নির্যাতনের অভিযোগ থেকে রেহাই ব্রিটিশ সেনাদের
ব্রিটিশ সেনাদের হাতে একদল সাধারণ ইরাকির মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ গণতদন্তের প্রতিবেদন গতকাল বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সেনারা ইরাকিদের হত্যা ও নির্যাতন করেছেন—এমন অভিযোগ সঠিক নয়। তবে তাঁরা নয়জন ইরাকির সঙ্গে ‘অসদাচরণ’ করেছেন। খবর বিবিসি ও দ্য টেলিগ্রাফের। ইরাকের মাজার আল কবির শহরের কাছে ২০০৪ সালে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাদের একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সে ঘটনার পর ২০ জনের মতো ইরাকিকে ব্রিটিশ সেনারা ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, ওই ইরাকিদের হত্যা এবং অঙ্গহানি করা হয়। ইরাকি পরিবারগুলোর আইনজীবীরা প্রথমে দাবি করেছিলেন, ওই ইরাকিদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ধরে ক্যাম্প আবু নাজি ও শাহিবা লজিস্টিকস ঘাঁটিতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। কিন্তু যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ হাজির করা যায়নি উল্লেখ করে গত মার্চে তাঁরা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও তদন্ত অব্যাহত রাখে যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি।
হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি স্যার থায়ানে ফোর্বসের নেতৃত্বে তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বব এইনসওয়ার্থ ২০০৯ সালে আল-সিদি নামে ওই কমিটি গঠন করেন। ইরাকি যুবক হামিদ আল-সিদির নামে কমিটির নামকরণ হয়। ব্রিটিশ সেনাদের হাতে যেসব ইরাকি হত্যার শিকার হয়েছেন বলে মনে করা হয়, আল-সিদি তাঁদের একজন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সেনা এবং তাঁদের আইনজীবীরা শুরু থেকেই অভিযোগ নাকচ করে আসছেন। তাঁদের দাবি, ওই ইরাকিরা যুদ্ধক্ষেত্রেই মারা যান। তদন্তের জন্য ২০০৪ সালের ওই লড়াইয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্রিটিশ সেনাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে কমিটি। গতকাল কমিটি বলেছে, ওই লড়াইয়ের পর ব্রিটিশ সেনারা নয়জন ইরাকির সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন বলে তারা প্রমাণ পেয়েছে। তবে ইরাকিরা বেআইনিভাবে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তা ‘সুচিন্তিত মিথ্যা, অসংযত অনুমান ও মজ্জাগত শত্রুতা’ ছাড়া কিছুই নয়।
No comments