সন্ধ্যার বুকে ফুলের হাট by এ কে এম ফয়সাল
ট্রলার থেকে ফুলের চারা কিনছেন ক্রেতা |
সন্ধ্যা
নদী। অবস্থান পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায়। তীরে ভেড়ানো ট্রলারে সাজিয়ে
রাখা নানা জাতের ছোট-বড় ফুলের চারা। পছন্দসই চারা কিনছেন ফুলপ্রেমী আর
ক্ষুদ্র চারা ব্যবসায়ীরা। দাম ২০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। সন্ধ্যার বুকে
ফুলের চারার ভাসমান এই হাট বসে সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার। শীত ও বর্ষায়
উপকূলীয় এলাকাগুলোর হাটবাজারে বিকিকিনি হয় এ হাটের ফুলের চারা। চারা
ব্যবসায়ীরা নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন নার্সারি থেকে দেশি-বিদেশি ফুলের
চারা সংগ্রহ করে থাকেন এই দুই মৌসুমে। চারা সংগ্রহের পর তা নৌকা-ট্রলারে
সাজিয়ে বিক্রি করেন এই হাটে। নদীর চিরাপাড়া এলাকা ছাড়াও কচুয়াকাঠী
মোহনায় বসে এই হাট। পাঁচ বছর ধরে সন্ধ্যার হাটে ফুলের চারা বিক্রি করে
আসছেন নেছারাবাদের কুনিয়ারা গ্রামের হান্নান মিয়া। জানালেন, নৌপথে চারা
পরিবহনের কাজটি সহজ হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন হাটবাজারে ট্রলারে
চারা নিয়ে যান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। নদীর তীরে হাট বসায় নৌকা-ট্রলারে
বসেই চারা বিক্রি করতেন তাঁরা। একসময় সেখানেই গড়ে ওঠে চারার হাট। হান্নান
জানান, নেছারাবাদ উপজেলার অলংকারকাঠী ও সংগীতকাঠীতে রয়েছে দেশি-বিদেশি
নানা জাতের ফুলের চারার নার্সারি। সেখান থেকে গাঁদা, গোলাপ, জিনিয়া,
ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ ২০-২৫ জাতের চারা সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন
হাটবাজারে বিক্রি করেন তিনি। তবে বেশি বেচাকেনা করেন এই ভাসমান হাটে। প্রতি
শীতে হাটটিতে চারা বিক্রি হয় কয়েক লাখ টাকার।
অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, গাঁদা ২০-২৫ টাকা, দেশি গোলাপ ও ডালিয়া ৫০-৬০ টাকা, চায়না গোলাপ ও চন্দ্রমল্লিকা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিটি চারায় তাঁরা ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ করেন। কাউখালী শহরের বাসিন্দা আবদুল লতিফ বলেন, পাঁচ-সাত বছর আগে চারা ব্যবসায়ীরা হাটের দিন কিছু কিছু করে ফুলের চারা বিক্রির জন্য নিয়ে আসতেন। চারার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পরে তাঁরা নৌকা-ট্রলারে করে নদীতে ভাসমান হাট বসিয়ে চারা বিক্রি শুরু করেন। এভাবে ফুলের চারার মৌসুমি বাজার এখন দুই ঋতুতে স্থায়ী বাজারে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফুলের চারার ব্যাপক চাহিদা থাকে। এ সময় শুধু নেছারাবাদ উপজেলার সহস্রাধিক চারা ব্যবসায়ী প্রতিদিন লক্ষাধিক ফুলের চারা কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করেন। অলংকারকাঠী গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত চারার বড় বাজার সন্ধ্যা নদীর ভাসমান হাট। সেখানে হাটের দিন পাইকারি ও খুচরা কয়েক হাজার চারা বিক্রি হয়।’
ফুলের চাষ সারা বছর করা যায়। তবে শীত মৌসুমে এর উৎপাদন বেশি হয়। কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরিফ মনে করেন, সন্ধ্যা নদীর ভাসমান ফুলের এই হাটের বিস্তৃতি বাড়ানো গেলে এ অঞ্চলের ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।
অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, গাঁদা ২০-২৫ টাকা, দেশি গোলাপ ও ডালিয়া ৫০-৬০ টাকা, চায়না গোলাপ ও চন্দ্রমল্লিকা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিটি চারায় তাঁরা ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ করেন। কাউখালী শহরের বাসিন্দা আবদুল লতিফ বলেন, পাঁচ-সাত বছর আগে চারা ব্যবসায়ীরা হাটের দিন কিছু কিছু করে ফুলের চারা বিক্রির জন্য নিয়ে আসতেন। চারার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পরে তাঁরা নৌকা-ট্রলারে করে নদীতে ভাসমান হাট বসিয়ে চারা বিক্রি শুরু করেন। এভাবে ফুলের চারার মৌসুমি বাজার এখন দুই ঋতুতে স্থায়ী বাজারে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফুলের চারার ব্যাপক চাহিদা থাকে। এ সময় শুধু নেছারাবাদ উপজেলার সহস্রাধিক চারা ব্যবসায়ী প্রতিদিন লক্ষাধিক ফুলের চারা কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ফেরি করে বিক্রি করেন। অলংকারকাঠী গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত চারার বড় বাজার সন্ধ্যা নদীর ভাসমান হাট। সেখানে হাটের দিন পাইকারি ও খুচরা কয়েক হাজার চারা বিক্রি হয়।’
ফুলের চাষ সারা বছর করা যায়। তবে শীত মৌসুমে এর উৎপাদন বেশি হয়। কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরিফ মনে করেন, সন্ধ্যা নদীর ভাসমান ফুলের এই হাটের বিস্তৃতি বাড়ানো গেলে এ অঞ্চলের ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।
No comments