ত্রিদেশীয় রেল প্রকল্পে ১৩৭ কোটি ডলার দেবে এডিবি by জাফর আহমেদ
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের রেল
যোগাযোগ স্থাপনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রায় ১৩৭ কোটি ডলারের উন্নয়ন
সহযোগিতা দেবে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ
প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা
(সাসেক) আন্তঃদেশীয় রেল সংযোগ বিনিয়োগ প্রকল্পের অধীনে এ ঋণ সহায়তা দেবে
এডিবি। ২০১০ থেকে ২০৩০ সালের জন্য বর্তমান সরকারের গৃহীত রেল খাতের উন্নয়নে
মহাপরিকল্পনার আওতায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক
বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনে ব্যাপক অবকাঠামো নির্মিত হবে। এর মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার এবং ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। সাসেকের এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগের ব্যাপক উন্নয়ন ছাড়াও ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বহু গুণ বেড়ে যাবে। সূত্র জানায়, এডিবির প্রাথমিক সম্মতি পেয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর ইআরডি এ অর্থায়ন প্রস্তাবনা পাঠায়। ইতিমধ্যে এডিবির আবাসিক কার্যালয়ের যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। প্রস্তাবিত ঋণ ম্যানিলাস্থ এডিবির প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। সব মিলে ২ শতাংশেরও কম সুদে এ ঋণ পাওয়া যাবে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পে ৩০০ কিলোমিটারের রেললাইন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ অবকাঠামোর ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা ৮০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে উপ-আঞ্চলিক পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেল মাত্র ১১ দশমিক ৯ শতাংশ পণ্য পরিবহন করতে পারে। ২০১১ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারত থেকে প্রায় ৯ লাখ টন পণ্য আমদানি করেছে। আর ভারতে মাত্র প্রায় ১৮ হাজার টন রফতানি পণ্য পরিবহন করতে পেরেছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমদানি-রফতানির সিংহভাগ পণ্যই রেলের মাধ্যমে পরিবহন করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিকে এডিবি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের জন্য এডিবির ২০১১-১৫ সাল পর্যন্ত কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজিতে (সিপিএস) আন্তঃদেশীয় সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং এ প্রকল্পটি সরাসরি আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্কিত হওয়ায় অর্থায়নে অগ্রাধিকার পাবে। তাই এ প্রকল্প এডিবির কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ইআরডি এক যাত্রী জরিপের তথ্য ওই প্রস্তাবে তুলে ধরে; যেখানে বলা হয়, দেশে এখনও দূরপাল্লার যাত্রীদের মধ্যে রেল পরিবহনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলের ৯৮ শতাংশ যাত্রীর কাছে রেল ভ্রমণ জনপ্রিয়। প্রায় সময় ঢাকা-চট্টগ্রামের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে সমান জনপ্রিয় হবে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনে ব্যাপক অবকাঠামো নির্মিত হবে। এর মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার এবং ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। সাসেকের এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগের ব্যাপক উন্নয়ন ছাড়াও ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বহু গুণ বেড়ে যাবে। সূত্র জানায়, এডিবির প্রাথমিক সম্মতি পেয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর ইআরডি এ অর্থায়ন প্রস্তাবনা পাঠায়। ইতিমধ্যে এডিবির আবাসিক কার্যালয়ের যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। প্রস্তাবিত ঋণ ম্যানিলাস্থ এডিবির প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। সব মিলে ২ শতাংশেরও কম সুদে এ ঋণ পাওয়া যাবে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পে ৩০০ কিলোমিটারের রেললাইন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ অবকাঠামোর ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা ৮০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে উপ-আঞ্চলিক পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেল মাত্র ১১ দশমিক ৯ শতাংশ পণ্য পরিবহন করতে পারে। ২০১১ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভারত থেকে প্রায় ৯ লাখ টন পণ্য আমদানি করেছে। আর ভারতে মাত্র প্রায় ১৮ হাজার টন রফতানি পণ্য পরিবহন করতে পেরেছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমদানি-রফতানির সিংহভাগ পণ্যই রেলের মাধ্যমে পরিবহন করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিকে এডিবি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের জন্য এডিবির ২০১১-১৫ সাল পর্যন্ত কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজিতে (সিপিএস) আন্তঃদেশীয় সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং এ প্রকল্পটি সরাসরি আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্কিত হওয়ায় অর্থায়নে অগ্রাধিকার পাবে। তাই এ প্রকল্প এডিবির কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ইআরডি এক যাত্রী জরিপের তথ্য ওই প্রস্তাবে তুলে ধরে; যেখানে বলা হয়, দেশে এখনও দূরপাল্লার যাত্রীদের মধ্যে রেল পরিবহনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলের ৯৮ শতাংশ যাত্রীর কাছে রেল ভ্রমণ জনপ্রিয়। প্রায় সময় ঢাকা-চট্টগ্রামের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে সমান জনপ্রিয় হবে।
No comments