নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে সে গ্যারান্টি নেই :ইমাম
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির
কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম বলেছেন, নির্বাচন যে পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হবে_
সে গ্যারান্টি নেই। তবে আমরা চেষ্টা করব শান্তিপূর্ণ করতে। ভোটগ্রহণের দিন
দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা থাকবেন। কারচুপির কোনো সুযোগ থাকবে না। তিনি
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের
সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করব ভোটাররা যাতে
নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। সেজন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা
হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, ভোটারদের ভীতি দূর করা হবে।
শতভাগ নিরাপত্তা দিয়ে ভোটকেন্দ্রে আনা হবে। আশা করছি, বিরোধী দলের অবরোধ
ভেঙে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হবেন।
বিরোধী দলের অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা কারা করছে? তাদের সঙ্গে প্রধান বিরোধী দলও নেই। জামায়াত শিবির ও অন্যরাই নাশকতা চালাচ্ছে। তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আসলে তারা নির্বাচন চায় না। তারা চায় দেশকে অস্থিতিশীল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বন্ধ করতে।
বিএনপি সহিংসতার বাইরে কি-না_ জানতে চাইলে এইচটি ইমাম বলেন, যেহেতু বিএনপি জামায়াতের স্বার্থ দেখছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী অবরোধ দিচ্ছে, সুতরাং তারাও জড়িত। বিএনপি তাদের সহযোগিতা করছে। তবে তাদের অবরোধ আমরা ভেঙে ফেলব।
৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেলে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা হবে কি-না_ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা-সমঝোতার পথ খোলা। তারা সহিংসতা ছাড়লে সবই সম্ভব।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ'লীগের জনসভা হচ্ছে না এইচটি ইমাম জানান, নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা বাতিল করেছে। ২ জানুয়ারি এ সমাবেশের দিন নির্ধারিত ছিল। কমিশন মনে করছে, জনসভা করা হলে তা আচরণবিধির পরিপন্থি হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের আগামীকালের নির্বাচনী জনসভার অনুমতির বিষয়ে বিকেলে সিইসির সঙ্গে দেখা করেন এইচটি ইমাম ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
পরে এইচটি ইমাম আরও বলেন, জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে কনফিউজ্ড ছিলাম। কেননা, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ৪০০ বর্গফুটের জায়গা ও তিনটির বেশি মাইক ব্যবহারের সুযোগ নেই। সে কারণে কমিশন আমাদের এ জনসভা না করার পরামর্শ দিয়েছে। তবে নির্বাচন প্রতিরোধের ডাক দিয়ে বিরোধী জোটের লাগাতার অবরোধ শুরুর দিনে আজ বুধবার ঢাকায় তিনটি স্থানে নির্বাচনী জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জনগণকে বিরোধী দলের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ বর্জন করে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাবেন।
গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ ঢাকা শহরের তিনটি নির্বাচনী এলাকায় জনসভা হবে। দুপুর ২টায় কাফরুল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর), বিকেল ৩টায় পল্লবী হারুন মোল্লাহ ঈদগাহ খেলার মাঠ ও পার্ক এবং বিকেল ৪টায় উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রবীন্দ্রসরণিতে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
বিরোধী দলের অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা কারা করছে? তাদের সঙ্গে প্রধান বিরোধী দলও নেই। জামায়াত শিবির ও অন্যরাই নাশকতা চালাচ্ছে। তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আসলে তারা নির্বাচন চায় না। তারা চায় দেশকে অস্থিতিশীল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বন্ধ করতে।
বিএনপি সহিংসতার বাইরে কি-না_ জানতে চাইলে এইচটি ইমাম বলেন, যেহেতু বিএনপি জামায়াতের স্বার্থ দেখছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী অবরোধ দিচ্ছে, সুতরাং তারাও জড়িত। বিএনপি তাদের সহযোগিতা করছে। তবে তাদের অবরোধ আমরা ভেঙে ফেলব।
৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেলে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা হবে কি-না_ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা-সমঝোতার পথ খোলা। তারা সহিংসতা ছাড়লে সবই সম্ভব।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ'লীগের জনসভা হচ্ছে না এইচটি ইমাম জানান, নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা বাতিল করেছে। ২ জানুয়ারি এ সমাবেশের দিন নির্ধারিত ছিল। কমিশন মনে করছে, জনসভা করা হলে তা আচরণবিধির পরিপন্থি হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের আগামীকালের নির্বাচনী জনসভার অনুমতির বিষয়ে বিকেলে সিইসির সঙ্গে দেখা করেন এইচটি ইমাম ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
পরে এইচটি ইমাম আরও বলেন, জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে কনফিউজ্ড ছিলাম। কেননা, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ৪০০ বর্গফুটের জায়গা ও তিনটির বেশি মাইক ব্যবহারের সুযোগ নেই। সে কারণে কমিশন আমাদের এ জনসভা না করার পরামর্শ দিয়েছে। তবে নির্বাচন প্রতিরোধের ডাক দিয়ে বিরোধী জোটের লাগাতার অবরোধ শুরুর দিনে আজ বুধবার ঢাকায় তিনটি স্থানে নির্বাচনী জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি জনগণকে বিরোধী দলের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ বর্জন করে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাবেন।
গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ ঢাকা শহরের তিনটি নির্বাচনী এলাকায় জনসভা হবে। দুপুর ২টায় কাফরুল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর), বিকেল ৩টায় পল্লবী হারুন মোল্লাহ ঈদগাহ খেলার মাঠ ও পার্ক এবং বিকেল ৪টায় উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রবীন্দ্রসরণিতে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
No comments