তালেবান, বোকো হারাম, আল শাবাব ইসরাইল একই জাতের কসাই
নাইজেরিয়া থেকে ফিলিস্তিন, পাকিস্তান,
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে বোকো হারাম, আল শাবাব, ইসরাইল ও টিটিপির (তেহরিক-ই তালেবান
পাকিস্তান) চালানো হামলাগুলোই সবচেয়ে ভয়াবহ- এরা সবাই একই জাতের কসাই।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এসব ভয়ানক অভিজ্ঞতা সারা জীবন ভোগাবে হামলার শিকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে টিটিপির সদস্যরা। ওই হামলায় ১৩২ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
অন্তত অস্ত্রধারী সাত তালেবান ওই হামলা পরিচালনা করে। স্কুলের একটি অডিটরিয়ামে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়।
টিটিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান সরকারের পরিচালিত তালেবান নির্মূলে জার্ব-ই-আজব নামক অভিযানের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। দেশটিতে পোলিও টিকাদান কর্মসূচিকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়ে আসছে সংগঠনটি। চলতি বছরের এপ্রিলে নাইজেরিয়ার বর্নো রাজ্যের চিবক শহরের একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলা চালায় বোকো হারামের সদস্যরা।
সংগঠনটির অস্ত্রধারী সদস্যরা ওই স্কুলের দুই শতাধিক ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলেও অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কয়েকজন ছাত্রী পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও বাকিদের অবস্থা এখনও অজানাই রয়ে গেছে।
দেশটির ইয়োবে রাজ্যের পতিসকুম শহরের একটি স্কুলে ১০ নভেম্বর ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে অন্তত ৪৭ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, বোকো হারামের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে।
চলতি বছরের আগস্টে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর শুরু করা একতরফা হামলায় বহু শিক্ষার্থী হতাহত হয়। ৫০ দিনব্যাপী চালানো ওই আগ্রাসনে অন্তত ৫০০ শিশু নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই স্কুলপড়ুয়া। জাতিসংঘের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ওই হামলায় গাজা প্রশাসন ও সংস্থাটির পরিচালিত অন্তত ২২৩টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার প্রথম দিকেই স্কুলগুলোতে পড়ালেখার কার্যক্রম বন্ধ করে আশ্রয় শিবির খোলা হয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ইসরাইল সরকারকে এ স্কুলগুলোতে হামলা না চালানোর অনুরোধের পরও তারা আক্রমণ অব্যাহত রাখে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক স্কুলেই এখনও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসেনি। কেনিয়ার ওয়েস্টগেট শপিংমলেও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল আল শাবাব।
এছাড়া চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মেক্সিকোতে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে হত্যার ঘটনাও ছিল উল্লেখযোগ্য। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর চালানো এ ধরনের হামলাকে বেশ উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন বিষেশজ্ঞরা। শিশুদের ওপর এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আজীবন প্রভাব ফেলবে জানিয়েছেন তারা। ডন, এএফপি, বিবিসি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এসব ভয়ানক অভিজ্ঞতা সারা জীবন ভোগাবে হামলার শিকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে টিটিপির সদস্যরা। ওই হামলায় ১৩২ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
অন্তত অস্ত্রধারী সাত তালেবান ওই হামলা পরিচালনা করে। স্কুলের একটি অডিটরিয়ামে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়।
টিটিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান সরকারের পরিচালিত তালেবান নির্মূলে জার্ব-ই-আজব নামক অভিযানের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। দেশটিতে পোলিও টিকাদান কর্মসূচিকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়ে আসছে সংগঠনটি। চলতি বছরের এপ্রিলে নাইজেরিয়ার বর্নো রাজ্যের চিবক শহরের একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলা চালায় বোকো হারামের সদস্যরা।
সংগঠনটির অস্ত্রধারী সদস্যরা ওই স্কুলের দুই শতাধিক ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলেও অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কয়েকজন ছাত্রী পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও বাকিদের অবস্থা এখনও অজানাই রয়ে গেছে।
দেশটির ইয়োবে রাজ্যের পতিসকুম শহরের একটি স্কুলে ১০ নভেম্বর ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে অন্তত ৪৭ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, বোকো হারামের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে।
চলতি বছরের আগস্টে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর শুরু করা একতরফা হামলায় বহু শিক্ষার্থী হতাহত হয়। ৫০ দিনব্যাপী চালানো ওই আগ্রাসনে অন্তত ৫০০ শিশু নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই স্কুলপড়ুয়া। জাতিসংঘের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ওই হামলায় গাজা প্রশাসন ও সংস্থাটির পরিচালিত অন্তত ২২৩টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার প্রথম দিকেই স্কুলগুলোতে পড়ালেখার কার্যক্রম বন্ধ করে আশ্রয় শিবির খোলা হয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ইসরাইল সরকারকে এ স্কুলগুলোতে হামলা না চালানোর অনুরোধের পরও তারা আক্রমণ অব্যাহত রাখে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক স্কুলেই এখনও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসেনি। কেনিয়ার ওয়েস্টগেট শপিংমলেও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল আল শাবাব।
এছাড়া চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মেক্সিকোতে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে হত্যার ঘটনাও ছিল উল্লেখযোগ্য। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর চালানো এ ধরনের হামলাকে বেশ উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন বিষেশজ্ঞরা। শিশুদের ওপর এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আজীবন প্রভাব ফেলবে জানিয়েছেন তারা। ডন, এএফপি, বিবিসি।
No comments