কোহলির ‘বিরাট’ কীর্তিতে ভারতের জয় by উৎপল শুভ্র
বিরাট কোহলির নামটা কে রেখেছিলেন, জানা নেই। যে-ই রেখে থাকুন, তাঁর এখন গর্ব করার সময়। বিরাট মানে অনেক বড়—বিশাল। বিরাট কোহলি ইদানীং যেন নিজের নামকরণের সার্থকতা প্রমাণের প্রতিজ্ঞা করেই ব্যাটিং করতে নামছেন। ১৯ দিন আগে হোবার্টে ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে এসেছেন।
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া ৮৬ বলে অপরাজিত ১৩৩। বিশালত্বের বিচারে কাল সেটিকেও ছাড়িয়ে গেলেন অনেক দূর।
১৪৮ বলে ১৮৩। ওয়ানডে ইতিহাসেই এর চেয়ে বড় ইনিংস আছে মাত্র ৯টি। এই ইনিংসের আসল তাৎপর্য অবশ্য পরিসংখ্যানে ধরা নেই। হোবার্টের ইনিংসটি সিবি সিরিজের ফাইনালের খেলার ‘লাইফ লাইন’ দিয়েছিল ভারতকে। কাল মিরপুরে কোহলির ‘বিরাট’ ইনিংস বাঁচিয়ে রাখল ভারতের এশিয়া কাপ ফাইনালের আশা।
টুর্নামেন্টের প্রেক্ষাপট যদি ভুলেও যান, তাতেও এই ইনিংস একটুও কম আলো ছড়াচ্ছে না। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট দ্বৈরথের চিরকালীন ‘হল অফ ফেমে’ যে ঢুকে গেল এটি। পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস (আগের সর্বোচ্চ ১৪৮, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিশাখাপত্তনম, ২০০৫)।
দিল্লির ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন যুগের পোস্টারবয়। ‘আইপিএল ক্রিকেটার’ বলে যে নতুন একটা প্রজাতির আবির্ভাব, সেটির প্রতিনিধিত্ব তাঁর চেয়ে বেশি আর কেউ বোধ হয় করেননি। হঠাৎই কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়ার ছাপ মাঠের বাইরে কোহলির জীবনাচরণে ভালোই পড়েছিল। পথ হারিয়ে ফেলার আগেই অবশ্য বোধোদয়। আবার ক্রিকেটে মন ফেরানোর পর থেকে সত্যিকার অর্থেই পরিণত ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতে।
৮৫তম ওয়ানডেতে ১১ নম্বর সেঞ্চুরি করে ফেললেন কাল। পছন্দমতো ভেন্যু বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলে কোহলি বোধ হয় সব ম্যাচ মিরপুরেই খেলতেন! এই মাঠে নয় ম্যাচে চার সেঞ্চুরি ও তিনটি ফিফটি। অর্থাৎ, মিরপুর তাঁকে ফিফটির নিচে ফিরিয়েছে মাত্র দুবার। গড়টা অবিশ্বাস্য—১২২!
সূর্যের মতো দেদীপ্যমান বিরাট কোহলির পাশে বাকি সবাই মিটমিটে প্রদীপ। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মহাকাব্যিক প্রেক্ষাপটে টুকরো টুকরো অনেক ছবি থাকে। কালও থাকল। পাকিস্তানের দুই ওপেনারের সেঞ্চুরি। মোহাম্মদ হাফিজ ১০৫। নাসির জামশেদ ১১২। প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের ডাবল সেঞ্চুরি। ভারমুক্ত শচীন টেন্ডুলকারের পুরোনো রূপে দেখা দেওয়ার ঝলক। সবকিছু শেষে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিয়ে নতুন সমীকরণ।
নতুন সমীকরণটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য খুব সরল। পাকিস্তান ফাইনালে উঠে গেছে বলে রব উঠে গিয়েছিল আগেই। তবে ফাইনালটা পুরোপুরি নিশ্চিত হলো গতকাল, ভারত বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জিততে না পারায়। শ্রীলঙ্কার ক্ষীণ সম্ভাবনাও শেষ। এখন ফাইনালের লড়াইয়ে ভারত আর বাংলাদেশ। আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হিসাবটা খুব সহজ। জিতলেই হবে। তাতে বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। তবে নেট রানরেটের আগে যেহেতু দেখা হবে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল, বাংলাদেশই উঠে যাবে ফাইনালে।
কাল ভারত হারলে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেলেও অঙ্কের হিসাবে একটা সুযোগ থাকত বাংলাদেশের। ম্যাচ অর্ধেকটা পথ পেরোনোর পরও সেই সম্ভাবনাই আলো ছড়াচ্ছিল। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের ২২৪। সম্ভাব্য স্কোরটা তখন সাড়ে তিন শর আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। অথচ পাকিস্তান করতে পারল ‘মাত্র’ ৩২৯। ১৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই ভারতের জয়ে ৩২৯ তো ‘মাত্র’ বলেই প্রমাণিত।
৩৬তম ওভারে ভাঙল পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। অথচ এমন একটা ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েও শেষ ১৪ ওভারে একটাও ছক্কা নেই! পুরো ইনিংসেই ছক্কা মাত্র দুটি—দুই ওপেনারের। শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তান তুলল ৭৩ রান, শেষ ৫ ওভারে ৪২। এমনিতে খারাপ নয়, কিন্তু পাকিস্তান যে অবস্থায় ছিল, সেই বিবেচনায় খুব ভালো কিছুও নয়। বড় রানের ওভার সে অর্থে এলই না। স্কোরবোর্ডে ৩২৯ তাই দুই দলের জন্য বিচিত্র এক অনুভূতি নিয়ে এল। এত রান করেও পাকিস্তান ‘আরও ২০-৩০ রান করা উচিত ছিল’ আক্ষেপে আক্রান্ত। রানবন্যার পরও প্রতিপক্ষকে ‘আটকে রাখা’র তৃপ্তি ভারতের।
তার পরও ৩২৯ অনেক বড় স্কোর। দ্বিতীয় বলেই গৌতম গম্ভীর এলবিডব্লু হয়ে যাওয়ার পর হয়ে গেল আরও বড়। ওয়ানডেতে দুই শতাধিক রান তাড়া করতে নামা দলের এই প্রথম শূন্য রানে উইকেট হারানো!
পাকিস্তানের সেই আনন্দ মুছে দিল পর পর দুটি দুর্দান্ত জুটি। টেন্ডুলকার-কোহলির ১৩৩ রানের পর কোহলি-রোহিত শর্মার ১৭২। অথচ এই ম্যাচে পাকিস্তান নেমেছিল একজন বাড়তি বোলার নিয়ে। এমনিতে দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের ঝাঁজটা তাতে আরও বাড়ার কথা। কিন্তু পাকিস্তানের বোলিং যদি ‘বুনো ওল’ হয়ে থাকে, ভারতীয় ব্যাটিংও দেখা দিল ‘বাঘা তেঁতুল’ হয়ে। শুরুটা হলো টেন্ডুলকারের হাতেই। শততম সেঞ্চুরির পাহাড়প্রমাণ বোঝা নেমে গেছে মাথা থেকে। টেন্ডুলকারের ব্যাটে তাই হারিয়ে যেতে বসা উচ্ছলতা। আইজাজ চিমাকে আপার কাট করে যে ছক্কাটি মারলেন, সেটি মনে করিয়ে দিল ২০০৩ বিশ্বকাপের সেঞ্চুরিয়নকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৮ রানের সেই ইনিংস, যেটিকে টেন্ডুলকারের ৪৯টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির চেয়েও এগিয়ে রাখেন অনেকে। সেই ইনিংসে শোয়েব আখতারের প্রথম ওভারেই এমন আপার কাটে ছয় হয়ে আছে ক্রিকেটীয় রূপকথা।
সাঈদ আজমলের সঙ্গে টেন্ডুলকারের দ্বৈরথটা খুব জমেছিল। বাকি সব বোলারের বিপক্ষে এক শর ওপর স্ট্রাইকরেট। অথচ আজমলের সাত বলে নিতে পেরেছেন মাত্র তিনটি সিঙ্গেল। ছদ্মবেশী এক দুসরায় টেন্ডুলকারের প্রাণহরণও করলেন পাকিস্তানি অফ স্পিনার। ম্যাচে অনিশ্চয়তার ছায়াটা হঠাৎই দীর্ঘতর হয়ে গেল তাতে। খুব বেশিক্ষণ অবশ্য নয়। কোহলি যে নিজেকে ‘বিরাট’ ব্যাটসম্যান বলে প্রমাণ করার মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন এই ম্যাচটিকেই। পাকিস্তানের দুই সেঞ্চুরিয়ানকে পার্শ্বনায়ক বানিয়ে শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচের তাই একটাই নাম।
বিরাট কোহলির ম্যাচ!
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩২৯/৬
ভারত: ৪৭.৫ ওভারে ৩৩০/৪
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী
১৪৮ বলে ১৮৩। ওয়ানডে ইতিহাসেই এর চেয়ে বড় ইনিংস আছে মাত্র ৯টি। এই ইনিংসের আসল তাৎপর্য অবশ্য পরিসংখ্যানে ধরা নেই। হোবার্টের ইনিংসটি সিবি সিরিজের ফাইনালের খেলার ‘লাইফ লাইন’ দিয়েছিল ভারতকে। কাল মিরপুরে কোহলির ‘বিরাট’ ইনিংস বাঁচিয়ে রাখল ভারতের এশিয়া কাপ ফাইনালের আশা।
টুর্নামেন্টের প্রেক্ষাপট যদি ভুলেও যান, তাতেও এই ইনিংস একটুও কম আলো ছড়াচ্ছে না। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট দ্বৈরথের চিরকালীন ‘হল অফ ফেমে’ যে ঢুকে গেল এটি। পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস (আগের সর্বোচ্চ ১৪৮, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিশাখাপত্তনম, ২০০৫)।
দিল্লির ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন যুগের পোস্টারবয়। ‘আইপিএল ক্রিকেটার’ বলে যে নতুন একটা প্রজাতির আবির্ভাব, সেটির প্রতিনিধিত্ব তাঁর চেয়ে বেশি আর কেউ বোধ হয় করেননি। হঠাৎই কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়ার ছাপ মাঠের বাইরে কোহলির জীবনাচরণে ভালোই পড়েছিল। পথ হারিয়ে ফেলার আগেই অবশ্য বোধোদয়। আবার ক্রিকেটে মন ফেরানোর পর থেকে সত্যিকার অর্থেই পরিণত ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতে।
৮৫তম ওয়ানডেতে ১১ নম্বর সেঞ্চুরি করে ফেললেন কাল। পছন্দমতো ভেন্যু বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলে কোহলি বোধ হয় সব ম্যাচ মিরপুরেই খেলতেন! এই মাঠে নয় ম্যাচে চার সেঞ্চুরি ও তিনটি ফিফটি। অর্থাৎ, মিরপুর তাঁকে ফিফটির নিচে ফিরিয়েছে মাত্র দুবার। গড়টা অবিশ্বাস্য—১২২!
সূর্যের মতো দেদীপ্যমান বিরাট কোহলির পাশে বাকি সবাই মিটমিটে প্রদীপ। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মহাকাব্যিক প্রেক্ষাপটে টুকরো টুকরো অনেক ছবি থাকে। কালও থাকল। পাকিস্তানের দুই ওপেনারের সেঞ্চুরি। মোহাম্মদ হাফিজ ১০৫। নাসির জামশেদ ১১২। প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের ডাবল সেঞ্চুরি। ভারমুক্ত শচীন টেন্ডুলকারের পুরোনো রূপে দেখা দেওয়ার ঝলক। সবকিছু শেষে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিয়ে নতুন সমীকরণ।
নতুন সমীকরণটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য খুব সরল। পাকিস্তান ফাইনালে উঠে গেছে বলে রব উঠে গিয়েছিল আগেই। তবে ফাইনালটা পুরোপুরি নিশ্চিত হলো গতকাল, ভারত বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জিততে না পারায়। শ্রীলঙ্কার ক্ষীণ সম্ভাবনাও শেষ। এখন ফাইনালের লড়াইয়ে ভারত আর বাংলাদেশ। আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হিসাবটা খুব সহজ। জিতলেই হবে। তাতে বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। তবে নেট রানরেটের আগে যেহেতু দেখা হবে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল, বাংলাদেশই উঠে যাবে ফাইনালে।
কাল ভারত হারলে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেলেও অঙ্কের হিসাবে একটা সুযোগ থাকত বাংলাদেশের। ম্যাচ অর্ধেকটা পথ পেরোনোর পরও সেই সম্ভাবনাই আলো ছড়াচ্ছিল। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের ২২৪। সম্ভাব্য স্কোরটা তখন সাড়ে তিন শর আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। অথচ পাকিস্তান করতে পারল ‘মাত্র’ ৩২৯। ১৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই ভারতের জয়ে ৩২৯ তো ‘মাত্র’ বলেই প্রমাণিত।
৩৬তম ওভারে ভাঙল পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। অথচ এমন একটা ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েও শেষ ১৪ ওভারে একটাও ছক্কা নেই! পুরো ইনিংসেই ছক্কা মাত্র দুটি—দুই ওপেনারের। শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তান তুলল ৭৩ রান, শেষ ৫ ওভারে ৪২। এমনিতে খারাপ নয়, কিন্তু পাকিস্তান যে অবস্থায় ছিল, সেই বিবেচনায় খুব ভালো কিছুও নয়। বড় রানের ওভার সে অর্থে এলই না। স্কোরবোর্ডে ৩২৯ তাই দুই দলের জন্য বিচিত্র এক অনুভূতি নিয়ে এল। এত রান করেও পাকিস্তান ‘আরও ২০-৩০ রান করা উচিত ছিল’ আক্ষেপে আক্রান্ত। রানবন্যার পরও প্রতিপক্ষকে ‘আটকে রাখা’র তৃপ্তি ভারতের।
তার পরও ৩২৯ অনেক বড় স্কোর। দ্বিতীয় বলেই গৌতম গম্ভীর এলবিডব্লু হয়ে যাওয়ার পর হয়ে গেল আরও বড়। ওয়ানডেতে দুই শতাধিক রান তাড়া করতে নামা দলের এই প্রথম শূন্য রানে উইকেট হারানো!
পাকিস্তানের সেই আনন্দ মুছে দিল পর পর দুটি দুর্দান্ত জুটি। টেন্ডুলকার-কোহলির ১৩৩ রানের পর কোহলি-রোহিত শর্মার ১৭২। অথচ এই ম্যাচে পাকিস্তান নেমেছিল একজন বাড়তি বোলার নিয়ে। এমনিতে দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের ঝাঁজটা তাতে আরও বাড়ার কথা। কিন্তু পাকিস্তানের বোলিং যদি ‘বুনো ওল’ হয়ে থাকে, ভারতীয় ব্যাটিংও দেখা দিল ‘বাঘা তেঁতুল’ হয়ে। শুরুটা হলো টেন্ডুলকারের হাতেই। শততম সেঞ্চুরির পাহাড়প্রমাণ বোঝা নেমে গেছে মাথা থেকে। টেন্ডুলকারের ব্যাটে তাই হারিয়ে যেতে বসা উচ্ছলতা। আইজাজ চিমাকে আপার কাট করে যে ছক্কাটি মারলেন, সেটি মনে করিয়ে দিল ২০০৩ বিশ্বকাপের সেঞ্চুরিয়নকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৮ রানের সেই ইনিংস, যেটিকে টেন্ডুলকারের ৪৯টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির চেয়েও এগিয়ে রাখেন অনেকে। সেই ইনিংসে শোয়েব আখতারের প্রথম ওভারেই এমন আপার কাটে ছয় হয়ে আছে ক্রিকেটীয় রূপকথা।
সাঈদ আজমলের সঙ্গে টেন্ডুলকারের দ্বৈরথটা খুব জমেছিল। বাকি সব বোলারের বিপক্ষে এক শর ওপর স্ট্রাইকরেট। অথচ আজমলের সাত বলে নিতে পেরেছেন মাত্র তিনটি সিঙ্গেল। ছদ্মবেশী এক দুসরায় টেন্ডুলকারের প্রাণহরণও করলেন পাকিস্তানি অফ স্পিনার। ম্যাচে অনিশ্চয়তার ছায়াটা হঠাৎই দীর্ঘতর হয়ে গেল তাতে। খুব বেশিক্ষণ অবশ্য নয়। কোহলি যে নিজেকে ‘বিরাট’ ব্যাটসম্যান বলে প্রমাণ করার মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন এই ম্যাচটিকেই। পাকিস্তানের দুই সেঞ্চুরিয়ানকে পার্শ্বনায়ক বানিয়ে শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচের তাই একটাই নাম।
বিরাট কোহলির ম্যাচ!
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩২৯/৬
ভারত: ৪৭.৫ ওভারে ৩৩০/৪
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী
No comments