রাজনৈতিক অপসংস্কৃতিই দায়ী by জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
২০১৩ সাল শেষ হতে চলেছে। এবং এ বছরটায়
দেশে অনেক কিছুই ঘটেছে। কেবল রাজনীতিতেই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা,
সংস্কৃতি, কৃষি। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্র ধরে ধরে আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
তবে সাধারণভাবেই আমার যেমনটা মনে হয়েছে, তা হলো_ আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য
বছরটা খুব একটা ভালো যায়নি। কারণ এ বছরটা ছিল বর্তমান সরকারের মেয়াদকালের
শেষ বছর। এ শেষ বছরে এসে একটা প্রশ্নই খুব বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, সামনে যে
জাতীয় সংসদ নির্বাচন_ তা কীভাবে সম্পন্ন হবে? কাদের অধীনে হবে? এ ক্ষেত্রে
সরকার দল আওয়ামী লীগ প্রথম থেকেই একটা কথা বলে এসেছে যে, নির্বাচন বর্তমান
সরকারের অধীনেই হবে; নির্বাচন কমিশন সবকিছুর দায়িত্বে থাকবে এবং
নির্বাচনকালীন সরকার শুধু রুটিন কাজগুলো করবে। সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রায় সব
দেশেই নিয়ম হিসেবে আমরা এটাই দেখি যে, সরকার থাকে তবে সরকার কোনো বড়
সিদ্ধান্ত নেয় না এবং যাদের অধীনে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন কমিশন এই
সময়ে প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সরকারের দায়িত্বটা পালন করে।
সরকারের কাজ শুধু নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা। এটাই সরকারের
বক্তব্য এবং এ বক্তব্য থেকে সরকার এ পর্যন্ত সরেনি।
অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও একইভাবে তাদের যে বক্তব্য_ সে বক্তব্যে অনড় আছে। তাদের বক্তব্যটা হলো কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নয়, একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই দুই যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য_ এটাই আমাদের রাজনীতিতে গত ছ'মাসের বেশি সময় ধরে মূল বিতর্কের বিষয়। পক্ষে এবং বিপক্ষে নানাজন নানারকমের কথা বলছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখা গেল যে, শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। জাতিসংঘ বিষয়টির মীমাংসায় যথেষ্ট আগ্রহও দেখিয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিশেষ দূত এসে প্রচুর চেষ্টাও করলেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তিনি দু'দলকে এক টেবিলে বসালেন। তিনি চলে যাওয়ার সময় পর্যন্ত সে বৈঠক অব্যাহত ছিল এবং তিনি আশা করেছিলেন, বৈঠকের সুফল আমরা পাব। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি আর হলো না।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের কথাও বলা যায়_ তিনিও অনেকের সঙ্গে বসেছেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। শেষ অবধি তিনিও বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান আমাদের কারও হাতে নেই; এ দেশের রাজনৈতিক নেতাদেরই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। কিন্তু কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাচ্ছে না। নিকটতম ভবিষ্যতেও ছাড় দেওয়ার কোনো লক্ষণ আমি দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং নির্দিষ্টতারিখ ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে; সেই পথেই আমরা এগোচ্ছি। ইতিমধ্যে প্রধান বিরোধী দল যেহেতু নির্বাচন বর্জন করেছে; তারা এ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পরিপ্রেক্ষিতে দেশে অদ্ভুত এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, যে মোট ৩০০ আসনের মধ্যে দেড় শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে। অথচ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলে আসছেন, আমরা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। এটা বলছেন তারা, কিন্তু কার্যত দেখা গেল দেশের অর্ধেক অঞ্চলের ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগই পেল না। যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতেও আমরা দেখতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে নির্বাচিত হবে। দু'দলের এই বিবদমান অবস্থার কারণে দেশের যে ভয়ানক অবস্থা বিরাজ করছে_ দিনের পর দিন হরতাল আর অবরোধে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত, মানুষ মারা যাচ্ছে; এই দিক থেকে দেখতে গেলে এর থেকে খারাপভাবে কোনো বছর শেষ হয়েছে বলে আমরা দেখিনি। একটা অমীমাংসিত সমস্যা নিয়ে শেষ হচ্ছে বছরটা। এ ছাড়াও কতগুলো ঘটনা ঘটেছে এ বছরে, যার জন্য সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। গার্মেন্টে কারখানায় দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়, কিন্তু এ বছর রানা প্লাজার দুর্ঘটনা আগের সব নজিরকে ভেঙে ফেলেছে। এতবড় দুর্ঘটনা এর আগে ঘটেনি। দেশের জন্য তো বটেই, সরকারের জন্যও এ ঘটনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বর্তমান এই রাজনৈতিক অস্থিরতা সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সব পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। সব মিলিয়ে আমার শুধু নয়, সবার বিবেচনায়ই বলা যায় এ বছরটা ভালো যায়নি। তবু এত খারাপ সময় পার করেও বলা যাচ্ছে না যে, সুন্দর কিছু ঘটতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিবাদ যে প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে নাটকীয় কোনো ঘটনা ছাড়া এ অবস্থার আর উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেছে। অনেক দেরিতে হলেও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। কিন্তু সেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দেশকে মূল্য দিতে হচ্ছে অনেক। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ভণ্ডুল করতে জামায়াত ভয়ানকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা সারাদেশে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলেছে। জামায়াতের যে ক্ষতি করার ক্ষমতা, দেশের স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করার যে ক্ষমতা_ তা খর্ব করার জন্য সত্যিকারের কোনো ভালো প্রচেষ্টা সরকার নিতে পারেনি। বলা হচ্ছে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা কর। নিষিদ্ধ ঘোষণায় বিবেচনাযোগ্য নানা রাজনৈতিক দিক আছে, যা সরকার এখনও করতে পারেনি। কিন্তু দেশের যে ক্ষতি জামায়াত করছে, তাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের থাকার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।
অন্যদিকে শাহবাগে দেশের যে তরুণরা দিনের পর দিন আন্দোলন করেছে, যারা এই শাহবাগকে সম্ভব করেছে_ আগামী দিনের নির্বাচন ও জাতীয় কর্মকাণ্ডে তাদের কী ভূমিকা থাকবে? তারা আদৌ কোনো মজবুত ভূমিকা রাখতে পারবে কি-না সে প্রশ্নটাই এখন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিষয়। শুধু শাহবাগ নয়, বস্তুত দেশের এই তরুণ প্রজন্ম মজবুত ভূমিকা রাখতে শুরু করে তাহলেই বোঝা যাবে যে, দেশের রাজনীতিতে এবং জাতীয় জীবনে নতুন রক্ত সঞ্চারিত হয়েছে, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছে। অতীত ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের তরুণরা রাজনীতি থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যার প্রভাব আমাদের রাজনীতির ইতিবাচক বিবর্তনকে ব্যাহত করছে। তাই শুধু প্রতিবাদ নয়, তরুণ প্রজন্মের সত্যিকার রাজনীতিমনস্ক হওয়া প্রয়োজন। দেশে মূলত যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চলছে, তা একটি অপসংস্কৃতি। দেশের সব ক্ষেত্রেই এ অপসংস্কৃতির কুপ্রভাব পড়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ভরসা করার মতো নতুন রাজনীতিমনস্ক প্রজন্মই আমাদের এ অবস্থা থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যারা এই ভয়ানক দানবীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। যারা দেশকে শুধু ভালোই বাসে না, দেশের প্রকৃত উন্নয়নকে অঙ্গীকার করে।
অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও একইভাবে তাদের যে বক্তব্য_ সে বক্তব্যে অনড় আছে। তাদের বক্তব্যটা হলো কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নয়, একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই দুই যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য_ এটাই আমাদের রাজনীতিতে গত ছ'মাসের বেশি সময় ধরে মূল বিতর্কের বিষয়। পক্ষে এবং বিপক্ষে নানাজন নানারকমের কথা বলছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখা গেল যে, শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। জাতিসংঘ বিষয়টির মীমাংসায় যথেষ্ট আগ্রহও দেখিয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিশেষ দূত এসে প্রচুর চেষ্টাও করলেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তিনি দু'দলকে এক টেবিলে বসালেন। তিনি চলে যাওয়ার সময় পর্যন্ত সে বৈঠক অব্যাহত ছিল এবং তিনি আশা করেছিলেন, বৈঠকের সুফল আমরা পাব। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি আর হলো না।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের কথাও বলা যায়_ তিনিও অনেকের সঙ্গে বসেছেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। শেষ অবধি তিনিও বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান আমাদের কারও হাতে নেই; এ দেশের রাজনৈতিক নেতাদেরই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। কিন্তু কেউ কাউকে ছাড় দিতে চাচ্ছে না। নিকটতম ভবিষ্যতেও ছাড় দেওয়ার কোনো লক্ষণ আমি দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং নির্দিষ্টতারিখ ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে; সেই পথেই আমরা এগোচ্ছি। ইতিমধ্যে প্রধান বিরোধী দল যেহেতু নির্বাচন বর্জন করেছে; তারা এ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পরিপ্রেক্ষিতে দেশে অদ্ভুত এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, যে মোট ৩০০ আসনের মধ্যে দেড় শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে। অথচ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলে আসছেন, আমরা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। এটা বলছেন তারা, কিন্তু কার্যত দেখা গেল দেশের অর্ধেক অঞ্চলের ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগই পেল না। যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতেও আমরা দেখতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে নির্বাচিত হবে। দু'দলের এই বিবদমান অবস্থার কারণে দেশের যে ভয়ানক অবস্থা বিরাজ করছে_ দিনের পর দিন হরতাল আর অবরোধে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত, মানুষ মারা যাচ্ছে; এই দিক থেকে দেখতে গেলে এর থেকে খারাপভাবে কোনো বছর শেষ হয়েছে বলে আমরা দেখিনি। একটা অমীমাংসিত সমস্যা নিয়ে শেষ হচ্ছে বছরটা। এ ছাড়াও কতগুলো ঘটনা ঘটেছে এ বছরে, যার জন্য সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। গার্মেন্টে কারখানায় দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়, কিন্তু এ বছর রানা প্লাজার দুর্ঘটনা আগের সব নজিরকে ভেঙে ফেলেছে। এতবড় দুর্ঘটনা এর আগে ঘটেনি। দেশের জন্য তো বটেই, সরকারের জন্যও এ ঘটনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বর্তমান এই রাজনৈতিক অস্থিরতা সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সব পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। সব মিলিয়ে আমার শুধু নয়, সবার বিবেচনায়ই বলা যায় এ বছরটা ভালো যায়নি। তবু এত খারাপ সময় পার করেও বলা যাচ্ছে না যে, সুন্দর কিছু ঘটতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিবাদ যে প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে নাটকীয় কোনো ঘটনা ছাড়া এ অবস্থার আর উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেছে। অনেক দেরিতে হলেও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। কিন্তু সেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দেশকে মূল্য দিতে হচ্ছে অনেক। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ভণ্ডুল করতে জামায়াত ভয়ানকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা সারাদেশে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলেছে। জামায়াতের যে ক্ষতি করার ক্ষমতা, দেশের স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করার যে ক্ষমতা_ তা খর্ব করার জন্য সত্যিকারের কোনো ভালো প্রচেষ্টা সরকার নিতে পারেনি। বলা হচ্ছে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা কর। নিষিদ্ধ ঘোষণায় বিবেচনাযোগ্য নানা রাজনৈতিক দিক আছে, যা সরকার এখনও করতে পারেনি। কিন্তু দেশের যে ক্ষতি জামায়াত করছে, তাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের থাকার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।
অন্যদিকে শাহবাগে দেশের যে তরুণরা দিনের পর দিন আন্দোলন করেছে, যারা এই শাহবাগকে সম্ভব করেছে_ আগামী দিনের নির্বাচন ও জাতীয় কর্মকাণ্ডে তাদের কী ভূমিকা থাকবে? তারা আদৌ কোনো মজবুত ভূমিকা রাখতে পারবে কি-না সে প্রশ্নটাই এখন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিষয়। শুধু শাহবাগ নয়, বস্তুত দেশের এই তরুণ প্রজন্ম মজবুত ভূমিকা রাখতে শুরু করে তাহলেই বোঝা যাবে যে, দেশের রাজনীতিতে এবং জাতীয় জীবনে নতুন রক্ত সঞ্চারিত হয়েছে, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছে। অতীত ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের তরুণরা রাজনীতি থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যার প্রভাব আমাদের রাজনীতির ইতিবাচক বিবর্তনকে ব্যাহত করছে। তাই শুধু প্রতিবাদ নয়, তরুণ প্রজন্মের সত্যিকার রাজনীতিমনস্ক হওয়া প্রয়োজন। দেশে মূলত যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চলছে, তা একটি অপসংস্কৃতি। দেশের সব ক্ষেত্রেই এ অপসংস্কৃতির কুপ্রভাব পড়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ভরসা করার মতো নতুন রাজনীতিমনস্ক প্রজন্মই আমাদের এ অবস্থা থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যারা এই ভয়ানক দানবীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। যারা দেশকে শুধু ভালোই বাসে না, দেশের প্রকৃত উন্নয়নকে অঙ্গীকার করে।
No comments