কাফরুলে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে গলা কেটে হত্যা
রাজধানীর কাফরুলে সরদার রফিকুজ্জামান (৪৫)
নামের এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভাড়া
বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সিকিউরেক্স নামে একটি নিরাপত্তা
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ
হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
কাফরুল থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী সমকালকে জানান, দক্ষিণ কাফরুলের গির্জার গলিতে ৪৫৯/১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রফিকুজ্জামান। সোমবার রাতে তার স্ত্রী-সন্তান বাসায় ছিল না। কয়েকদিন আগে স্ত্রী শিউলি আক্তার মেয়ে নেহাকে (১৩) নিয়ে মানিকদিতে বাবার বাড়িতে যান। সোমবার রফিকুজ্জামানের শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যাননি। বিকেল থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। গতকাল সকাল ৭টার দিকে পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার মৃতদেহ দেখতে পায়। এ সময় রফিকুজ্জামানের মরদেহ একটি চেয়ারে বসানো অবস্থায় রাখা ছিল। তার একটি হাত গামছা দিয়ে চেয়ারের সঙ্গে বাঁধা ছিল। গলাকাটা ছাড়াও তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের অন্তত ১২টি চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
ওসি জানান, নিরাপত্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্সের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন রফিকুজ্জামান। বনানীর এবিসি টাওয়ারের নিচতলায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়। পরিবারের লোকজন সেখানে তার খোঁজ না পেয়ে সোমবার রাতে বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাসার মালিক এমদাদুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত ১১টায় তারা প্রধান ফটক বন্ধ করেন। এর পর কারও বাসায় ঢোকার তথ্য তাদের কাছে নেই। সে ক্ষেত্রে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাল, তা তিনি ধারণা করতে পারছেন না। নিহতের পরিবারও এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারছে না। পুলিশ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রফিকুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি নড়াইলে। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার মেয়ে নেহা বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ছে।
ওসি বলেন, 'নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পেছনে ছিল তীব্র ক্ষোভ। সম্ভবত ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে আমরা সবগুলো কারণই খতিয়ে দেখছি।'
নিহতের ভাগ্নে হাসিবুর রহমান মিথুন ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, তার মামা নিরীহ মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে তার বিরোধের কথা তারা শোনেননি।
কাফরুল থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী সমকালকে জানান, দক্ষিণ কাফরুলের গির্জার গলিতে ৪৫৯/১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রফিকুজ্জামান। সোমবার রাতে তার স্ত্রী-সন্তান বাসায় ছিল না। কয়েকদিন আগে স্ত্রী শিউলি আক্তার মেয়ে নেহাকে (১৩) নিয়ে মানিকদিতে বাবার বাড়িতে যান। সোমবার রফিকুজ্জামানের শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যাননি। বিকেল থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। গতকাল সকাল ৭টার দিকে পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার মৃতদেহ দেখতে পায়। এ সময় রফিকুজ্জামানের মরদেহ একটি চেয়ারে বসানো অবস্থায় রাখা ছিল। তার একটি হাত গামছা দিয়ে চেয়ারের সঙ্গে বাঁধা ছিল। গলাকাটা ছাড়াও তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের অন্তত ১২টি চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
ওসি জানান, নিরাপত্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্সের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন রফিকুজ্জামান। বনানীর এবিসি টাওয়ারের নিচতলায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়। পরিবারের লোকজন সেখানে তার খোঁজ না পেয়ে সোমবার রাতে বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাসার মালিক এমদাদুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত ১১টায় তারা প্রধান ফটক বন্ধ করেন। এর পর কারও বাসায় ঢোকার তথ্য তাদের কাছে নেই। সে ক্ষেত্রে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাল, তা তিনি ধারণা করতে পারছেন না। নিহতের পরিবারও এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারছে না। পুলিশ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রফিকুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি নড়াইলে। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার মেয়ে নেহা বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ছে।
ওসি বলেন, 'নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পেছনে ছিল তীব্র ক্ষোভ। সম্ভবত ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে আমরা সবগুলো কারণই খতিয়ে দেখছি।'
নিহতের ভাগ্নে হাসিবুর রহমান মিথুন ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, তার মামা নিরীহ মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে তার বিরোধের কথা তারা শোনেননি।
No comments