চাঁদাবাজি বন্ধ করুন আগে-অতিরিক্ত মুনাফা নিয়ন্ত্রণ
প্রতিবছর রমজানের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যা করে থাকে, এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। ব্যবসায়ীদের ডেকে বৈঠক করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খুচরা ব্যবসায়ীরা ১০ শতাংশের বেশি মুনাফা করতে পারবেন না।
ব্যবসায়ীরা নাকি নিজেরাই খুশি হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি এটা সত্য হয়, তাহলে বলতে হবে, ব্যবসায়ীদের সুমতি হয়েছে।
কিন্তু এভাবে মুনাফা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের বাস্তবতা ও যৌক্তিকতা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি তাঁরা মনে করেন, এর জন্য বাজারে ভুল সংকেত যেতে পারে। তাহলে তো সত্যিই বিপদ। তাই মন্ত্রণালয়কে ভেবে দেখতে হবে, এ ধরনের আশঙ্কার ভিত্তি আছে কি না।
রমজান মাসে শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরই দাম বাড়ে না, পাড়ায় পাড়ায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ও একশ্রেণীর টহল পুলিশের তোলাবাজিও বাড়ে। তখন ব্যবসায়ীদের আর ১০ শতাংশ মুনাফায় চলে না। এ ছাড়া বাড়ে দুধের দাম। ঈদের দু-এক দিন আগে থেকে মিল্কভিটা দুধের দাম বাড়তে বাড়তে শেষ পর্যন্ত দ্বিগুণও হয়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, দুধের সরবরাহ কম, তাই বেশি দামে কিনে আনতে হয়। তাঁরা হয়তো ১০ শতাংশ মুনাফাই করেন, কিন্তু মানুষকে কিনতে হয় দ্বিগুণ দামে। মাঝখান থেকে সরবরাহকারীরা লুটে নেয় প্রচুর টাকা।
তাই মুনাফা ১০ শতাংশে সীমিত রাখতে হলে পাড়ায় পাড়ায় চাঁদাবাজি, দলবাজিসহ যাবতীয় অপকর্ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী ১০ শতাংশের বেশি মুনাফা করলে জরিমানাসহ আইনানুযায়ী সব ব্যবস্থা গ্রহণের যে কথা বলা হয়েছে, সেটা ভালো। কিন্তু চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথাটিও একই সভায় সমগুরুত্ব দিয়ে উচ্চারিত হলে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি পেতেন।
তবে নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেবল ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর বসে থাকলে চলবে না। সরকারকে বিকল্প বিপণনব্যবস্থার কথাও ভাবতে হবে। সেই কাজটি করার দায়িত্ব যাদের, সেই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবির কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। প্রথম আলোর রংপুর প্রতিনিধির খবরে জানা যায়, জেলায় সংস্থাটির যে ১৬১ জন ডিলার আছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই দোকানের হদিস নেই। এ রকম হদিস না পাওয়া ডিলার সারা দেশেই কম-বেশি আছেন।
এর পাশাপাশি নিরাপদে পণ্যের পরিবহন নিশ্চিত করাও জরুরি। পথে পথে ট্রাক থামিয়ে টাকা আদায়ের বহুল প্রচলিত ব্যবস্থাটি ভাঙতে হবে। যদি ব্যবসায়ীদের কাছে নির্বিঘ্নে পণ্য পৌঁছায়, যদি পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত ১০ শতাংশের বেশি মুনাফা করার সুযোগই পাবেন না। এই কাজগুলো সরকারকেই করতে হবে।
অতিরিক্ত মুনাফা বন্ধের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। প্রশ্ন হলো, উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হবে কি না। অনেক সময় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার জন্য অনেক ভালো উদ্যোগও কার্যকর হয় না। নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে এর পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
কিন্তু এভাবে মুনাফা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের বাস্তবতা ও যৌক্তিকতা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি তাঁরা মনে করেন, এর জন্য বাজারে ভুল সংকেত যেতে পারে। তাহলে তো সত্যিই বিপদ। তাই মন্ত্রণালয়কে ভেবে দেখতে হবে, এ ধরনের আশঙ্কার ভিত্তি আছে কি না।
রমজান মাসে শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরই দাম বাড়ে না, পাড়ায় পাড়ায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ও একশ্রেণীর টহল পুলিশের তোলাবাজিও বাড়ে। তখন ব্যবসায়ীদের আর ১০ শতাংশ মুনাফায় চলে না। এ ছাড়া বাড়ে দুধের দাম। ঈদের দু-এক দিন আগে থেকে মিল্কভিটা দুধের দাম বাড়তে বাড়তে শেষ পর্যন্ত দ্বিগুণও হয়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, দুধের সরবরাহ কম, তাই বেশি দামে কিনে আনতে হয়। তাঁরা হয়তো ১০ শতাংশ মুনাফাই করেন, কিন্তু মানুষকে কিনতে হয় দ্বিগুণ দামে। মাঝখান থেকে সরবরাহকারীরা লুটে নেয় প্রচুর টাকা।
তাই মুনাফা ১০ শতাংশে সীমিত রাখতে হলে পাড়ায় পাড়ায় চাঁদাবাজি, দলবাজিসহ যাবতীয় অপকর্ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী ১০ শতাংশের বেশি মুনাফা করলে জরিমানাসহ আইনানুযায়ী সব ব্যবস্থা গ্রহণের যে কথা বলা হয়েছে, সেটা ভালো। কিন্তু চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথাটিও একই সভায় সমগুরুত্ব দিয়ে উচ্চারিত হলে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি পেতেন।
তবে নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেবল ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর বসে থাকলে চলবে না। সরকারকে বিকল্প বিপণনব্যবস্থার কথাও ভাবতে হবে। সেই কাজটি করার দায়িত্ব যাদের, সেই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবির কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। প্রথম আলোর রংপুর প্রতিনিধির খবরে জানা যায়, জেলায় সংস্থাটির যে ১৬১ জন ডিলার আছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই দোকানের হদিস নেই। এ রকম হদিস না পাওয়া ডিলার সারা দেশেই কম-বেশি আছেন।
এর পাশাপাশি নিরাপদে পণ্যের পরিবহন নিশ্চিত করাও জরুরি। পথে পথে ট্রাক থামিয়ে টাকা আদায়ের বহুল প্রচলিত ব্যবস্থাটি ভাঙতে হবে। যদি ব্যবসায়ীদের কাছে নির্বিঘ্নে পণ্য পৌঁছায়, যদি পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত ১০ শতাংশের বেশি মুনাফা করার সুযোগই পাবেন না। এই কাজগুলো সরকারকেই করতে হবে।
অতিরিক্ত মুনাফা বন্ধের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। প্রশ্ন হলো, উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হবে কি না। অনেক সময় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার জন্য অনেক ভালো উদ্যোগও কার্যকর হয় না। নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে এর পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
No comments