লাকসামে অপহরণের ঘটনা -এ কেমন পুলিশ প্রতিবেদন?
গত বছরের নভেম্বরে নিখোঁজ লাকসাম বিএনপির
দুই নেতার ব্যাপারে পুলিশ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে এ বছরের
সেপ্টেম্বরে। এত দীর্ঘ সময় তদন্তের পর যা বের করতে পেরেছে তা হচ্ছে ‘হয়তো
বা’ দুষ্কৃতকারীদের হাতে অপহরণ হয়েছেন এই দুজন। অথচ এই মামলার সাক্ষীরা
বলছেন, এই দুজনকে অপহরণ করেছে র্যাব। যারাই এই দুজনকে অপহরণ করে থাকুক,
তাদের বাঁচাতে বা মামলাটিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টাটি এ ক্ষেত্রে
স্পষ্ট।
এ ঘটনাটি স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এত দিন পরও পুলিশ কেন নিশ্চিত হতে পারছে না যে লাকসাম বিএনপির দুই নেতা সাবেক সাংসদ সাইফুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবিরকে অপহরণ করেছে কারা? তারা কী তদন্ত করল যে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, ‘হয়তো বা’ শব্দটি ব্যবহার করতে হয়েছে। যদি দুষ্কৃতকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তবে তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না কেন?
এসব প্রশ্নের জবাব মিলবে বলে মনে হয় না। কারণ, তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজেই জানিয়েছেন, এই মামলার প্রতিবেদন দেওয়া নিয়ে তিনি ‘বিপদে’ আছেন। ফলে এটা স্পষ্ট যে আদালতে তিনি যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তা যথাযথ তদন্তনির্ভর নয়।
অপহরণের শিকার বিএনপির দুই নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। নিহত হুমায়ুন কবিরের বাবা নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর কুমিল্লা র্যাবের তৎকালীন কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছেন। অভিযোগটি যেহেতু গুরুতর, তাই পুলিশের এ ধরনের মামুলি তদন্ত গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় যেহেতু এই আসামিরা রয়েছেন, তাই লাকসাম বিএনপির দুই নেতা খুনের মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে সমস্যা কোথায়? এই মামলার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত জরুরি।
এ ঘটনাটি স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এত দিন পরও পুলিশ কেন নিশ্চিত হতে পারছে না যে লাকসাম বিএনপির দুই নেতা সাবেক সাংসদ সাইফুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবিরকে অপহরণ করেছে কারা? তারা কী তদন্ত করল যে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, ‘হয়তো বা’ শব্দটি ব্যবহার করতে হয়েছে। যদি দুষ্কৃতকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তবে তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না কেন?
এসব প্রশ্নের জবাব মিলবে বলে মনে হয় না। কারণ, তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজেই জানিয়েছেন, এই মামলার প্রতিবেদন দেওয়া নিয়ে তিনি ‘বিপদে’ আছেন। ফলে এটা স্পষ্ট যে আদালতে তিনি যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তা যথাযথ তদন্তনির্ভর নয়।
অপহরণের শিকার বিএনপির দুই নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। নিহত হুমায়ুন কবিরের বাবা নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর কুমিল্লা র্যাবের তৎকালীন কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছেন। অভিযোগটি যেহেতু গুরুতর, তাই পুলিশের এ ধরনের মামুলি তদন্ত গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় যেহেতু এই আসামিরা রয়েছেন, তাই লাকসাম বিএনপির দুই নেতা খুনের মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে সমস্যা কোথায়? এই মামলার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত জরুরি।
No comments