প্রচারে আ'লীগের দুই প্রার্থী by ফয়সল আহমদ বাবলু
পর্যটন
এলাকা ও খনিজ সম্পদসমৃদ্ধ জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের একাংশ
নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসন। এ আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন
দু'জন। একজন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ইমরান আহমদ এবং আরেকজন
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ। এ দুই নেতার কর্মী-সমর্থকরা
দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পুরো নির্বাচনী এলাকা। প্রায় প্রতিদিনই তাদের
কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালাচ্ছেন। নির্বাচনী ময়দানে একেবারে
নতুন ফারুক আহমদ পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে মাঠে নেমেছেন। আর চার বারের
সাংসদ ইমরান প্রচার চালাচ্ছেন তার অতীত কার্যক্রম মূল্যায়নের দাবি জানিয়ে।
পুরনোর সঙ্গে নতুনের এমন প্রচার অনেকটা নির্বাচনমুখী করে তুলেছে সেখানকার
লোকজনকে। এ আসনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী এটিইউ তাজ রহমানের
মনোনয়ন বৈধ না হওয়ায় আওয়ামী লীগের দু'জনই এখন নির্বাচনী মাঠে।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সিলেট-৪ আসন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত সাংসদ ইমরান আহমদ। তিনি গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসন থেকে ১৯৮৬ সালে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালেও তিনি এ আসন ধরে রাখতে সমর্থ হন। এরপর ১৯৯৬ সালে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। গত নির্বাচনের আগে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একাংশ সিলেট-৪ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তখন ওই নির্বাচনে সাবেক সাংসদ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি দিলদার হোসেন সেলিমকে পরাজিত করে তিনি চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে ব্যতিক্রমী এক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন ইমরান আহমদ।
আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ। নির্বাচনী ময়দানে একেবারে নতুন ফারুক আহমদ কয়েকটি প্রচার সমাবেশ করেছেন। নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী প্রবাসী এ নেতা। তিনি জানান, তার এলাকা এখনও উন্নয়ন-বঞ্চিত। যারাই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তারাই এলাকার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে এলাকাকে করেছেন হতদরিদ্র। অথচ সমৃদ্ধশালী এলাকা করা যেতে পারত জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে।
এ তিন উপজেলায় রয়েছেন সাড়ে ৩ লাখ ভোটার। এরমধ্যে লক্ষাধিক ভোটার বিভিন্ন পাথর কোয়ারির শ্রমিক। নির্বাচনে মূল নিয়ামক এই শ্রমিকরাই। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের লোকজনের সঙ্গে আলাপকালে অনেকেই জানান, এবার নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোট অংশ না নেওয়ায় অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ফারুক আহমদ। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী নিয়ে হিসাব-নিকাশ করতে শুরু করেছেন ভোটাররা।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সিলেট-৪ আসন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত সাংসদ ইমরান আহমদ। তিনি গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসন থেকে ১৯৮৬ সালে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালেও তিনি এ আসন ধরে রাখতে সমর্থ হন। এরপর ১৯৯৬ সালে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। গত নির্বাচনের আগে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একাংশ সিলেট-৪ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তখন ওই নির্বাচনে সাবেক সাংসদ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি দিলদার হোসেন সেলিমকে পরাজিত করে তিনি চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে ব্যতিক্রমী এক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন ইমরান আহমদ।
আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ। নির্বাচনী ময়দানে একেবারে নতুন ফারুক আহমদ কয়েকটি প্রচার সমাবেশ করেছেন। নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী প্রবাসী এ নেতা। তিনি জানান, তার এলাকা এখনও উন্নয়ন-বঞ্চিত। যারাই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তারাই এলাকার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে এলাকাকে করেছেন হতদরিদ্র। অথচ সমৃদ্ধশালী এলাকা করা যেতে পারত জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে।
এ তিন উপজেলায় রয়েছেন সাড়ে ৩ লাখ ভোটার। এরমধ্যে লক্ষাধিক ভোটার বিভিন্ন পাথর কোয়ারির শ্রমিক। নির্বাচনে মূল নিয়ামক এই শ্রমিকরাই। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের লোকজনের সঙ্গে আলাপকালে অনেকেই জানান, এবার নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোট অংশ না নেওয়ায় অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ফারুক আহমদ। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী নিয়ে হিসাব-নিকাশ করতে শুরু করেছেন ভোটাররা।
No comments