২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট পাস
২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। বিকেলে স্পিকার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে এক লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব কণ্ঠভোটে পাস হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মহাজোট সরকারের অন্য সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১ জুলাই রবিবার থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট কার্যক্রম শুরু হবে। ২০১৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই বাজেট বাস্তবায়ন করা হবে।
বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট দুই লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার 'নির্দিষ্টকরণ বিল' সংসদে কণ্ঠভোটে পাস করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১২-১৩ অর্থবছরের 'নির্দিষ্টকরণ বিল-২০১২' উত্থাপন করলে তা সংসদে গৃহীত হয়।
মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব : গতকাল সকাল সোয়া ১১টায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এতে সংসদে ৫৬টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপিত হয়। ছাঁটাই প্রস্তাব করা হয় ৮১১টি। তবে বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকায় তাদের আনা ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো সংসদে উত্থাপিত হয়নি। সংসদের একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিমের আনা ৯টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনোটিই গ্রহণ করা হয়নি, কণ্ঠভোটে নাকচ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ব্যয় কমিয়ে ৮১১টি বিভিন্ন ধরনের ছাঁটাই প্রস্তাব করা হয়। ব্যয় কমিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতীকী মাত্র এক টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া ছাঁটাই প্রস্তাবে প্রতীকী ১০০ টাকা কমানো এবং মিতব্যয় ছাঁটাই প্রস্তাবে এক হাজার টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বিমানের বেহাল দশার সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি মন্ত্রীদের ওপর উপদেষ্টাদের খবরদারিরও সমালোচনা করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, এ মন্ত্রণালয়ে সীমাহীন দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক সংসদ সদস্যের এলাকার উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। এর তীব্র সমালোচনা করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ফজলুল আজিম একজন বিদ্বান ব্যক্তি। অথচ তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করেন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ মন্ত্রণালয়ে কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ দিতে পারলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাজেটের আকার : নতুন অর্থবছরের জন্য পাস হওয়া বাজেটের আকার হচ্ছে এক লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। এই বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া বৈদেশিক অনুদান বাবদ ছয় হাজার ৪৪ কোটি টাকা আশা করা হচ্ছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আগামী অর্থবছরে সরকারের প্রাপ্তি ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে অনুন্নয়ন ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৫৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘাটতি মেটাতে ৪৬ হাজার ২৪ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ খাত ও বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে। এই ঋণের মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সরকার ৩৩ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা নেবে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। বাকি ১০ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা নেওয়া হবে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। আর বৈদেশিক নিট ঋণ ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্দিষ্টকরণ বিল পাস : ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট দুই লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। এর মধ্যে সংসদ সদস্যদের ভোটে গ্রহণ করা অর্থের পরিমাণ এক লাখ ৭৮ হাজার ৮৭০ কোটি ১৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় এক লাখ চার হাজার ৭২৯ কোটি ৫১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সংযুক্ত তহবিলের দায়ের মধ্যে ট্রেজারি বিলের দায় পরিশোধ, হাইকোর্টের বিচারপতি এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বেতনসহ বিভিন্ন দায় অন্তর্ভুক্ত। মোট বাজেট ব্যয়ের মধ্যে বৈদেশিক অনুদান বাদ দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নির্দিষ্টকরণ অর্থ মঞ্জুরের জন্য সংসদে পাস করা হয়েছে।
গতকাল পাস হওয়া বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করেননি অর্থমন্ত্রী। বরাবরের মতোই বাজেট প্রস্তাবে তুলে ধরা সরকারের উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয়ও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট দুই লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার 'নির্দিষ্টকরণ বিল' সংসদে কণ্ঠভোটে পাস করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১২-১৩ অর্থবছরের 'নির্দিষ্টকরণ বিল-২০১২' উত্থাপন করলে তা সংসদে গৃহীত হয়।
মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব : গতকাল সকাল সোয়া ১১টায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এতে সংসদে ৫৬টি মঞ্জুরি দাবি উত্থাপিত হয়। ছাঁটাই প্রস্তাব করা হয় ৮১১টি। তবে বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকায় তাদের আনা ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো সংসদে উত্থাপিত হয়নি। সংসদের একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিমের আনা ৯টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনোটিই গ্রহণ করা হয়নি, কণ্ঠভোটে নাকচ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ব্যয় কমিয়ে ৮১১টি বিভিন্ন ধরনের ছাঁটাই প্রস্তাব করা হয়। ব্যয় কমিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতীকী মাত্র এক টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া ছাঁটাই প্রস্তাবে প্রতীকী ১০০ টাকা কমানো এবং মিতব্যয় ছাঁটাই প্রস্তাবে এক হাজার টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বিমানের বেহাল দশার সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি মন্ত্রীদের ওপর উপদেষ্টাদের খবরদারিরও সমালোচনা করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, এ মন্ত্রণালয়ে সীমাহীন দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক সংসদ সদস্যের এলাকার উন্নয়নে ১৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। এর তীব্র সমালোচনা করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ফজলুল আজিম একজন বিদ্বান ব্যক্তি। অথচ তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করেন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ মন্ত্রণালয়ে কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ দিতে পারলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাজেটের আকার : নতুন অর্থবছরের জন্য পাস হওয়া বাজেটের আকার হচ্ছে এক লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। এই বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া বৈদেশিক অনুদান বাবদ ছয় হাজার ৪৪ কোটি টাকা আশা করা হচ্ছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আগামী অর্থবছরে সরকারের প্রাপ্তি ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে অনুন্নয়ন ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৫৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘাটতি মেটাতে ৪৬ হাজার ২৪ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ খাত ও বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে। এই ঋণের মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সরকার ৩৩ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা নেবে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে নেওয়া হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। বাকি ১০ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা নেওয়া হবে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। আর বৈদেশিক নিট ঋণ ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্দিষ্টকরণ বিল পাস : ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট দুই লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। এর মধ্যে সংসদ সদস্যদের ভোটে গ্রহণ করা অর্থের পরিমাণ এক লাখ ৭৮ হাজার ৮৭০ কোটি ১৪ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় এক লাখ চার হাজার ৭২৯ কোটি ৫১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সংযুক্ত তহবিলের দায়ের মধ্যে ট্রেজারি বিলের দায় পরিশোধ, হাইকোর্টের বিচারপতি এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বেতনসহ বিভিন্ন দায় অন্তর্ভুক্ত। মোট বাজেট ব্যয়ের মধ্যে বৈদেশিক অনুদান বাদ দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নির্দিষ্টকরণ অর্থ মঞ্জুরের জন্য সংসদে পাস করা হয়েছে।
গতকাল পাস হওয়া বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করেননি অর্থমন্ত্রী। বরাবরের মতোই বাজেট প্রস্তাবে তুলে ধরা সরকারের উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয়ও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
No comments