রাশিয়ার ভলগোগ্রাদে আবারও বিস্ফোরণ
রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় ভলগোগ্রাদ শহরের একটি ট্রলিবাসে (বৈদ্যুতিক বাস) সোমবার সকালে বোমা বিস্ফোরণে ১৪ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এর আগে একই শহরের একটি ট্রেন স্টেশনে রোববার আÍঘাতী বোমা হামলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনার ঠিক পরদিন নতুন করে এ হামলা চালানো হল। রাশিয়ায় শীতকালীন সোচি অলিম্পিকের প্রস্তুতির এ সময়ে চার দিনের মধ্যে এটি তৃতীয় বোমা হামলার ঘটনা। ১০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত ভলগোগ্রাদের দূরত্ব সোচি থেকে প্রায় ৪৩০ মাইল উত্তর-পূর্বে। সোচিতে আগামী ৭ ফেব্র“য়ারিতে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। স্থানীয় জরুরি মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ বিস্ফোরণে ১৪ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববারের আÍঘাতী বোমা হামলায় অন্ততপক্ষে ১৭ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হন। বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, সোমবারের বোমা বিস্ফোরণের ধ্বংস ক্ষমতা এত বেশি ছিল যে, ট্রলিবাসটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে অভ্যন্তরীণ চলাচলের জন্য ট্রলিবাস বহুল প্রচলিত একটি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রিয়া নোভোস্তি জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণটি সম্ভবত হামলা ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘এটি অপর একটি সন্ত্রাসী হামলা। আর এবার সেটি চালানো হল ট্রলিবাসে।’
অপর একসূত্র জানিয়েছে, এটিও সম্ভবত একটি আÍঘাতী হামলা। এর আগে ২১ অক্টোবরে ভলগোগ্রাদে আরেকটি নারী আÍঘাতী বোমা হামলায় ৭ জন নিহত হয়। এরপর গত শুক্রবার সোচি থেকে ২৭০ কিলোমিটার পূর্বে পায়াতিগ্রস্ক শহরে গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয় ৩ জন। তারও আগে ২০১১ সালে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা মস্কো বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে ৩৭ জনকে হত্যা করে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের পর থেকে দেশটির বিভিন্ন রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং জরুরি সেবার একটি দল পৌঁছেছে। রাশিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিক গেমস-২০১৪কে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সহিংস কর্মকাণ্ড মাথাচাড়া দেয়ার আশংকায় রয়েছে প্রশাসন। সোচি শহরে আয়োজন করা হয়েছে এ শীতকালীন অলম্পিকটি। রাশিয়ার ককেসাস অঞ্চলটি বহুদিন ধরেই সংঘাতে বিপর্যস্ত। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর প্রায়শই বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। যদিও এ ঘটনার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি। তবে ককেসাস অঞ্চলের ইসলামপন্থী দলগুলোর দিকেই সন্দেহের আঙুল তাক করছে প্রশাসন।
No comments