সুপ্রিম কোর্টে মিছিল সমাবেশ করবেন না আইনজীবীরা
উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে
সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশ না করতে একমত হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি
সমর্থক আইনজীবী নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দু'দলের
আইনজীবীদের মধ্যে এ সর্বসম্মত মতৈক্য হয়। সর্বোচ্চ আদালতের পবিত্রতা ও
মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, সুপ্রিম কোর্টের মূল
ফটকসহ আদালত অঙ্গনে কোনো সভা-সমাবেশ করা যাবে না। তবে পেশাগত বিষয়সহ কোনো
কারণে সভা-সমাবেশ করার প্রয়োজন হলে আইনজীবী সমিতির ভবন ও চত্বর ব্যবহার করা
যাবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেটের সামনেও সমাবেশ করা যাবে না। আর
মিছিলসহ বাইরে যেতে চাইলে মাজার গেট থেকে বাইরে গিয়ে করতে হবে। বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি, সাবেক
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সিনিয়র
অ্যাডভোকেট হাবিবুল ইসলাম ভুঁইয়া ও ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট
আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদার ও এ এফ এম মেজবাহউদ্দীন,
বর্তমান সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সাবেক সম্পাদক বশির আহমেদ, এ এম
আমিনউদ্দিন, বদরুদ্দোজা বাদল, শ ম রেজাউল করিম, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
রফিকুল হক তালুকদার রাজা প্রমুখ।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি গত ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকার ঘটনা সম্পর্কে উপস্থিত প্রত্যেকের কাছে মতামত জানতে চান। রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সমাবেশ ও মিছিল করার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীরা নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলে ধরলেও সবাই সংঘটিত ঘটনাকে 'অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত' বলে অভিহিত করেন। তবে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে বহিরাগতদের দিয়ে মিছিল করার বিষয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বৈঠক শেষে অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকসহ আদালত অঙ্গনে কোনো সভা-সমাবেশ না করার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।
গত রোববার বিরোধী দলের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' সমাবেশে যোগ দিতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় প্রধান গেটের বাইরে থেকে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এর পরও বিরোধী দল সমর্থকরা বিক্ষোভ-মিছিল করতে থাকলে একপর্যায়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গেট খুলে আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ে সরকার সমর্থকরা। তাদের হামলায় বিরোধী দল সমর্থক তিনজন আইনজীবী আহত হন। পরদিন সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেটে বিক্ষোভরত বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীদের সঙ্গে যুব মহিলা লীগ কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বিধিমালা অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ নিষেধ। ২০১২ সালে সর্বশেষ সংশোধিত সুপ্রিম কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) বিধিমালা, ১৯৭৩-এর বিবিধ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, আইনজীবী, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা যে কোনো ব্যক্তি আদালত প্রাঙ্গণে বা আদালত ভবনের কোনো অংশে মিছিলের আয়োজন বা অংশ নিতে বা স্লোগান দিতে পারবেন না অথবা বিক্ষোভ প্রদর্শন বা সভা করতে পারবেন না। ২০০৬ সালে সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুসারে এ বিধিমালা প্রণীত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি গত ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকার ঘটনা সম্পর্কে উপস্থিত প্রত্যেকের কাছে মতামত জানতে চান। রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে সমাবেশ ও মিছিল করার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীরা নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলে ধরলেও সবাই সংঘটিত ঘটনাকে 'অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত' বলে অভিহিত করেন। তবে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে বহিরাগতদের দিয়ে মিছিল করার বিষয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বৈঠক শেষে অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকসহ আদালত অঙ্গনে কোনো সভা-সমাবেশ না করার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।
গত রোববার বিরোধী দলের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' সমাবেশে যোগ দিতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় প্রধান গেটের বাইরে থেকে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এর পরও বিরোধী দল সমর্থকরা বিক্ষোভ-মিছিল করতে থাকলে একপর্যায়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গেট খুলে আদালত চত্বরে ঢুকে পড়ে সরকার সমর্থকরা। তাদের হামলায় বিরোধী দল সমর্থক তিনজন আইনজীবী আহত হন। পরদিন সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেটে বিক্ষোভরত বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীদের সঙ্গে যুব মহিলা লীগ কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বিধিমালা অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ নিষেধ। ২০১২ সালে সর্বশেষ সংশোধিত সুপ্রিম কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) বিধিমালা, ১৯৭৩-এর বিবিধ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, আইনজীবী, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা যে কোনো ব্যক্তি আদালত প্রাঙ্গণে বা আদালত ভবনের কোনো অংশে মিছিলের আয়োজন বা অংশ নিতে বা স্লোগান দিতে পারবেন না অথবা বিক্ষোভ প্রদর্শন বা সভা করতে পারবেন না। ২০০৬ সালে সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুসারে এ বিধিমালা প্রণীত হয়।
No comments