত রায়, নেওয়াজ শরীফ, রিপন মিয়া, রাজীব গান্ধী, আবুল হাসনাত রনি, দেবদাস, আশরাফ হোসেন, দেবু মহাজন, মাহবুব আলম, ইকবাল প্রমুখ। পুলিশি লাঠিচার্জে আহত ২০ জনের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা সচিবালয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকজনের নাম চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা না দিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং রাস্তায় যানবাহন ভাংচুর শুরু করে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পৃথকভাবে কয়েকজনকে আটক করে। আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আটককৃতদের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুরের অপরাধে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিএসসি ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা পাস করার পর প্র্যাকটিস রেজিস্ট্রেশন প্রদানসহ চার দফা দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল। তাদের অন্য দাবিগুলো হল- কোর্সের বর্তমান কারিকুলাম বিদ্যমান রেখে অনতিবিলম্বে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা, সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বিসিএস ও এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান, কোর্সের মেয়াদ আরও ১ বছর বৃদ্ধি করে সারা দেশে অভিন্ন কারিকুলামে কোর্স পরিচালনা। শিক্ষার্থীদের হামলা ও আটকের প্রতিবাদে ২০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে পূর্বঘোষিত সড়ক অবরোধ কর্মসূচিও পালন করা হবে।
No comments