তারেক রহমানের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক
লন্ডনে
বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে দেয়া তারেক রহমানের বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক
শুরু হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের নেতারা তারেক রহমানের বক্তব্যে তীব্র
প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা কথা বলেছেন এ বিষয়ে। লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীও এক অনুষ্ঠানে
তারেক রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তারেক রহমানের বক্তব্যের বিষয়ে
আওয়ামী লীগের একজন নেতা ও আইনজীবী লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র
ভাইস চেয়ারম্যানকে। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট গিবসনের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, উনি (তারেক রহমান)
কিছু দিন পর পর কথা ছাড়ছেন। অর্বাচীনের মতো কথা বলেন। এগুলো আসলে পাগলের
প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছেন, লন্ডনে বসে তারেক
রহমান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা তিনি জানেন কিনা।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে এসেছি, এখন তো আর ওটা
লাগে না। তাই যা খুশি তাই বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান
মাঝেমধ্যে বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেতেন না।
তাই বঙ্গবন্ধু তাকে খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বলতেন। খালেদা ও জিয়াকে
এক করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এমনই মহান নেতা ছিলেন তিনি। এর উল্টো প্রতিশোধ
হিসেবে তারেক রহমান অর্বাচীনের মতো কথা বলছেন। এসব লোক রাজনীতি করার
উপযুক্ত নন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি অবাক হয়েছি মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীরের কথায়। তিনি নাকি বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে মুজিব বাহিনী।
বুদ্ধিজীবীদের পরিবার পরিজনেরা জানেন, কারা হত্যা করেছে। বুদ্ধিজীবী
হত্যাকারীদের কারও ফাঁসি হয়েছে, কারও ফাঁসির রায় হয়েছে। এ হত্যাকারীদের
রক্ষার জন্য তিনি এ কথা বলেছেন। তাঁকে অসম্মান করি না, তিনিও আমাকে সম্মান
করেন। যদিও মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন। কি করে
তিনি বললেন, বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ? তিনি বলেন, জিয়া যুদ্ধ
করেছেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।
এদিকে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে লন্ডন ভিত্তিক অগ্রণী রিসার্চ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আয়োজিত ‘ইতিহাসের আলোকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ৭ই মার্চের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় লন্ডন প্রবাসী ও বিশিষ্ট কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কড়া সমালোচনা করেন তারেক রহমানের। তাকে জীবন্ত উন্মাদ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যে সব বিষয়ে তারেক বক্তব্য দিচ্ছে সে সব বিষয়ে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তারেকের বাল্য শিক্ষা নিয়েও কথা বলেন তিনি। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, কোন উন্মাদের কথায় বাংলাদেশে কিছু যায়-আসে না। মীর জাফরের পুত্র মিরনের মতো দশা হয়েছে তারেক রহমানের। মিরনও দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। জীবনের শেষ দিনগুলোতে খুব দুর্দশায় কেটেছে। এভাবেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তারেক রহমানেরও একই পরিণতি হবে।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আরও বলেন, লন্ডনে লাখ লাখ পাউন্ড খরচ করে হল ভাড়া করে তারেক রহমান যে ভাষণ দেয় সে টাকা কোথায় পায়? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা জামায়াত-শিবিরের কিছু লোকজন তারেককে এসব বক্তব্য দিতে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, স্বাধীনতা নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার জবাব দিতে পারছে না। কারণ দলটির অনেকে সঠিক ইতিহাসই জানে না। শুধু গলাবাজি করে বেড়াচ্ছে। মোনায়েম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. সারওয়ার আলী। এছাড়া, অগ্রণী রিসার্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন আহমদ, সিনিয়র রিসার্চ অ্যাডভাইজর ড. কপিল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
লিগ্যাল নোটিশ: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যে ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী। লিগ্যাল নোটিশে সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, অন্যথায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী বুধবার রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। মেহেদী সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তারেককে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানায়। তারেক রহমান সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে লন্ডন ভিত্তিক অগ্রণী রিসার্চ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আয়োজিত ‘ইতিহাসের আলোকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ৭ই মার্চের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় লন্ডন প্রবাসী ও বিশিষ্ট কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কড়া সমালোচনা করেন তারেক রহমানের। তাকে জীবন্ত উন্মাদ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যে সব বিষয়ে তারেক বক্তব্য দিচ্ছে সে সব বিষয়ে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তারেকের বাল্য শিক্ষা নিয়েও কথা বলেন তিনি। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, কোন উন্মাদের কথায় বাংলাদেশে কিছু যায়-আসে না। মীর জাফরের পুত্র মিরনের মতো দশা হয়েছে তারেক রহমানের। মিরনও দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। জীবনের শেষ দিনগুলোতে খুব দুর্দশায় কেটেছে। এভাবেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তারেক রহমানেরও একই পরিণতি হবে।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আরও বলেন, লন্ডনে লাখ লাখ পাউন্ড খরচ করে হল ভাড়া করে তারেক রহমান যে ভাষণ দেয় সে টাকা কোথায় পায়? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা জামায়াত-শিবিরের কিছু লোকজন তারেককে এসব বক্তব্য দিতে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, স্বাধীনতা নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার জবাব দিতে পারছে না। কারণ দলটির অনেকে সঠিক ইতিহাসই জানে না। শুধু গলাবাজি করে বেড়াচ্ছে। মোনায়েম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. সারওয়ার আলী। এছাড়া, অগ্রণী রিসার্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন আহমদ, সিনিয়র রিসার্চ অ্যাডভাইজর ড. কপিল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
লিগ্যাল নোটিশ: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যে ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী। লিগ্যাল নোটিশে সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, অন্যথায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী বুধবার রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। মেহেদী সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তারেককে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানায়। তারেক রহমান সাতদিনের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
No comments