গোলটেবিল বৈঠক-এ সমাজ এখনো শিশুবান্ধব হয়ে উঠতে পারেনি
পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে শিশুরা ঝুঁকি ও হুমকির মধ্যে বেড়ে উঠছে। শিশুদের সুরক্ষায় দেশে আইন ও নীতি থাকলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ হলেও এই সমাজ এখনো শিশুবান্ধব হয়ে উঠতে পারেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলো আয়োজিত ‘শিশু সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা দেশে শিশুদের পরিস্থিতির এ মূল্যায়ন করেন।
উপেক্ষিতভাবে বেড়ে ওঠা শিশুদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে সুযোগ্য নেতৃত্ব কতটুকু আশা করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আলোচকেরা। একটি শিশুবান্ধব সমাজ গঠনের জন্য করণীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন।
আলোচকদের বক্তব্য থেকে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, সেগুলোর মধ্যে আছে শিশু সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা, পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা, গণমাধ্যমকে আরও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা ইত্যাদি।
আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল শিশু বিবেচিত হওয়ার বয়স। আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাইয়ে খসড়া শিশু আইনে শিশুর বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ১৮ থেকে অনূর্ধ্ব ১৬ হয়ে যাওয়ায় আলোচকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেননা, মন্ত্রিসভা যে খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন করে, তাতেও শিশুর বয়স ছিল অনূর্ধ্ব ১৮। সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয় খসড়াটি খতিয়ে দেখে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ এতে বিস্ময় প্রকাশ করেন। কমিটির আগামী সভায় বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান তিনি।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘শিশু আইনের খসড়া তৈরিতে অনেক শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে। ..কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং করে খসড়ার খোলনলচে পাল্টে ফেলেছে। শিশুর বয়স অনূর্ধ্ব ১৮ করার জন্য যা করা দরকার, মন্ত্রণালয় তা-ই করবে।’
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) পুলিশ রিফর্ম প্রোগ্রামের ভিকটিম সাপোর্ট বিশেষজ্ঞ মুমিনুন নেছা মন্তব্য করেন, ‘শিশুরা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে’ এ ধরনের ‘ঢালাও মন্তব্যে’ শিশুর বয়সসীমা কমিয়ে ফেলা হচ্ছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক শিশুদের সুরক্ষায় একটি জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করেন।
আইনের বাস্তবায়ন ও নজরদারির ওপর জোর দেন সাংসদ ও আইনজীবী তারানা হালিম।
তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম বাল্যবিবাহ সমস্যাটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এটি সামাজিকভাবে স্বীকৃত হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন এ বিয়ে বন্ধ করতে পারছে না। জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে কাজিরা দুটি রেজিস্টার খাতা ব্যবহার করছেন। একটিতে তাঁরা বর-কনের আসল বয়স ও অন্যটিতে নকল বয়স লিখে রাখছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়গুলো জানেন।’
শিশুদের সুরক্ষায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কিছু সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। সালমা আলী বলেন, পাচারসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ থেকে উদ্ধার করা শিশুদের সমাজে বা পরিবারে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আইনি সহায়তাসহ বিভিন্ন কাঠামোগত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিনি কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রসহ সরকার পরিচালিত শিশুদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মান নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান শাহ আলম একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘দেশে বর্তমানে পথশিশুর সংখ্যা ১০ লাখ। তাই আইন বা আইনের বাস্তবায়ন দিয়ে কী হবে? সরকার এই শিশুদের জন্য কী করছে, তা-ই বড় কথা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আমানউল্লাহ বিভিন্ন স্তরের কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
পরিবারের ভেতরের সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম। তিনি বলেন, ‘পরিবারের ভেতরে শিশুরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেন সন্তান জন্ম দিয়েছে বা অভিভাবক হওয়ার যোগ্যতা আছে কি না, এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। শিশু সুরক্ষিত না থাকলে অভিভাবকদের আইনি কাঠগড়ায় দাঁড়ানোরও ব্যবস্থা করতে হবে।’
জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ এম এম আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি সরকারের কোন মন্ত্রণালয় বা কারা দেখছে, তার কোনো উত্তর পাওয়া যায় না।
শিশুদের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দেন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব সারা যাকের।
গণমাধ্যমেও শিশুদের বিষয়টি তুলনামূলকভাবে উপেক্ষিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রথম আলোর ফিচার সম্পাদক সুমনা শারমীন বলেন, ‘পত্রিকায় শিশুবিষয়ক সংবাদ কম ছাপা হয়। যা ছাপা হয়, তার মধ্যেও পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু, দুর্ঘটনায় আহত শিশু, অপহরণ বা মুক্তিপণের জন্য আটক বা হত্যার শিকার শিশুরাই প্রাধান্য পায়।’ সুমনা শারমীন উল্লেখ করেন, প্রথম আলোর পক্ষ থেকে শিশুবিষয়ক সংবাদ প্রকাশের জন্য একটি নীতির খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক কাজী জিয়াউদ্দিন বলেন, শিশুদের উন্নয়নে আইনের প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে। শিশুবান্ধব পুলিশ তৈরিতে পুলিশের প্রশিক্ষণেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশু সুরক্ষা বিভাগের পরিচালক নায়োমি কাননানগারা বলেন, ‘শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সেভ দ্য চিলড্রেন বিভিন্নভাবে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তবে সরকার, সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও শিশু সুরক্ষায় সবার এগিয়ে আসা জরুরি।’
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের সহসভাপতি এহছানুর রহমান বলেন, শিশু সুরক্ষায় স্থানীয় উদ্যোগগুলো বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছে না। তিনি জাতীয় নীতির পাশাপাশি আলাদা সুরক্ষা নীতি করার তাগিদ দেন।
ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী বলেন, বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির ব্যবহারও অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। রাষ্ট্রকে এ বিষয়টিতে নজর দিতে হবে।
উপেক্ষিতভাবে বেড়ে ওঠা শিশুদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে সুযোগ্য নেতৃত্ব কতটুকু আশা করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আলোচকেরা। একটি শিশুবান্ধব সমাজ গঠনের জন্য করণীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা।
আন্তর্জাতিক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম আলোচনায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন।
আলোচকদের বক্তব্য থেকে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, সেগুলোর মধ্যে আছে শিশু সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা, পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা, গণমাধ্যমকে আরও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা ইত্যাদি।
আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল শিশু বিবেচিত হওয়ার বয়স। আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাইয়ে খসড়া শিশু আইনে শিশুর বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ১৮ থেকে অনূর্ধ্ব ১৬ হয়ে যাওয়ায় আলোচকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেননা, মন্ত্রিসভা যে খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন করে, তাতেও শিশুর বয়স ছিল অনূর্ধ্ব ১৮। সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয় খসড়াটি খতিয়ে দেখে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ এতে বিস্ময় প্রকাশ করেন। কমিটির আগামী সভায় বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান তিনি।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘শিশু আইনের খসড়া তৈরিতে অনেক শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে। ..কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং করে খসড়ার খোলনলচে পাল্টে ফেলেছে। শিশুর বয়স অনূর্ধ্ব ১৮ করার জন্য যা করা দরকার, মন্ত্রণালয় তা-ই করবে।’
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) পুলিশ রিফর্ম প্রোগ্রামের ভিকটিম সাপোর্ট বিশেষজ্ঞ মুমিনুন নেছা মন্তব্য করেন, ‘শিশুরা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে’ এ ধরনের ‘ঢালাও মন্তব্যে’ শিশুর বয়সসীমা কমিয়ে ফেলা হচ্ছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক শিশুদের সুরক্ষায় একটি জাতীয় শিশু অধিকার কমিশন গঠন করার প্রস্তাব করেন।
আইনের বাস্তবায়ন ও নজরদারির ওপর জোর দেন সাংসদ ও আইনজীবী তারানা হালিম।
তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম বাল্যবিবাহ সমস্যাটি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এটি সামাজিকভাবে স্বীকৃত হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন এ বিয়ে বন্ধ করতে পারছে না। জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে কাজিরা দুটি রেজিস্টার খাতা ব্যবহার করছেন। একটিতে তাঁরা বর-কনের আসল বয়স ও অন্যটিতে নকল বয়স লিখে রাখছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়গুলো জানেন।’
শিশুদের সুরক্ষায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কিছু সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। সালমা আলী বলেন, পাচারসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ থেকে উদ্ধার করা শিশুদের সমাজে বা পরিবারে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আইনি সহায়তাসহ বিভিন্ন কাঠামোগত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিনি কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রসহ সরকার পরিচালিত শিশুদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মান নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান শাহ আলম একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘দেশে বর্তমানে পথশিশুর সংখ্যা ১০ লাখ। তাই আইন বা আইনের বাস্তবায়ন দিয়ে কী হবে? সরকার এই শিশুদের জন্য কী করছে, তা-ই বড় কথা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আমানউল্লাহ বিভিন্ন স্তরের কর্মসূচির মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
পরিবারের ভেতরের সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম। তিনি বলেন, ‘পরিবারের ভেতরে শিশুরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেন সন্তান জন্ম দিয়েছে বা অভিভাবক হওয়ার যোগ্যতা আছে কি না, এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। শিশু সুরক্ষিত না থাকলে অভিভাবকদের আইনি কাঠগড়ায় দাঁড়ানোরও ব্যবস্থা করতে হবে।’
জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ এম এম আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি সরকারের কোন মন্ত্রণালয় বা কারা দেখছে, তার কোনো উত্তর পাওয়া যায় না।
শিশুদের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দেন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব সারা যাকের।
গণমাধ্যমেও শিশুদের বিষয়টি তুলনামূলকভাবে উপেক্ষিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রথম আলোর ফিচার সম্পাদক সুমনা শারমীন বলেন, ‘পত্রিকায় শিশুবিষয়ক সংবাদ কম ছাপা হয়। যা ছাপা হয়, তার মধ্যেও পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু, দুর্ঘটনায় আহত শিশু, অপহরণ বা মুক্তিপণের জন্য আটক বা হত্যার শিকার শিশুরাই প্রাধান্য পায়।’ সুমনা শারমীন উল্লেখ করেন, প্রথম আলোর পক্ষ থেকে শিশুবিষয়ক সংবাদ প্রকাশের জন্য একটি নীতির খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক কাজী জিয়াউদ্দিন বলেন, শিশুদের উন্নয়নে আইনের প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে। শিশুবান্ধব পুলিশ তৈরিতে পুলিশের প্রশিক্ষণেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশু সুরক্ষা বিভাগের পরিচালক নায়োমি কাননানগারা বলেন, ‘শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সেভ দ্য চিলড্রেন বিভিন্নভাবে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তবে সরকার, সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও শিশু সুরক্ষায় সবার এগিয়ে আসা জরুরি।’
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের সহসভাপতি এহছানুর রহমান বলেন, শিশু সুরক্ষায় স্থানীয় উদ্যোগগুলো বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছে না। তিনি জাতীয় নীতির পাশাপাশি আলাদা সুরক্ষা নীতি করার তাগিদ দেন।
ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী বলেন, বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির ব্যবহারও অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। রাষ্ট্রকে এ বিষয়টিতে নজর দিতে হবে।
No comments