হেসে উঠবেই সম্ভাবনার বাংলাদেশ
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির ২০১৩ সাল বিদায়
নিয়েছে। আজ শুরু ২০১৪ সাল। উষার দুয়ারে আঘাত হেনে এসেছে রাঙা প্রভাত।
স্বাগতম নতুন বছর। এমন দিনে প্রিয় স্বদেশভূমির সবাইকে শুভেচ্ছা। বাঙালির
নিজস্ব বর্ষপঞ্জি রয়েছে। বৈশাখের প্রথম দিনে এর শুরু। অনাবিল আনন্দে,
প্রাণের আবেগে সব শ্রেণী-পেশা-বয়সের মানুষের প্লাবনে সিক্ত হয় দেশ। সর্বত্র
বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। এ ছাড়াও আছে হিজরি সাল। ইসলাম ধর্মের
অনুষ্ঠানগুলো এ পঞ্জিকা অনুসরণ করে পালিত হয়। তবে অফিস-আদালত ও শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাবতীয় কাজে অনুসরণ হয় গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি বা খ্রিস্টীয়
পঞ্জিকা। অর্থবছর এ পঞ্জিকা মেনে চলে_ জুলাইয়ে শুরু, জুনে শেষ। দেবে আর
নেবে মেলাবে মিলিবে_ এ মন্ত্রে উজ্জীবিত বলেই বাংলাদেশের জনমানসে এ তিনটি
পঞ্জিকা কোনো সংঘাত সৃষ্টি করে না। একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে না।
পহেলা জানুয়ারি পালনে বাংলা নববর্ষের মতো মানুষের ঢল নামে না ঠিকই, কিন্তু
দিনটি যথেষ্ট গুরুত্ব পায় কমবেশি সব মহলেই। বিশেষ করে নানা আয়োজনে দিনটিকে
স্মরণীয় করতে উদগ্রীব থাকে অভিজাত শ্রেণী ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর
উল্লেখযোগ্য অংশ।
কিন্তু কেমন সূচনা হলো নতুন বছরের? কেমনই-বা কেটেছে বিদায়ী বছরটি? ২০১৩ সালকে স্বাগত জানিয়ে লেখা সম্পাদকীয়তে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছিল_ রাজনৈতিক অঙ্গন যেন অনাবশ্যক উত্তপ্ত না হয়, 'জনজীবন যেন অকারণ বিঘ্ন ও যন্ত্রণায় দগ্ধ না হয়।' কিন্তু প্রত্যাশা ও বাস্তবতার এমন যোজন প্রমাণ ব্যবধান সম্ভবত অতীতে কখনোই দেখা যায়নি। প্রায় পুরো বছরই কেটেছে রাজনৈতিক অস্থিরতায়, অনিশ্চয়তায়। শুভবুদ্ধিকে বারবার গ্রাস করেছে হিংসা ও দ্বেষ। সুবচন নির্বাসনে গিয়েছে_ এমন হতাশাই সর্বত্র। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটের মধ্যে বিভাজন চরমে। কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নয়। প্রতিদিন শহর-বন্দর-গ্রামের অনেক স্থান রক্তাক্ত হচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। এর অবসান কবে ও কীভাবে ঘটবে, কেউ বলতে পারে না। আমরা নতুন বছরটি শুরু করতে চলেছি প্রধান বিরোধী জোটের অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা স্থল, নৌ ও রেলপথের উদাত্ত আহ্বানের মধ্য দিয়ে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের অর্জনের তালিকা বেশ দীর্ঘ। এখন আর কেউ আমাদের বাস্কেট কেস বা পরনির্ভর বলে অপবাদ দিতে পারে না। সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ছে কৃষি-শিল্প-সেবা খাতের উৎপাদন। ফসলের মাঠ দেখে সবার প্রাণে আসে প্রশান্তিস্ন। ফেব্রুয়ারি-মার্চে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে তারুণ্যের উজ্জীবন আমরা দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পরিচালনার জন্য তাদের সংকল্পকে বিশ্ববাসী তারিফ করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার কাজ অনেক দূর এগিয়েছে এবং বিদায়ী বছরেই একজন শীর্ষ অপরাধীর দণ্ড কার্যকর হয়েছে।
এমন দেশে কেন অশান্তি ও অস্থিরতা থাকবে? কেন দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শুভবুদ্ধির সব হাত সম্মিলিত হবে না? কেন গণমানুষের উদ্যোগে প্রেরণা দেবে না রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক শক্তি? এমন সুন্দর ভোরে আমাদের একটিই প্রত্যাশা_ দূর হোক অশান্তি। শীতের কুয়াশা ভেদ করে ওঠা রাঙা প্রভাত আলোকিত করুক সবার জীবন। সম্ভাবনার বাংলাদেশ হেসে উঠবেই।
কিন্তু কেমন সূচনা হলো নতুন বছরের? কেমনই-বা কেটেছে বিদায়ী বছরটি? ২০১৩ সালকে স্বাগত জানিয়ে লেখা সম্পাদকীয়তে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছিল_ রাজনৈতিক অঙ্গন যেন অনাবশ্যক উত্তপ্ত না হয়, 'জনজীবন যেন অকারণ বিঘ্ন ও যন্ত্রণায় দগ্ধ না হয়।' কিন্তু প্রত্যাশা ও বাস্তবতার এমন যোজন প্রমাণ ব্যবধান সম্ভবত অতীতে কখনোই দেখা যায়নি। প্রায় পুরো বছরই কেটেছে রাজনৈতিক অস্থিরতায়, অনিশ্চয়তায়। শুভবুদ্ধিকে বারবার গ্রাস করেছে হিংসা ও দ্বেষ। সুবচন নির্বাসনে গিয়েছে_ এমন হতাশাই সর্বত্র। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান রাজনৈতিক দল ও জোটের মধ্যে বিভাজন চরমে। কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নয়। প্রতিদিন শহর-বন্দর-গ্রামের অনেক স্থান রক্তাক্ত হচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। এর অবসান কবে ও কীভাবে ঘটবে, কেউ বলতে পারে না। আমরা নতুন বছরটি শুরু করতে চলেছি প্রধান বিরোধী জোটের অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা স্থল, নৌ ও রেলপথের উদাত্ত আহ্বানের মধ্য দিয়ে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের অর্জনের তালিকা বেশ দীর্ঘ। এখন আর কেউ আমাদের বাস্কেট কেস বা পরনির্ভর বলে অপবাদ দিতে পারে না। সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ছে কৃষি-শিল্প-সেবা খাতের উৎপাদন। ফসলের মাঠ দেখে সবার প্রাণে আসে প্রশান্তিস্ন। ফেব্রুয়ারি-মার্চে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে তারুণ্যের উজ্জীবন আমরা দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পরিচালনার জন্য তাদের সংকল্পকে বিশ্ববাসী তারিফ করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার কাজ অনেক দূর এগিয়েছে এবং বিদায়ী বছরেই একজন শীর্ষ অপরাধীর দণ্ড কার্যকর হয়েছে।
এমন দেশে কেন অশান্তি ও অস্থিরতা থাকবে? কেন দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শুভবুদ্ধির সব হাত সম্মিলিত হবে না? কেন গণমানুষের উদ্যোগে প্রেরণা দেবে না রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক শক্তি? এমন সুন্দর ভোরে আমাদের একটিই প্রত্যাশা_ দূর হোক অশান্তি। শীতের কুয়াশা ভেদ করে ওঠা রাঙা প্রভাত আলোকিত করুক সবার জীবন। সম্ভাবনার বাংলাদেশ হেসে উঠবেই।
No comments