সুন্দরবন ভ্রমণে... by রাশিদুল ইসলাম
সুন্দরবন ভ্রমণে যেমন পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে সরকারের রাজস্ব আদায়। বন বিভাগের হিসাব মতে, ২০০১-০২ অর্থবছরে দেশী-বিদেশী মিলে ৫৯ হাজার ১৬৯ জন পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করেছেন। এ বছর বন বিভাগ পর্যটকদের কাছ থেকে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৩৯ টাকা রাজস্ব আদায় করে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ৫৫ হাজার ৩১৭ জন। সেই হিসেবে রাজস্ব পাওয়া যায় এক কোটি ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ৪০৫ টাকা। অর্থাৎ সুন্দরবন ভ্রমণে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আগ্রহ বেড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দীর্ঘ সময়ের তুলনায় সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটক সংখ্যা ও রাজস্ব আদায় খুবই অপ্রতুল। সুন্দরবন ভ্রমণে দিন দিন মানুষের আগ্রহ বাড়লেও পর্যটন নীতিমালা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এ খাতের প্রসার ঘটছে না। বরং বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের চরম অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সম্ভাবনাময় এই পর্যটন খাত।
বন বিভাগ সূত্র জানা যায়, ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে পরো সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর এক বছর পর বন বিভাগকে সুন্দরবনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়। বন বিভাগ সুন্দরবনের দায়িত্ব নেয়ার পর ১৩৫ বছর কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটন নীতিমালা হয়নি। যদিও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র সরকার দাবি করেছেন, সরকার সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে। যা চলতি বছরই পাস হতে যাচ্ছে। এদিকে নীতিমালার অভাবে থেমে থাকছে না সুন্দরবন ভ্রমণ। প্রতিবছর হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করছেন। সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়ছে। তবে পর্যটন আইন বা নীতিমালা না থাকায় এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে সুন্দরবনের ওপর। সেই সঙ্গে দুর্নীতিও বাসা বেঁধেছে দেশের আমলানির্ভর অন্য সব খাতের মতো এ খাতেও।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুলাই মাস থেকে শুরু হলেও মূলত অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে মার্চ-এপ্রিল সময় পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন ঘটে সবচেয়ে বেশী। প্রতি বছর এ সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার বিদেশী পর্যটকসহ হাজার হাজার প্রকৃতিপ্রেমী সুন্দরবন ভ্রমণ করতে আসেন। সুন্দরবনে যত বিদেশী পর্যটক আসে তারা প্রায় সবাই সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় তিন থেকে পাঁচদিনের জন্য ভ্রমণে যায়। অন্যদিকে দেশী পর্যটকদের প্রায় নব্বই শতাংশও অভয়ারণ্য এলাকায় ভ্রমণ করেন। পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য চালু রয়েছে ট্যুর অপারেটর ব্যবসা। খুলনায় ছোট-বড় মিলে বিভিন্ন নামে প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এর বেশিরভাগ অপারেটর অনভিজ্ঞ। এদের অনেকই যাত্রীবাহী জাহাজ ভাড়া করে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
সূত্র আরও জানায়, পর্যটন ব্যবসায়ী বা ট্যুর অপারেটরদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর কর্তৃক ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া কোন জাহাজ পর্যটনের কাজে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পর্যটকবাহী জাহাজে বর্জ্য রাখার ব্যবস্থা রাখার কথা। বনে প্রবেশের পর জলে-স্থলে কোথাও বর্জ্য না ফেলার কথা। যে আকৃতির জাহাজই হোক না কেন, কোন জাহাজেই সর্বোচ্চ ৭০ জনের অধিক পর্যটক বহন করা যাবে না। পর্যটকবাহী লঞ্চ চলাচলের জন্য নির্ধারিত রুট ব্যবহার করা। সুন্দরবন ভ্রমণে অনুসরণীয় বিষয় সম্পর্কে পর্যটকদের অবহিত করা ইত্যাদি নিয়ম থাকলেও তা কেউই মানছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারিভাবে পর্যটন নীতিমালা না থাকলেও সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি মৌখিক নীতিমালা কার্যকর আছে। যাতে বলা হচ্ছে, একটি জাহাজে সাধারণত ৫০ জন পর্যটক সরকার নির্ধারিত রাজস্ব জমা দিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের প্রতিটি জাহাজে ক্ষেত্রে ৭০ জন। ভ্রমণের ক্ষেত্রে একজন বিদেশী পর্যটককে প্রতিদিনের জন্য রাজস্ব দিতে হয় ৭৫০ টাকার সঙ্গে ১৫% ভ্যাট। আর একজন দেশী পর্যটককে প্রতিদিন ভ্যাটসহ ১৫০ টাকা। শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ক্ষেত্রে ভ্যাটসহ প্রতিদিন ৩০ টাকা। পর্যটকদের ক্যামেরা বহন, ভিডিও ধারণ ও নিরাপত্তা প্রহরীর জন্য নির্ধারিত হারে ফি জমা দিতে হয়। এছাড়া জাহাজ প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য নির্ধারিত হারে ফি জমা দিতে হয়।
বন বিভাগ সূত্র জানা যায়, ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে পরো সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর এক বছর পর বন বিভাগকে সুন্দরবনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়। বন বিভাগ সুন্দরবনের দায়িত্ব নেয়ার পর ১৩৫ বছর কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটন নীতিমালা হয়নি। যদিও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র সরকার দাবি করেছেন, সরকার সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে। যা চলতি বছরই পাস হতে যাচ্ছে। এদিকে নীতিমালার অভাবে থেমে থাকছে না সুন্দরবন ভ্রমণ। প্রতিবছর হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করছেন। সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়ছে। তবে পর্যটন আইন বা নীতিমালা না থাকায় এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে সুন্দরবনের ওপর। সেই সঙ্গে দুর্নীতিও বাসা বেঁধেছে দেশের আমলানির্ভর অন্য সব খাতের মতো এ খাতেও।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুলাই মাস থেকে শুরু হলেও মূলত অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে মার্চ-এপ্রিল সময় পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন ঘটে সবচেয়ে বেশী। প্রতি বছর এ সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার বিদেশী পর্যটকসহ হাজার হাজার প্রকৃতিপ্রেমী সুন্দরবন ভ্রমণ করতে আসেন। সুন্দরবনে যত বিদেশী পর্যটক আসে তারা প্রায় সবাই সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় তিন থেকে পাঁচদিনের জন্য ভ্রমণে যায়। অন্যদিকে দেশী পর্যটকদের প্রায় নব্বই শতাংশও অভয়ারণ্য এলাকায় ভ্রমণ করেন। পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য চালু রয়েছে ট্যুর অপারেটর ব্যবসা। খুলনায় ছোট-বড় মিলে বিভিন্ন নামে প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এর বেশিরভাগ অপারেটর অনভিজ্ঞ। এদের অনেকই যাত্রীবাহী জাহাজ ভাড়া করে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
সূত্র আরও জানায়, পর্যটন ব্যবসায়ী বা ট্যুর অপারেটরদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর কর্তৃক ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া কোন জাহাজ পর্যটনের কাজে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পর্যটকবাহী জাহাজে বর্জ্য রাখার ব্যবস্থা রাখার কথা। বনে প্রবেশের পর জলে-স্থলে কোথাও বর্জ্য না ফেলার কথা। যে আকৃতির জাহাজই হোক না কেন, কোন জাহাজেই সর্বোচ্চ ৭০ জনের অধিক পর্যটক বহন করা যাবে না। পর্যটকবাহী লঞ্চ চলাচলের জন্য নির্ধারিত রুট ব্যবহার করা। সুন্দরবন ভ্রমণে অনুসরণীয় বিষয় সম্পর্কে পর্যটকদের অবহিত করা ইত্যাদি নিয়ম থাকলেও তা কেউই মানছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারিভাবে পর্যটন নীতিমালা না থাকলেও সুন্দরবন ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি মৌখিক নীতিমালা কার্যকর আছে। যাতে বলা হচ্ছে, একটি জাহাজে সাধারণত ৫০ জন পর্যটক সরকার নির্ধারিত রাজস্ব জমা দিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের প্রতিটি জাহাজে ক্ষেত্রে ৭০ জন। ভ্রমণের ক্ষেত্রে একজন বিদেশী পর্যটককে প্রতিদিনের জন্য রাজস্ব দিতে হয় ৭৫০ টাকার সঙ্গে ১৫% ভ্যাট। আর একজন দেশী পর্যটককে প্রতিদিন ভ্যাটসহ ১৫০ টাকা। শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ক্ষেত্রে ভ্যাটসহ প্রতিদিন ৩০ টাকা। পর্যটকদের ক্যামেরা বহন, ভিডিও ধারণ ও নিরাপত্তা প্রহরীর জন্য নির্ধারিত হারে ফি জমা দিতে হয়। এছাড়া জাহাজ প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য নির্ধারিত হারে ফি জমা দিতে হয়।
No comments