মোবারকের চেয়েও কঠোর সিসি
মিসরে
জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন ৪০ বছর ধরে ক্ষমতা
আঁকড়ে থাকা স্বৈরশাসক হোসনি মোবারক। এরপর নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন
মোহাম্মদ মুরসি। তাঁকে উৎখাত করে মসনদে বসেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও সাবেক
সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। তাঁর বজ্রমুঠির ভেতর এখন মিসরের হাল। যে
হালের দাপট মোবারকের চেয়ে অনেক বেশি।
‘রুটি, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’—বিপ্লবীদের সেই দাবি এখন সিসির কঠোর শাসনের জাঁতাকলে বিলীন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিসি দেশজুড়ে এতটাই ভয়ের আবহ সংস্কৃতি তৈরি করে রেখেছেন যে, মিসরবাসী গণতন্ত্রের স্বাদ তো পেলই না, বরং এখন তাদের কণ্ঠ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি রুদ্ধ। বলতে গেলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই।
আন্দোলনকারীদের মতে, বর্তমানে দেশটির ট্রেনে, বাসস্টেশনে, গণজমায়েতের খোলা চত্বর ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় সাধারণ মানুষ মন খুলে কথা বলতে ভয় পায়। কারণ সবখানেই পুলিশের পাশাপাশি অবস্থান করছে ‘নাগরিক তথ্যদাতা’ নামে সরকারের অনুগত চরেরা। এরা সরকারবিরোধী কোনো সমালোচনার বিষয় টের পেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা উচ্চ পর্যায়ের পৌঁছে দেয়।
বামপন্থী কর্মী আবদেল রহমানের ভাষ্য, একদিন তিনি একটি মিনিবাসে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় তিনি এক নারীকে সিসির সমালোচনায় মগ্ন হতে দেখেন। তিনি এমনভাবে সিসির মন্তব্য করছিলেন, যাতে কেউ এতে নিজের মতামত দেন। একপর্যায়ে দাড়িওয়ালা এক লোক সরকারবিরোধী মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে ফোন করেন ওই নারী। মন্তব্য করা ব্যক্তিকে ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের জঙ্গি’ বলে ধরিয়ে দেওয়া হয়। লোকটাকে বাস থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হয়, মারধর করে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত শনিবার দুই ব্যক্তিকে কায়রোর পাতাল রেলস্টেশন থেকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়। ওই দুজনের বিরুদ্ধে এক যাত্রীর অভিযোগের কারণে তাঁদের আটক করা হয়। ওই যাত্রীর দাবি, ইংরেজিতে ওই দুই ব্যক্তি বলাবলি করছিলেন, আগামী ২৫ জানুয়ারি মোবারকবিরোধী আন্দোলনের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে।
সরকারবিরোধীরা বলছেন, ভিন্ন মতাবলম্বীদের মুখ বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষ ও শাসকদের অনুগতরা বর্তমানে যে তৎপরতা চালাচ্ছে, তা কৌশলে এড়ানোর জন্য তাঁদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। তাঁদের পরামর্শ হলো, প্রকাশ্যে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা না করা, মোবাইল ফোনে বুঝেশুনে কথা বলা এবং কারও সঙ্গে দেখা করতে হলে তা যথাস্থানে হওয়াই শ্রেয়।
আহমেদ নামের ২৭ বছর বয়সী এক তরুণ নয় দিনের জন্য আটক ছিলেন। তাঁর অপরাধ, মোবাইলে এক বন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন তিনি।
আহমেদ বলেন, ‘রাস্তায় বা পাতাল রেলপথে যদি কেউ জানতে চায় যে আপনার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি কী, নিরাপত্তা অভিযানের কারণে আপনি তা বলতে ভয় পাবেন।’
মোবারকবিরোধী আন্দোলনে তরুণ দলের অন্যতম কর্মী করিম তাহা বলেন, মুরসির সংক্ষিপ্ত শাসনকালও বর্তমান সময়ের চেয়ে ভালো ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা গণউদ্যানে সাক্ষাৎ করতে পারতাম। এখন একেবারেই এটা অসম্ভব।’
মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যদের ধরিয়ে দিতে ফাঁদ তৈরিতে সহায়তা করার জন্য ‘নাগরিক তথ্যদাতাদের’ প্রশংসা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হানি আবদেল লতিফ বলেন, গত জানুয়ারি থেকে গোপন তথ্যদাতাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুসলিম ব্রাদারহুডের মাঝারি পর্যায়ের নেতাদের ধরপাকড়ের হার বেড়েছে।
হানি আবদেল লতিফ বলেন, এটি ইতিবাচক ব্যাপার। মিসরের মানুষ বিপদ ও চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে সচেতন। তিনি জোরালোভাবে দাবি করেন, কোনো নিরপরাধ নাগরিককে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
‘রুটি, গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’—বিপ্লবীদের সেই দাবি এখন সিসির কঠোর শাসনের জাঁতাকলে বিলীন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সিসি দেশজুড়ে এতটাই ভয়ের আবহ সংস্কৃতি তৈরি করে রেখেছেন যে, মিসরবাসী গণতন্ত্রের স্বাদ তো পেলই না, বরং এখন তাদের কণ্ঠ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি রুদ্ধ। বলতে গেলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই।
আন্দোলনকারীদের মতে, বর্তমানে দেশটির ট্রেনে, বাসস্টেশনে, গণজমায়েতের খোলা চত্বর ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় সাধারণ মানুষ মন খুলে কথা বলতে ভয় পায়। কারণ সবখানেই পুলিশের পাশাপাশি অবস্থান করছে ‘নাগরিক তথ্যদাতা’ নামে সরকারের অনুগত চরেরা। এরা সরকারবিরোধী কোনো সমালোচনার বিষয় টের পেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা উচ্চ পর্যায়ের পৌঁছে দেয়।
বামপন্থী কর্মী আবদেল রহমানের ভাষ্য, একদিন তিনি একটি মিনিবাসে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় তিনি এক নারীকে সিসির সমালোচনায় মগ্ন হতে দেখেন। তিনি এমনভাবে সিসির মন্তব্য করছিলেন, যাতে কেউ এতে নিজের মতামত দেন। একপর্যায়ে দাড়িওয়ালা এক লোক সরকারবিরোধী মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে ফোন করেন ওই নারী। মন্তব্য করা ব্যক্তিকে ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের জঙ্গি’ বলে ধরিয়ে দেওয়া হয়। লোকটাকে বাস থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানো হয়, মারধর করে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত শনিবার দুই ব্যক্তিকে কায়রোর পাতাল রেলস্টেশন থেকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়। ওই দুজনের বিরুদ্ধে এক যাত্রীর অভিযোগের কারণে তাঁদের আটক করা হয়। ওই যাত্রীর দাবি, ইংরেজিতে ওই দুই ব্যক্তি বলাবলি করছিলেন, আগামী ২৫ জানুয়ারি মোবারকবিরোধী আন্দোলনের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে।
সরকারবিরোধীরা বলছেন, ভিন্ন মতাবলম্বীদের মুখ বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষ ও শাসকদের অনুগতরা বর্তমানে যে তৎপরতা চালাচ্ছে, তা কৌশলে এড়ানোর জন্য তাঁদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। তাঁদের পরামর্শ হলো, প্রকাশ্যে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা না করা, মোবাইল ফোনে বুঝেশুনে কথা বলা এবং কারও সঙ্গে দেখা করতে হলে তা যথাস্থানে হওয়াই শ্রেয়।
আহমেদ নামের ২৭ বছর বয়সী এক তরুণ নয় দিনের জন্য আটক ছিলেন। তাঁর অপরাধ, মোবাইলে এক বন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন তিনি।
আহমেদ বলেন, ‘রাস্তায় বা পাতাল রেলপথে যদি কেউ জানতে চায় যে আপনার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি কী, নিরাপত্তা অভিযানের কারণে আপনি তা বলতে ভয় পাবেন।’
মোবারকবিরোধী আন্দোলনে তরুণ দলের অন্যতম কর্মী করিম তাহা বলেন, মুরসির সংক্ষিপ্ত শাসনকালও বর্তমান সময়ের চেয়ে ভালো ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা গণউদ্যানে সাক্ষাৎ করতে পারতাম। এখন একেবারেই এটা অসম্ভব।’
মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যদের ধরিয়ে দিতে ফাঁদ তৈরিতে সহায়তা করার জন্য ‘নাগরিক তথ্যদাতাদের’ প্রশংসা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হানি আবদেল লতিফ বলেন, গত জানুয়ারি থেকে গোপন তথ্যদাতাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুসলিম ব্রাদারহুডের মাঝারি পর্যায়ের নেতাদের ধরপাকড়ের হার বেড়েছে।
হানি আবদেল লতিফ বলেন, এটি ইতিবাচক ব্যাপার। মিসরের মানুষ বিপদ ও চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে সচেতন। তিনি জোরালোভাবে দাবি করেন, কোনো নিরপরাধ নাগরিককে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
No comments