সিসিমপুর-শিকুর নতুন আবিষ্কার
টুকটুকি, শিকু, ইকরি ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকে। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে, যা জানতে হলেপড়তে হবে। সিসিমপুরের বিখ্যাত আবিষ্কারক শিকু একটা নতুন যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। যন্ত্রটিতে পুরোনো কাগজ দিলে নতুন কাগজ হয়ে বের হয়ে আসে।
শিকুর যুগান্তকারী এই আবিষ্কার দেখার জন্য টুকটুকি পুরোনো খাতার পাতা নিয়ে হাজির হলো। সে কাগজটা শিকুকে দিয়ে বলল, ‘শিকু, আমার এই পুরোনো কাগজটাকে নতুন বানিয়ে দাও...’
শিকু আনন্দের সঙ্গে তার যন্ত্রের ভেতর কাগজ ঢুকিয়ে দিয়ে বোতামে চাপ দিল। সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রটি পুরোনো কাগজটি ভেতরে টেনে নিল, এবং বের হয়ে এল একেবারে নতুন, ঝকঝকে একটা কাগজ।
টুকটুকি খুশি হয়ে বলল, পুরোনো ফেলে দেওয়া কাগজ নতুনভাবে ব্যবহার করতে যন্ত্রটির তুলনাই হয় না, শিকু! শিকু নতুন কাগজটি টুকটুকিকে উপহার দিল। টুকটুকি ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেল।
হালুম ছুটে এল একটা পুরোনো কাগজ নিয়ে। একইভাবে শিকু হালুমের পুরোনো কাগজটি নতুন বানিয়ে দিলে হালুমও খুশি হয়ে চলে গেল।
এবার ইকরি একটা খবরের কাগজ হাতে ছুটে এসে বলল, ‘শিকু, এই খবরের কাগজটা দিয়ে নতুন কিছু বানিয়ে দাও।’ শিকু খবরের কাগজটা মেশিনে ঢুকিয়ে বোতামে চাপ দিল। যন্ত্রটা একটু নড়েচড়ে উঠে বন্ধ হয়ে গেল। শিকু কয়েকবার চেষ্টা করলেও কাগজটা ভেতরেও গেল না, নতুন কিছু তৈরিও হলো না। শিকু চিন্তিত হয়ে বলল, মনে হয় যন্ত্রটা নষ্টই হয়ে গেছে! ইকরি ভীষণ হতাশ হলো।
ঠিক সেই সময় গুণীময়রা ছুটে এসে বলল, ‘ইকরি, তুমি পুরোনো খবরের কাগজ চাইলে, আর আমি ভুল করে আজকের পত্রিকাটা দিয়ে ফেলেছি।’
শিকু বলল, ‘আজকের পত্রিকা? তার মানে নতুন কাগজ! এ জন্যই যন্ত্রটা কাজ করছে না। এই যন্ত্র শুধু পুরোনো কাগজকে নতুন বানায়!’
গুণীময়রা বলল, ‘শিকু, আমি অনেক পুরোনো কাগজ এনেছি। তুমি এগুলো নতুন বানিয়ে ইকরিকে দাও!’
গুণীময়রার হাত থেকে পুরোনো কাগজ নিয়ে শিকু আবার নতুন কাগজ বানাতে শুরু করল।
ইকরিও খুশি হয়ে বলল, ছিল পুরোনো, হয়ে যাচ্ছে নতুন!
কী মজা!
শিকু আনন্দের সঙ্গে তার যন্ত্রের ভেতর কাগজ ঢুকিয়ে দিয়ে বোতামে চাপ দিল। সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রটি পুরোনো কাগজটি ভেতরে টেনে নিল, এবং বের হয়ে এল একেবারে নতুন, ঝকঝকে একটা কাগজ।
টুকটুকি খুশি হয়ে বলল, পুরোনো ফেলে দেওয়া কাগজ নতুনভাবে ব্যবহার করতে যন্ত্রটির তুলনাই হয় না, শিকু! শিকু নতুন কাগজটি টুকটুকিকে উপহার দিল। টুকটুকি ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেল।
হালুম ছুটে এল একটা পুরোনো কাগজ নিয়ে। একইভাবে শিকু হালুমের পুরোনো কাগজটি নতুন বানিয়ে দিলে হালুমও খুশি হয়ে চলে গেল।
এবার ইকরি একটা খবরের কাগজ হাতে ছুটে এসে বলল, ‘শিকু, এই খবরের কাগজটা দিয়ে নতুন কিছু বানিয়ে দাও।’ শিকু খবরের কাগজটা মেশিনে ঢুকিয়ে বোতামে চাপ দিল। যন্ত্রটা একটু নড়েচড়ে উঠে বন্ধ হয়ে গেল। শিকু কয়েকবার চেষ্টা করলেও কাগজটা ভেতরেও গেল না, নতুন কিছু তৈরিও হলো না। শিকু চিন্তিত হয়ে বলল, মনে হয় যন্ত্রটা নষ্টই হয়ে গেছে! ইকরি ভীষণ হতাশ হলো।
ঠিক সেই সময় গুণীময়রা ছুটে এসে বলল, ‘ইকরি, তুমি পুরোনো খবরের কাগজ চাইলে, আর আমি ভুল করে আজকের পত্রিকাটা দিয়ে ফেলেছি।’
শিকু বলল, ‘আজকের পত্রিকা? তার মানে নতুন কাগজ! এ জন্যই যন্ত্রটা কাজ করছে না। এই যন্ত্র শুধু পুরোনো কাগজকে নতুন বানায়!’
গুণীময়রা বলল, ‘শিকু, আমি অনেক পুরোনো কাগজ এনেছি। তুমি এগুলো নতুন বানিয়ে ইকরিকে দাও!’
গুণীময়রার হাত থেকে পুরোনো কাগজ নিয়ে শিকু আবার নতুন কাগজ বানাতে শুরু করল।
ইকরিও খুশি হয়ে বলল, ছিল পুরোনো, হয়ে যাচ্ছে নতুন!
কী মজা!
No comments