একদিনের 'স্বাভাবিক' জীবন
গত ৩৬ দিনের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার
প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মদিবস উপভোগের সুযোগ পেয়েছিল দেশবাসী।
কর্মমুখর ছিল বছরের শেষ দিনের রাজধানী। ছিল চিরচেনা যানজট। যারা ঢাকায়
জরুরি কাজে এসে আটকে পড়েছিলেন, তারা এবং যারা ঢাকার বাইরে গিয়ে আটকা পড়েন,
তারা এ সুযোগে নিজ নিজ স্থানে ফিরে যান। এ স্বস্তি অবশ্য
স্থায়ী হচ্ছে না। আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিরোধী জোটের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি।
১৮ দলের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' ও সমাবেশ কর্মসূচিকে ঘিরে গত তিন দিন 'অবরুদ্ধ' ছিল রাজধানী। মহাসড়ক ছিল শূন্য। ট্রেন ও লঞ্চ কিছুই চলেনি। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর ২৬ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছে টানা অবরোধ। শুধু শুক্রবারগুলো অবরোধমুক্ত থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কর্মমুখর হতে পারেনি দেশ। কর্মদিবসের মধ্যে শুধু গত ১৫ ডিসেম্বর অবরোধমুক্ত থাকলেও ওই দিন ছিল জামায়াতে ইসলামীর হরতাল।
পাঁচ দফায় অবরোধ শেষে গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর পরের দিনটি ছিল বড়দিনের সরকারি ছুটি। মাঝে একটি দিন বিরতি দিয়ে সাপ্তাহিক ছুটি। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঢাকা। ২৮, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর তিন দিন পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজধানী। ঢাকার সঙ্গে সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর অভ্যন্তরীণ যান চলাচলও 'সরকারি অবরোধে' বন্ধ থাকে।
টানা ৩৬ দিনের অশেষ ভোগান্তি শেষে একদিনের সুযোগে রাজধানী ফিরে পেয়েছিল পুরনো চেহারা। কর্মব্যস্ত ছিল রাজধানীসহ সারাদেশ। মহাসড়কে ছিল স্বাভাবিক যান চলাচল। ট্রেন, লঞ্চ সবই চলেছে স্বাভাবিক। রাজধানীর অভ্যন্তরীণ যান চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েতুল্লাহ সমকালকে জানান, দূরপাল্লার যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিআইডবি্লউটিএর পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, কুয়াশার কারণে সকালে লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হলে অন্য সময় স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করেছে। দেশের সব স্থান থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
একদিনের 'মুক্তিতে' নগরবাসী সকাল থেকেই কাজে বেরিয়ে পড়ে। সকালে অফিসমুখীদের ভিড়ে যানজট। থার্টিফার্স্ট নাইটের কারণে কড়া নিরাপত্তা থাকলেও সন্ধ্যার পরও ছিল রাস্তায় ব্যাপক যানজট।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার-২ নৃপেন্দ্র চন্দ্র সাহা সমকালকে জানান, মঙ্গলবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়নি। বেশ কয়েকটি ট্রেন অবশ্য বিলম্বে স্টেশন ছেড়েছে। জানা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনে গত কয়েক দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ অনেক বেশি থাকলেও আসনের অতিরিক্ত টিকিট বিক্রির প্রয়োজন পড়েনি।
রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে গতকাল দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে। একাধিক বাস সার্ভিসের ম্যানেজারের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, যাত্রীর চাপ অনেক বেশি ছিল।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে গতকাল লঞ্চ চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। ভোর থেকে বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো ছিল যাত্রীবোঝাই। সন্ধ্যার দিকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চেও যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি ছিল। বিআইডবি্লউটিএর সদস্য (অর্থ ও পরিকল্পনা) ভোলানাথ দে জানান, শুধু মঙ্গলবার নয়, প্রতিদিনই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা। তবে গতকাল যাত্রীর চাপ বেশি ছিল বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে দূরপাল্লার যান চলাচল শুরু হয়েছে। একদিনের জন্য সুযোগ পেয়ে দূরপাল্লার যাত্রীরা বাসে-ট্রেনে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। গতকাল সকাল থেকেই বাস ও ট্রেনের টিকিট কাউন্টারগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, গতকাল বাস ও লঞ্চ চলেছে মুক্তভাবে। এ কারণে গতকাল বরিশালের বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ছিল উপচে পড়া যাত্রী। সোমবার রাত থেকেই বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
স্থায়ী হচ্ছে না। আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিরোধী জোটের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি।
১৮ দলের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' ও সমাবেশ কর্মসূচিকে ঘিরে গত তিন দিন 'অবরুদ্ধ' ছিল রাজধানী। মহাসড়ক ছিল শূন্য। ট্রেন ও লঞ্চ কিছুই চলেনি। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর ২৬ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছে টানা অবরোধ। শুধু শুক্রবারগুলো অবরোধমুক্ত থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কর্মমুখর হতে পারেনি দেশ। কর্মদিবসের মধ্যে শুধু গত ১৫ ডিসেম্বর অবরোধমুক্ত থাকলেও ওই দিন ছিল জামায়াতে ইসলামীর হরতাল।
পাঁচ দফায় অবরোধ শেষে গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর পরের দিনটি ছিল বড়দিনের সরকারি ছুটি। মাঝে একটি দিন বিরতি দিয়ে সাপ্তাহিক ছুটি। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঢাকা। ২৮, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর তিন দিন পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজধানী। ঢাকার সঙ্গে সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর অভ্যন্তরীণ যান চলাচলও 'সরকারি অবরোধে' বন্ধ থাকে।
টানা ৩৬ দিনের অশেষ ভোগান্তি শেষে একদিনের সুযোগে রাজধানী ফিরে পেয়েছিল পুরনো চেহারা। কর্মব্যস্ত ছিল রাজধানীসহ সারাদেশ। মহাসড়কে ছিল স্বাভাবিক যান চলাচল। ট্রেন, লঞ্চ সবই চলেছে স্বাভাবিক। রাজধানীর অভ্যন্তরীণ যান চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েতুল্লাহ সমকালকে জানান, দূরপাল্লার যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিআইডবি্লউটিএর পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, কুয়াশার কারণে সকালে লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হলে অন্য সময় স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করেছে। দেশের সব স্থান থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
একদিনের 'মুক্তিতে' নগরবাসী সকাল থেকেই কাজে বেরিয়ে পড়ে। সকালে অফিসমুখীদের ভিড়ে যানজট। থার্টিফার্স্ট নাইটের কারণে কড়া নিরাপত্তা থাকলেও সন্ধ্যার পরও ছিল রাস্তায় ব্যাপক যানজট।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার-২ নৃপেন্দ্র চন্দ্র সাহা সমকালকে জানান, মঙ্গলবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়নি। বেশ কয়েকটি ট্রেন অবশ্য বিলম্বে স্টেশন ছেড়েছে। জানা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনে গত কয়েক দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ অনেক বেশি থাকলেও আসনের অতিরিক্ত টিকিট বিক্রির প্রয়োজন পড়েনি।
রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে গতকাল দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেছে। একাধিক বাস সার্ভিসের ম্যানেজারের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, যাত্রীর চাপ অনেক বেশি ছিল।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে গতকাল লঞ্চ চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। ভোর থেকে বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো ছিল যাত্রীবোঝাই। সন্ধ্যার দিকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চেও যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি ছিল। বিআইডবি্লউটিএর সদস্য (অর্থ ও পরিকল্পনা) ভোলানাথ দে জানান, শুধু মঙ্গলবার নয়, প্রতিদিনই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা। তবে গতকাল যাত্রীর চাপ বেশি ছিল বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে দূরপাল্লার যান চলাচল শুরু হয়েছে। একদিনের জন্য সুযোগ পেয়ে দূরপাল্লার যাত্রীরা বাসে-ট্রেনে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। গতকাল সকাল থেকেই বাস ও ট্রেনের টিকিট কাউন্টারগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, গতকাল বাস ও লঞ্চ চলেছে মুক্তভাবে। এ কারণে গতকাল বরিশালের বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ছিল উপচে পড়া যাত্রী। সোমবার রাত থেকেই বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
No comments