ড্রোন হামলার পরিকল্পনা এবিটির
খেলনা হেলিকপ্টারের চেয়ে একটু উন্নত
প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোন দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছে উগ্রপন্থী
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্যরা। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে এবিটির সদস্যরা এ
পরিকল্পনা করছে। আর এতে অর্থায়নের বিষয়টি কারাগার থেকেই নিশ্চিত করেছেন
এবিটির প্রধান শায়খ মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানী। গ্রেফতারের কিছুদিন আগেও
রাহমানীর সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করেছেন তানজিল হোসেন বাবু ও গোলাম মাওলা
মোহন। এই দুই যুবক এবিটির প্রযুক্তি বিভাগের অন্যতম সদস্য। তারা
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তির ওপর হামলা চালানোর জন্য খেলনা
হেলিকপ্টারের চেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোন তৈরি করছিল।
দুই যুবককে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক হোসেন সড়ক থেকে ড্রোন তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃতদের মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়। সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার দুই যুবক পরিকল্পনা করেছে যে, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সব সময় নিরাপত্তা থাকে তাই সেখানে ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানোর বিকল্প নেই। তাই তারা ড্রোন বা কোয়াড হেলিকপ্টার ব্যবহার করে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। যুগ্ম কমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে যে, ছয় মাস ধরে ড্রোন তৈরির জন্য গবেষণা ও কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা ড্রোন তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। আর কিছু টেকনিক্যাল সাপোর্ট পেলেই তারা এটি তৈরি করতে পারত।
খেলনা হেলিকপ্টারের চেয়ে একটু উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোনটি তৈরি করছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০-৩০ তলা ভবনের মতো উঁচু ভবন থেকে হামলা চালানোর জন্য ড্রোনটি তৈরি করছিল তারা।’ তাদের হামলার টার্গেট গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং সেক্যুলার ব্যক্তিরা ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেক্যুলার রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকরা ছিলেন তাদের হামলার লক্ষ্য। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণের পরিকল্পনা ছিল তাদের।’ মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার মোহন গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। অন্যদিকে তানজিলের একাডেমিক ডিগ্রি না থাকলেও তিনি টেকনিক্যাল দিক থেকে পারদর্শী। এই দুজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা জসিম উদ্দিন রোহানীর অনুসারী বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) কৃষ্ণপদ রায় ও উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ইয়েমেনে আল কায়দাবিরোধী অভিযানে মাইনুদ্দীন শরীফ, তেহজীব করিম ও রেজওয়ান শরীফ গ্রেফতার হন। বাংলাদেশে তাদের ফেরত পাঠানোর আগে পশ্চিমা গোয়েন্দারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এবিটির সঙ্গে সংযুক্ত এ তিনজন ড্রোন হামলা সম্পর্কে অত্যন্ত প্রযুক্তিসম্পন্ন। তেহজীব করিমের ভাই রাজীব করিমকে ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রগামী ব্রিটিশ এয়ারের বিমান উড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১০ সালে ফেব্র“য়ারিতে গ্রেফতার করা হয়। রাজীব করিম জেএমবির শুরুর দিকে যুক্ত ছিলেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ইরাকি আল কায়দা নেতা আনসার উল ইসলামকে অনুকরণ করে থাকেন আধ্যাত্মিক নেতা শায়খ জসীমউদ্দীন রাহমানী। আনসার উল ইসলামও ড্রোন হামলায় বিশ্বাসী ছিলেন। আর এবিটির নতুন আধ্যাত্মিক নেতা তামিম আল আদনানীও অনুসরণ করেন আনসার উল ইসলামকে। বাংলাদেশী এই দুই আধ্যাত্মিক নেতা ইয়েমেনভিত্তিক আল কায়দার নেতা আনওয়ার আল আওলাকিকেও অনুসরণ করে থাকেন। আল কায়দা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা নামে একটি গোষ্ঠীর প্রধান আওলাকি ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মার্কিন ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলায় ইয়েমেনে মারা যান। এদের অনুসরণ করে কারাবন্দি মুফতি জসিমউদ্দীন রাহমানী নিজে ড্রোন হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন বাংলাদেশে। তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রেফতার দুই যুবক হামলার পরিকল্পনা করে ড্রোন তৈরি করছিল।
দুই যুবককে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক হোসেন সড়ক থেকে ড্রোন তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃতদের মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়। সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার দুই যুবক পরিকল্পনা করেছে যে, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সব সময় নিরাপত্তা থাকে তাই সেখানে ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালানোর বিকল্প নেই। তাই তারা ড্রোন বা কোয়াড হেলিকপ্টার ব্যবহার করে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। যুগ্ম কমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে যে, ছয় মাস ধরে ড্রোন তৈরির জন্য গবেষণা ও কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা ড্রোন তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। আর কিছু টেকনিক্যাল সাপোর্ট পেলেই তারা এটি তৈরি করতে পারত।
খেলনা হেলিকপ্টারের চেয়ে একটু উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোনটি তৈরি করছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০-৩০ তলা ভবনের মতো উঁচু ভবন থেকে হামলা চালানোর জন্য ড্রোনটি তৈরি করছিল তারা।’ তাদের হামলার টার্গেট গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং সেক্যুলার ব্যক্তিরা ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেক্যুলার রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকরা ছিলেন তাদের হামলার লক্ষ্য। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণের পরিকল্পনা ছিল তাদের।’ মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার মোহন গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। অন্যদিকে তানজিলের একাডেমিক ডিগ্রি না থাকলেও তিনি টেকনিক্যাল দিক থেকে পারদর্শী। এই দুজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা জসিম উদ্দিন রোহানীর অনুসারী বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) কৃষ্ণপদ রায় ও উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ইয়েমেনে আল কায়দাবিরোধী অভিযানে মাইনুদ্দীন শরীফ, তেহজীব করিম ও রেজওয়ান শরীফ গ্রেফতার হন। বাংলাদেশে তাদের ফেরত পাঠানোর আগে পশ্চিমা গোয়েন্দারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এবিটির সঙ্গে সংযুক্ত এ তিনজন ড্রোন হামলা সম্পর্কে অত্যন্ত প্রযুক্তিসম্পন্ন। তেহজীব করিমের ভাই রাজীব করিমকে ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রগামী ব্রিটিশ এয়ারের বিমান উড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১০ সালে ফেব্র“য়ারিতে গ্রেফতার করা হয়। রাজীব করিম জেএমবির শুরুর দিকে যুক্ত ছিলেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ইরাকি আল কায়দা নেতা আনসার উল ইসলামকে অনুকরণ করে থাকেন আধ্যাত্মিক নেতা শায়খ জসীমউদ্দীন রাহমানী। আনসার উল ইসলামও ড্রোন হামলায় বিশ্বাসী ছিলেন। আর এবিটির নতুন আধ্যাত্মিক নেতা তামিম আল আদনানীও অনুসরণ করেন আনসার উল ইসলামকে। বাংলাদেশী এই দুই আধ্যাত্মিক নেতা ইয়েমেনভিত্তিক আল কায়দার নেতা আনওয়ার আল আওলাকিকেও অনুসরণ করে থাকেন। আল কায়দা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা নামে একটি গোষ্ঠীর প্রধান আওলাকি ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মার্কিন ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলায় ইয়েমেনে মারা যান। এদের অনুসরণ করে কারাবন্দি মুফতি জসিমউদ্দীন রাহমানী নিজে ড্রোন হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন বাংলাদেশে। তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রেফতার দুই যুবক হামলার পরিকল্পনা করে ড্রোন তৈরি করছিল।
No comments