নিজের জিহ্বা ঠিক করেন-মুখটা সামলান, হাসিনাকে খালেদা
(রাজধানীর
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সাবেক ছাত্রনেতাদের এক কনভেনশনে
দলীয় নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ফোকাস বাংলা)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
বলেছেন, ‘নিজের জিহ্বা ঠিক করেন, মুখটা সামলান। তাহলে দেশের মানুষ কিছুটা
হলেও শান্তি পাবে। স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর মুখে এ ধরনের কথা শোভা পায়
না।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে
সাবেক ছাত্রনেতাদের এক কনভেনশনে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। ‘গণতন্ত্র
পুনরুদ্ধারের চলমান সংগ্রামে বিজয় ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বৈরাচারবিরোধী
গণতন্ত্রের সংগ্রামে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের’ ওই কনভেনশন আয়োজন করা
হয় ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের ব্যানারে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস
চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে খালেদা
জিয়া বলেন, ‘নিজেদের মুখগুলো সংযত করেন, পরে অন্যকে উপদেশ দিয়েন। আমরা যা
বলি, সত্য কথা বলি, তথ্যভিত্তিক কথা বলি।’
সম্প্রতি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দেন। এর জবাবে গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘কুপুত্রকে জিহ্বা সামলাতে বলুন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতাদের গালিগালাজ করতে করতে এখন বিদেশিদেরও গালিগালাজ করছে। মুখে যা আসে, তা বলছে।’
আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সময়মতো ডাক দেব। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। যেকোনো সময় ডাক দেব।’ প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত আছেন জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এবার গুলি চালালে বিএনপি তার পাল্টা গুলি চালাবে না। তবে জনগণ এর জবাব দেবে। এবার ঢাকার রাস্তা খালি থাকবে না। গুলি-বন্দুক উপেক্ষা মানুষ রাস্তায় থাকবে।’ তিনি সরকারকে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের আহ্বান জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন আবারও দাবি করেন, সুন্দরবন এলাকায় ফার্নেস অয়েলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনা পরিকল্পিত।
বিচারপতিরা মুখ দেখে বিচার করেন
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এখন বিচারপতিরা মুখ দেখে বিচার করেন। আওয়ামী লীগ হলে সব মাফ করে দেওয়া হচ্ছে। বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চাকরির জন্য হাসিনার কথামতো চলবেন? এটা সঠিক হবে না। ন্যায়বিচার করুন। সত্যের পথে, গণতন্ত্রের পথে থাকুন। ভুলে যাবেন না, আপনারা মানুষ, জন্মালে মরতে হবে।’
বিচারকদের পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, এখন অন্যায় করলে পরজীবনে ৩ গুণ, ১০ গুণ শাস্তি ভোগ করতে হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আইনি বাধা নেই
খালেদা জিয়া দাবি করেন, প্রসাশনের বর্তমান কোনো নেতা তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেননি। সম্পূর্ণ ভুয়া অভিযোগ তুলে বিএনপি–সমর্থক কর্মকর্তাদের চাকরি খাওয়া হচ্ছে। সরকারের সময় ফুরিয়ে আসছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ভুল তথ্য দিচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ মিটিং করেছি। কার সঙ্গে করেছি সেটা দেখা দরকার।’
খালেদা জিয়া প্রশ্ন রাখেন, বিডিআরের বিদ্রোহী সৈনিকেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেননি? তিনি দাবি করে বলেন, তাঁর সঙ্গে কোনো কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা বৈঠক করেননি। আর যদি করেনও তাতে আইনের বাধা নেই, কারণ তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী।
টাকা বিদেশে পাচার করেছে লীগের লোক
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এ বছর বিদেশে যে ১৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, কিন্তু সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ, যারা পাচার করেছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের।
দলের কার্যক্রম নিয়ে সাবেকদের ক্ষোভ
কনভেনশন শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। সকাল থেকে বক্তব্য দেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ছাত্রদলের সাবেক নেতারা। তাঁদের একটি বড় অংশ দলের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের অনেকে অভিযোগ করেন, মাঠ পর্যায়ে কমিটি চাপিয়ে দেওয়া হয়। উপযুক্ত ব্যক্তিদের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। বিএনপির চেয়ারপারসনকে একটি বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অনেক নেতা-কর্মী দেখা করার সুযোগ পান না।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এর আগে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি আমানউল্লাহ আমান, পরিচালনা করেন ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবীর।
সম্প্রতি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দেন। এর জবাবে গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘কুপুত্রকে জিহ্বা সামলাতে বলুন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতাদের গালিগালাজ করতে করতে এখন বিদেশিদেরও গালিগালাজ করছে। মুখে যা আসে, তা বলছে।’
আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সময়মতো ডাক দেব। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। যেকোনো সময় ডাক দেব।’ প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত আছেন জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এবার গুলি চালালে বিএনপি তার পাল্টা গুলি চালাবে না। তবে জনগণ এর জবাব দেবে। এবার ঢাকার রাস্তা খালি থাকবে না। গুলি-বন্দুক উপেক্ষা মানুষ রাস্তায় থাকবে।’ তিনি সরকারকে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের আহ্বান জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন আবারও দাবি করেন, সুন্দরবন এলাকায় ফার্নেস অয়েলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনা পরিকল্পিত।
বিচারপতিরা মুখ দেখে বিচার করেন
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এখন বিচারপতিরা মুখ দেখে বিচার করেন। আওয়ামী লীগ হলে সব মাফ করে দেওয়া হচ্ছে। বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চাকরির জন্য হাসিনার কথামতো চলবেন? এটা সঠিক হবে না। ন্যায়বিচার করুন। সত্যের পথে, গণতন্ত্রের পথে থাকুন। ভুলে যাবেন না, আপনারা মানুষ, জন্মালে মরতে হবে।’
বিচারকদের পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, এখন অন্যায় করলে পরজীবনে ৩ গুণ, ১০ গুণ শাস্তি ভোগ করতে হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আইনি বাধা নেই
খালেদা জিয়া দাবি করেন, প্রসাশনের বর্তমান কোনো নেতা তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেননি। সম্পূর্ণ ভুয়া অভিযোগ তুলে বিএনপি–সমর্থক কর্মকর্তাদের চাকরি খাওয়া হচ্ছে। সরকারের সময় ফুরিয়ে আসছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ভুল তথ্য দিচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ মিটিং করেছি। কার সঙ্গে করেছি সেটা দেখা দরকার।’
খালেদা জিয়া প্রশ্ন রাখেন, বিডিআরের বিদ্রোহী সৈনিকেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেননি? তিনি দাবি করে বলেন, তাঁর সঙ্গে কোনো কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা বৈঠক করেননি। আর যদি করেনও তাতে আইনের বাধা নেই, কারণ তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী।
টাকা বিদেশে পাচার করেছে লীগের লোক
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এ বছর বিদেশে যে ১৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, কিন্তু সবাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ, যারা পাচার করেছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের।
দলের কার্যক্রম নিয়ে সাবেকদের ক্ষোভ
কনভেনশন শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। সকাল থেকে বক্তব্য দেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ছাত্রদলের সাবেক নেতারা। তাঁদের একটি বড় অংশ দলের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের অনেকে অভিযোগ করেন, মাঠ পর্যায়ে কমিটি চাপিয়ে দেওয়া হয়। উপযুক্ত ব্যক্তিদের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। বিএনপির চেয়ারপারসনকে একটি বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অনেক নেতা-কর্মী দেখা করার সুযোগ পান না।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এর আগে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি আমানউল্লাহ আমান, পরিচালনা করেন ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবীর।
No comments