মামলা চলবে, ক্ষমাও চাইবে না যুক্তরাষ্ট্র
ভারতীয়
কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করবে না
যুক্তরাষ্ট্র। তাকে গ্রেফতারের ঘটনায় দিলি্লর কাছে ক্ষমাও চাইবে না
ওয়াশিংটন। মার্কিন কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন বলে গতকাল মঙ্গলবার
জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। খবর পিটিআই ও জিনিউজ অনলাইনের।
১২ ডিসেম্বর দেবযানীকে গ্রেফতারের পর ভারতের তীব্র ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের পরও অবস্থান এতটুকু পাল্টায়নি যুক্তরাষ্ট্র। বরং দেবযানীর বিরুদ্ধে আরও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছেন মার্কিন আইনজীবীরা। ১৩ জানুয়ারি দেবযানীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপনের দিন নির্ধারিত রয়েছে। সে তারিখ মাথায় রেখেই কাজ করছেন আইনজীবীরা। গৃহকর্মীর ভিসায় তার পারিশ্রমিকের তথ্যে ভুল ছিল বলে ভারত যে দাবি করেছে, তাও প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ওই সূত্রটির দাবি, এ মামলায় প্রতারণার অভিযোগটি বেশ শক্ত। সূত্রটি বলে, 'তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি চলবে, তা প্রত্যাহার করা হবে না।' তবে সূত্রটি এও জানায়, দেবযানী যদি পূর্ণ কূটনৈতিক দায়মুক্তির সুবিধা পেয়ে যান, তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যেতে পারবেন।
ভিসার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় গৃহকর্মীকে পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগে ১২ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে ভারতের কনস্যুলেটে নিযুক্ত কূটনীতিক দেবযানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাকে প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে বিবস্ত্র করে দেহ তল্লাশি চালানো হয়। মাদকসেবীদের সঙ্গে এক হাজতেও রাখা হয় তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। অবমাননাকর আচরণের জন্য ওয়াশিংটনের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানায় দিলি্ল। এরই মধ্যে দেবযানীর কূটনীতিক হিসেবে প্রাপ্য দায়মুক্তি নিশ্চিত করতে তাকে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনে কাউন্সিলর হিসেবে বদলি করে নয়াদিলি্ল।
অন্যদিকে পাল্টা হিসেবে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলোর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হ্রাস করে নয়াদিলি্ল। শুক্রবার দিলি্লর এক কর্মকর্তা জানান, ভারতে আমেরিকান বিদ্যালয় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মার্কিনিদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে মার্কিন দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে দিলি্ল। কর ফাঁকিসহ আর কোনো অনিয়ম আছে কি-না তা নিশ্চিত হতেই এ তথ্য চাওয়া হয়। এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ও তা দু'দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করে ওয়াশিংটন। তবে গ্রেফতার ও পরবর্তী ঘটনা আইন অনুযায়ী হয়েছে বলেও দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।
সামরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক :পেন্টাগন
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন। দফতরের মুখপাত্র সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান। কূটনীতিককে গ্রেফতারের পর সৃষ্ট টানাপড়েনের প্রতি ইঙ্গিত করে সাংবাদিকরা তাকে সামরিক সম্পর্ক বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।
১২ ডিসেম্বর দেবযানীকে গ্রেফতারের পর ভারতের তীব্র ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের পরও অবস্থান এতটুকু পাল্টায়নি যুক্তরাষ্ট্র। বরং দেবযানীর বিরুদ্ধে আরও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছেন মার্কিন আইনজীবীরা। ১৩ জানুয়ারি দেবযানীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপনের দিন নির্ধারিত রয়েছে। সে তারিখ মাথায় রেখেই কাজ করছেন আইনজীবীরা। গৃহকর্মীর ভিসায় তার পারিশ্রমিকের তথ্যে ভুল ছিল বলে ভারত যে দাবি করেছে, তাও প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ওই সূত্রটির দাবি, এ মামলায় প্রতারণার অভিযোগটি বেশ শক্ত। সূত্রটি বলে, 'তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি চলবে, তা প্রত্যাহার করা হবে না।' তবে সূত্রটি এও জানায়, দেবযানী যদি পূর্ণ কূটনৈতিক দায়মুক্তির সুবিধা পেয়ে যান, তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যেতে পারবেন।
ভিসার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় গৃহকর্মীকে পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগে ১২ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে ভারতের কনস্যুলেটে নিযুক্ত কূটনীতিক দেবযানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাকে প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে বিবস্ত্র করে দেহ তল্লাশি চালানো হয়। মাদকসেবীদের সঙ্গে এক হাজতেও রাখা হয় তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। অবমাননাকর আচরণের জন্য ওয়াশিংটনের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানায় দিলি্ল। এরই মধ্যে দেবযানীর কূটনীতিক হিসেবে প্রাপ্য দায়মুক্তি নিশ্চিত করতে তাকে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনে কাউন্সিলর হিসেবে বদলি করে নয়াদিলি্ল।
অন্যদিকে পাল্টা হিসেবে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসগুলোর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হ্রাস করে নয়াদিলি্ল। শুক্রবার দিলি্লর এক কর্মকর্তা জানান, ভারতে আমেরিকান বিদ্যালয় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মার্কিনিদের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে মার্কিন দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে দিলি্ল। কর ফাঁকিসহ আর কোনো অনিয়ম আছে কি-না তা নিশ্চিত হতেই এ তথ্য চাওয়া হয়। এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ও তা দু'দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করে ওয়াশিংটন। তবে গ্রেফতার ও পরবর্তী ঘটনা আইন অনুযায়ী হয়েছে বলেও দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।
সামরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক :পেন্টাগন
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন। দফতরের মুখপাত্র সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান। কূটনীতিককে গ্রেফতারের পর সৃষ্ট টানাপড়েনের প্রতি ইঙ্গিত করে সাংবাদিকরা তাকে সামরিক সম্পর্ক বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।
No comments