আবার বাংলাওয়াশ by নাজমুল হক নোবেল
নিউজিল্যান্ডের
বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে বাতাসে ভাসছিল সেই 'বাংলাওয়াশ'
শব্দটি। ব্যাপারটা এমন যে, নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ মানেই যেন
বাংলাদেশ জিতবে আর নিউজিল্যান্ড হারবে। অথচ দু'দলের মধ্যে আগে হওয়া ২১টি
ওয়ানডের ১৬টিই জিতেছে কিউইরা। তিন বছর আগের '৪-০' ব্যবধানের সুখস্মৃতি
অনুপ্রেরণা দিচ্ছিল মুশফিকুর রহিমদের। সে সঙ্গে ছিল টেস্ট সিরিজ ড্র করার
তাজা স্মৃতি এবং সবাইকে চমকে দিয়ে আবারও কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করে দিল
বাংলাদেশ। ২০১০ সালের ফলাফলকে যারা ভাগ্যচক্রের ফের বলে এতদিন হিসাব করতেন,
তাদেরও চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। টানা দুটি হোয়াইটওয়াশ তো আর এমনি এমনি হয় না!
তবে এবার কাজটা এত সহজ ছিল না। তিন বছর আগের তুলনায় এবার নিউজিল্যান্ড দল
ছিল অনেক গোছানো। দুর্দান্ত ফর্মেও ছিল তারা। জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে। মে-জুনে ইংল্যান্ডে গিয়ে ইংলিশদের হারিয়ে
এসেছে। জুনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রীলংকাকে হারানোর পর মাত্র ১০ রানে
হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের কাছে। টেস্টের ফলাফল যাই হোক, ওয়ানডেতে কিন্তু
নিউজিল্যান্ড বেশ সমীহ জাগানো দল। বাংলাদেশ দলের সামনে সুখস্মৃতি থাকলেও
সিরিজ শুরুর আগের রাতে দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে বেশ বড়
একটা ধাক্কা খায় তারা। ২০১০ সালের বাংলাওয়াশে সাকিব ছিলেন নায়ক। মিরপুর
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রাথমিক বিপর্যয়ের পরও
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব বদলে দলে ঢোকা নাঈম ইসলামের ব্যাটিং
নৈপুণ্যে ২৬৫ রান করে তারা। দিবা-রাত্রির এ ম্যাচে কিউইরা ভালোই জবাব
দিচ্ছিল; কিন্তু বৃষ্টির পর রুবেল হোসেনের দুর্দান্ত এক স্পেলে গুঁড়িয়ে যায়
নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টি আইনে ৪৩ রানে হার মানে তারা। আর হ্যাটট্রিকসহ ৬
উইকেট দখল করেন ডানহানি পেসার রুবেল।
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং খুব একটা ভালো হয়নি। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরিতে ২৪৭ রান করে টাইগাররা। তবে মাঝারি মানের এ পুঁজি নিয়েই জ্বলে ওঠেন বোলাররা। আর এতে নেতৃত্ব দেন মাশরাফি ও সোহাগ গাজী। সফরকারীদের ২০৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৪০ রানে জিতে সিরিজও নিশ্চিত করে ফেলে মুশফিক বাহিনী। ফতুল্লায় শেষ ম্যাচের আগে পেটের মাংসপেশিতে টান পড়ায় বাদ পড়েন দলের আরেক তারকা তামিম ইকবালও। সিরিজের শেষ ম্যাচে কিউইরাও ঘুরে দাঁড়ায় বিপুল বিক্রমে। রস টেলরের সেঞ্চুরি এবং কলিন মনরোর মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৩০৭ রান তুলে ফেলে তারা। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এত বড় স্কোর তাড়া করার নজির নেই। আবার বাংলাওয়াশের স্বাদ পেতে হলে যে এ অসম্ভব কর্মটি করতে হবে। এমন দিনে দাঁড়িয়ে গেলেন তামিমের জায়গায় সুযোগ পাওয়া শামসুর রহমান শুভ। তার ৯৬ রানের সঙ্গে নাঈম ও নাসিরের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে টানা দ্বিতীয় হোয়াইটওয়াশের স্বাদ নেন টাইগাররা। ২০১৩ সালের ক্রীড়াক্ষেত্রে অবশ্যই দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন এ বাংলাওয়াশ।
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং খুব একটা ভালো হয়নি। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরিতে ২৪৭ রান করে টাইগাররা। তবে মাঝারি মানের এ পুঁজি নিয়েই জ্বলে ওঠেন বোলাররা। আর এতে নেতৃত্ব দেন মাশরাফি ও সোহাগ গাজী। সফরকারীদের ২০৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৪০ রানে জিতে সিরিজও নিশ্চিত করে ফেলে মুশফিক বাহিনী। ফতুল্লায় শেষ ম্যাচের আগে পেটের মাংসপেশিতে টান পড়ায় বাদ পড়েন দলের আরেক তারকা তামিম ইকবালও। সিরিজের শেষ ম্যাচে কিউইরাও ঘুরে দাঁড়ায় বিপুল বিক্রমে। রস টেলরের সেঞ্চুরি এবং কলিন মনরোর মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৩০৭ রান তুলে ফেলে তারা। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এত বড় স্কোর তাড়া করার নজির নেই। আবার বাংলাওয়াশের স্বাদ পেতে হলে যে এ অসম্ভব কর্মটি করতে হবে। এমন দিনে দাঁড়িয়ে গেলেন তামিমের জায়গায় সুযোগ পাওয়া শামসুর রহমান শুভ। তার ৯৬ রানের সঙ্গে নাঈম ও নাসিরের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে টানা দ্বিতীয় হোয়াইটওয়াশের স্বাদ নেন টাইগাররা। ২০১৩ সালের ক্রীড়াক্ষেত্রে অবশ্যই দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন এ বাংলাওয়াশ।
No comments