নিখোঁজের ১৯ মাস পর খোঁজ মিলল হেফাজতকর্মীর
নিখোঁজের
১৯ মাস পর আল ফারুক (১৬) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাতে নগরের চকবাজার মিসকিন শাহ মাজার থেকে তাকে উদ্ধার করে
নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
করা হয়। ফারুক ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকায় শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের
সমাবেশে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। তাই তার পরিবার ধারণা করে ওই দিন
শাপলা চত্বরে যে সংঘর্ষ হয় সেখানেই হয়তো মারা গেছে ফারুক। এমনকি তার
পরিবার গায়েবানা জানাজা ও কুলখানিও সম্পন্ন করে। ওই সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে
সংঘর্ষ হলে হেফাজত তাদের অনেক নেতা-কর্মী নিহত ও গুম হয়েছে দাবি করে
আসছিল। ফারুক ঢাকার বাড্ডা এলাকার উম্মুল ক্বোরা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির
ছাত্র। কুমিল্লার চান্দিনা নবাবপুর শিংগাড়া এলাকার সোলায়মান বিন মোবারকের
ছেলে সে।
ফারুকের মামা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আজ বিকেলে মোবাইলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফারুককে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করেছিলাম সে মারা গেছে। তাই কুলখানিও করেছি গত ৫ মে। তাকে খুঁজে পেয়েছি এটাই বড় কথা।’
কেন এতদিন আত্মগোপনে ছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পড়ালেখা না করতেই সে ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকে।’
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে ফারুকের পরিবার জানতে পারে সে চট্টগ্রামে আছে, নিখোঁজ কিংবা মারা যায়নি। এরই মধ্যে ১০ নভেম্বর ফারুক তার মাকে ফোন করে কেমন আছেন জানতে চেয়ে লাইন কেটে দেয়। পরে ১৯ নভেম্বর ফারুকের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি জিডি করা হয়। এই বিষয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে জানানো হলে তারা তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফারুককে নগরের মিসকিন শাহ মাজার এলাকা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
এসআই সন্তোষ চাকমা ফারুকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ফারুক শাপলা চত্বরের ঘটনার পরপরই চট্টগ্রামে চলে আসে। হেফাজতের কর্মী হিসেবে সে সমাবেশে যোগ দিয়েছিল। পড়ালেখা ভালো না লাগায় বাইরে আত্মগোপনে চলে যায় সে।
জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রথম আলোকে বলেন, ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে মাদ্রাসা ছাত্রসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশ সন্ধান পাওয়া মাদ্রাসার ছাত্র ফারুক তো নিখোঁজ ছিল না। স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিল। পড়ালেখা না করতেই সে আত্মগোপনের আশ্রয় নেয়।
ফারুকের মামা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আজ বিকেলে মোবাইলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফারুককে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করেছিলাম সে মারা গেছে। তাই কুলখানিও করেছি গত ৫ মে। তাকে খুঁজে পেয়েছি এটাই বড় কথা।’
কেন এতদিন আত্মগোপনে ছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পড়ালেখা না করতেই সে ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকে।’
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে ফারুকের পরিবার জানতে পারে সে চট্টগ্রামে আছে, নিখোঁজ কিংবা মারা যায়নি। এরই মধ্যে ১০ নভেম্বর ফারুক তার মাকে ফোন করে কেমন আছেন জানতে চেয়ে লাইন কেটে দেয়। পরে ১৯ নভেম্বর ফারুকের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি জিডি করা হয়। এই বিষয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে জানানো হলে তারা তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফারুককে নগরের মিসকিন শাহ মাজার এলাকা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
এসআই সন্তোষ চাকমা ফারুকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ফারুক শাপলা চত্বরের ঘটনার পরপরই চট্টগ্রামে চলে আসে। হেফাজতের কর্মী হিসেবে সে সমাবেশে যোগ দিয়েছিল। পড়ালেখা ভালো না লাগায় বাইরে আত্মগোপনে চলে যায় সে।
জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রথম আলোকে বলেন, ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে মাদ্রাসা ছাত্রসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশ সন্ধান পাওয়া মাদ্রাসার ছাত্র ফারুক তো নিখোঁজ ছিল না। স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিল। পড়ালেখা না করতেই সে আত্মগোপনের আশ্রয় নেয়।
No comments