স্পেলিং বি চ্যাম্পিয়ন-আদিবের অর্জন by মারুফ ইসলাম

দিন কয়েক আগের আদিব উল হক আর আজকের আদিব উল হকের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। আদিব এখন যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই প্রশংসা কুড়াচ্ছে। পরিবারের লোকজন তো বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি অপরিচিত কেউ কেউ আদিবের পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলছেন, ‘শাবাশ বেটা!’ বলার অপেক্ষা রাখে না, আদিব এখন রীতিমতো তারকা।


যে উপলক্ষ আদিবের জীবন ও জগৎকে বদলে দিয়েছে এমন নাটকীয়ভাবে তার নাম ‘ডেইলি স্টার স্পেলিং বি চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১২’। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ১১৩১ টি স্কুলের ৯৬৯৬৭ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে আদিব হয়েছে সারা দেশের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে মেট লাইফ এলিকোর পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকার জীবন বিমা এবং ঢাকা-ওয়াশিংটন-ঢাকা বিমান টিকিট।
এই অর্জনে আদিবের আনন্দ উপচেপড়া, ‘আমি সত্যিই অভিভূত! একেবারে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাব এমনটা ভাবিনি। এখন মনে হচ্ছে আমি যোগ্য ছিলাম বলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’
আদিব চট্টগ্রামের ছেলে। পড়ছে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে দশম শ্রেণীতে। মা-বাবা আর একমাত্র বড় বোনের সঙ্গে বাস করে চট্টগ্রামের নেভাল অফিসার্স কোয়ার্টারে। বাবা একজন আর্মি মেডিকেল অফিসার, মা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্যাথলজিস্ট আর বোন পড়ছেন ডেন্টাল সার্জারিতে। পরিবারের এই তিনজন মানুষের বাইরেও আদিবের আর একটা ভালোবাসার বস্তু আছে। সেটি হচ্ছে কম্পিউটার। অবসরের অনেকটা সময়ই তার কাটে কম্পিউটারে গেম খেলে। তাই স্পেলিং বির অনলাইন এবং স্কুল—দুই পর্যায়ের ‘স্পেলিং পাসওর্য়াড’ খেলায় সে হয়েছে সেরা। ১০ স্কোরের মধ্যে আদিবের স্কোর ৭.৫। শুধু তা-ই নয়, স্কুলের প্রতিটি পরীক্ষাতেই আদিবের অবস্থান প্রথম সারিতে।
আদিব চায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে। তাই তো ভবিষ্যতের কথা বলতে গিয়ে আদিব বলে, ‘জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই মেধা ও যোগ্যতার বলে।’
আদিব যে পারবে তার প্রমাণ সে ইতিমধ্যেই রেখেছে। আদিবের জন্য শুভ কামনা।

No comments

Powered by Blogger.