প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগ- শীতার্তদের জন্য একটু উষ্ণতা
প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ৬৫০ জন দুস্থ শীতার্ত ব্যক্তির মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের উলিপুরে ২৫০টি, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ২১০ ও পঞ্চগড় সদরে ১৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়।
আগের দিন বুধবার পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ৫০ জন দুস্থ নারী-পুরুষকে কম্বল দেওয়া হয়।
দুস্থদের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও শীতবস্ত্র সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর মধ্যে হংকং সাংহাই ব্যাংক করপোরেশন (এইচএসবিসি) তিন লাখ টাকা, সুলতানা আহমেদ ৫০ হাজার টাকা, তানজিনা সামিনা নাসরীন ২০ হাজার টাকা ও ‘বদলে যাও বদলে দাও মিছিল’ ব্লগের লেখকেরা ২০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। গোল্ডেন হারভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এক হাজার কম্বল ও উলেন অ্যান্ড উল লিমিটেড ১০০ সোয়েটার জমা দিয়েছে।
এসব শীতবস্ত্র ইতিমধ্যে দেশের ১৭টি এলাকায় পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগির তা দুস্থদের মধ্যে বিলি করা হবে। এলাকাগুলো হলো: পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, নীলফামারী, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, ভোলা, যশোর, রংপুরের বদরগঞ্জ, দিনাজপুরের বিরামপুর, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, নাটোরের লালপুর, পাবনার ঈশ্বরদী ও চাটমোহর এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম।
প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
সাতক্ষীরা: আইলাদুর্গত উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনরের চুনকুড়ি, সিংহড়তলী, হরিনগর, কদমতলা, জেলেপাড়া ও সাধুপাড়ায় কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে সিংহড়তলী গ্রামের সরবানু বিবি (৭৪) বলেন, ‘কত নোককে কলাম, শীতি কুষ্টে মরে যেতেছি। কুম্বল না হলি সোয়টার দেও। কেউ দে-লো না। তুমাগে কুম্বল পিয়ে শীত থ্যাকি ব্যাচি যাবনে। পেথম আনো বেশি বেশি করে আমাগো পাশে দাঁড়াক। দোয়া কুরি।’
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ কলেজের শিক্ষক আশুতোষ মণ্ডল, সামিউল মনির, বনশ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ওসমান গণি পাঁড়, সাতক্ষীরা প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি ভৈরব সরকার, সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
পঞ্চগড়: সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের প্রধানপাড়া, দলুয়াপাড়া, ভোলাপাড়া, বামনপাড়া, ফকিরপাড়া, বসুনিয়াপাড়া ও তালমা গ্রামের দেড় শ শীতার্ত নারী-পুরুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে বসুনিয়াপাড়া গ্রামের ভিক্ষুক অমিছা বেগম (৭৫) বলেন, ‘তুমরা কায়রে বাবা, জারের তানে কয়দিন থেকে নিন্দিবা পারু না। আজি ভাল করে নিন্দাম।’
উলিপুর (কুড়িগ্রাম): ‘এই ঠান্ডাত মরি গেইনো বাহে। ঠান্ডা নাগলে আর নিন ধরে না। কম্বল পায়া হামার খুব উপকার হইল। আজকা রাইতোত ভালো করি ঘুম পাড়মো।’ প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া কম্বল পেয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান উলিপুরের গুনাইগাছ ইউনিয়নের মনভোলা (৬০)।
গতকাল উলিপুরের ধামশ্রেণী, তবকপুর, গুনাইগাছ ও পৌর এলাকার দুস্থ শীতার্ত নারী-পুরুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ফয়জার রহমান।
সহায়তা করতে চাইলে: সমাজের দানশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শীতার্তদের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট ত্রাণ তহবিলে শীতবস্ত্র প্রদান ও আর্থিক সহায়তা করতে পারেন। প্রথম আলো কার্যালয়ে ৮১৮০০৭৮-৮১ নম্বরে ফোন করে প্রথম আলো ট্রাস্টে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রয়োজনে প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদ মুঠোফোন- ০১৯১৪৬০০৭৭০।
দুস্থদের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও শীতবস্ত্র সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর মধ্যে হংকং সাংহাই ব্যাংক করপোরেশন (এইচএসবিসি) তিন লাখ টাকা, সুলতানা আহমেদ ৫০ হাজার টাকা, তানজিনা সামিনা নাসরীন ২০ হাজার টাকা ও ‘বদলে যাও বদলে দাও মিছিল’ ব্লগের লেখকেরা ২০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। গোল্ডেন হারভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এক হাজার কম্বল ও উলেন অ্যান্ড উল লিমিটেড ১০০ সোয়েটার জমা দিয়েছে।
এসব শীতবস্ত্র ইতিমধ্যে দেশের ১৭টি এলাকায় পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগির তা দুস্থদের মধ্যে বিলি করা হবে। এলাকাগুলো হলো: পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, নীলফামারী, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, ভোলা, যশোর, রংপুরের বদরগঞ্জ, দিনাজপুরের বিরামপুর, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, নাটোরের লালপুর, পাবনার ঈশ্বরদী ও চাটমোহর এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম।
প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
সাতক্ষীরা: আইলাদুর্গত উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনরের চুনকুড়ি, সিংহড়তলী, হরিনগর, কদমতলা, জেলেপাড়া ও সাধুপাড়ায় কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে সিংহড়তলী গ্রামের সরবানু বিবি (৭৪) বলেন, ‘কত নোককে কলাম, শীতি কুষ্টে মরে যেতেছি। কুম্বল না হলি সোয়টার দেও। কেউ দে-লো না। তুমাগে কুম্বল পিয়ে শীত থ্যাকি ব্যাচি যাবনে। পেথম আনো বেশি বেশি করে আমাগো পাশে দাঁড়াক। দোয়া কুরি।’
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ কলেজের শিক্ষক আশুতোষ মণ্ডল, সামিউল মনির, বনশ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ওসমান গণি পাঁড়, সাতক্ষীরা প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি ভৈরব সরকার, সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
পঞ্চগড়: সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের প্রধানপাড়া, দলুয়াপাড়া, ভোলাপাড়া, বামনপাড়া, ফকিরপাড়া, বসুনিয়াপাড়া ও তালমা গ্রামের দেড় শ শীতার্ত নারী-পুরুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে বসুনিয়াপাড়া গ্রামের ভিক্ষুক অমিছা বেগম (৭৫) বলেন, ‘তুমরা কায়রে বাবা, জারের তানে কয়দিন থেকে নিন্দিবা পারু না। আজি ভাল করে নিন্দাম।’
উলিপুর (কুড়িগ্রাম): ‘এই ঠান্ডাত মরি গেইনো বাহে। ঠান্ডা নাগলে আর নিন ধরে না। কম্বল পায়া হামার খুব উপকার হইল। আজকা রাইতোত ভালো করি ঘুম পাড়মো।’ প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া কম্বল পেয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান উলিপুরের গুনাইগাছ ইউনিয়নের মনভোলা (৬০)।
গতকাল উলিপুরের ধামশ্রেণী, তবকপুর, গুনাইগাছ ও পৌর এলাকার দুস্থ শীতার্ত নারী-পুরুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ফয়জার রহমান।
সহায়তা করতে চাইলে: সমাজের দানশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শীতার্তদের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট ত্রাণ তহবিলে শীতবস্ত্র প্রদান ও আর্থিক সহায়তা করতে পারেন। প্রথম আলো কার্যালয়ে ৮১৮০০৭৮-৮১ নম্বরে ফোন করে প্রথম আলো ট্রাস্টে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রয়োজনে প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদ মুঠোফোন- ০১৯১৪৬০০৭৭০।
No comments