২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযোগ গঠন-বিচার শুরু, বাবর তারেক মুজাহিদসহ আসামি ৫২
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর আগে ২০০৮ সালে প্রথম অভিযোগপত্রভুক্ত ২২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়েছিল।
গতকাল রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে সাড়ে সাত বছর আগের ভয়ংকর ওই গ্রেনেড হামলার বিচার শুরু হলো।
এ ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য) সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ২৮ মার্চ ধার্য করেন বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। গতকাল আদালতে গ্রেপ্তার থাকা আসামিদের হাজির করা হয়। আদালতের প্রশ্নের জবাবে তাঁরা সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এ ঘটনার তদন্ত বারবার ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন করে এ মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডি এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির প্রথম অভিযোগপত্র দেয়। তাতে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তাঁর ভাই জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে মামলা দুটির অধিকতর তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে গত বছরের ৩ জুলাই আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। নতুন এই ৩০ জনসহ এখন মোট আসামি ৫২। এঁদের মধ্যে তারেকসহ ১৯ জন পলাতক আছেন।
নতুন ৩০ আসামি: হত্যা মামলায় নতুন আসামিরা হলেন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও জামায়াতের নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাংসদ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, ঢাকার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপির নেতা আরিফুল ইসলাম, হানিফ পরিবহনের স্বত্বাধিকারী মো. হানিফ, জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মুফতি আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ ওরফে আবদুল হান্নান, মাওলানা শেখ ফরিদ, হাফেজ ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য মো. ইউসুফ বাট ওরফে মজিদ বাট (কাশ্মীরি নাগরিক), আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই বাবু ওরফে রাতুল বাবু, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, ঘটনার সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন, লে. কর্নেল (চাকরিচ্যুত) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, খালেদা জিয়ার ভাগনে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, ঘটনার সময় মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, উপকমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, জোট সরকার আমলের তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি আবদুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা বিশেষ পুলিশ সুপার রহুল আমিন ও তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি (সিআইডি) খোদা বক্স চৌধুরী।
এই ৩০ জনের মধ্যে শেষের ১১ জনকে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে করা মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ: রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার প্রধান সরকারি কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হত্যা মামলায় নতুন ৩০ আসামির মধ্যে তারেক রহমান, মুজাহিদ, বাবর, হারিছ চৌধুরী, রেজ্জাকুল হায়দার, আবদুর রহিম, কায়কোবাদ, আরিফুল ইসলাম, হানিফ ও ১০ জঙ্গি নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা, হত্যার চেষ্টা এবং গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে দণ্ডবিধির ১২০বি/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/১০৯ ও ৩৪ ধারায় আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
জোট সরকার আমলের সিআইডির প্রধান ও তিন তদন্ত কর্মকর্তা খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, মুন্সি আতিক ও আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহ ও বলপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার, এ টি এম আমিন, সাবেক দুই আইজিপি আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, খান সাঈদ হাসান, ওবায়দুর রহমান খানের বিরুদ্ধে কর্তব্যকাজে অবহেলার জন্য দণ্ডবিধির ২১২ ও ২১৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ ছাড়া খান সাঈদ ও ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে আলামত ধ্বংস করার দায়ে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ ছাড়া সিআইডি কর্মকর্তারা ২০০০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও পরের বছর সিলেটে বোমা হামলার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে হুজি নেতা মুফতি হান্নানের সম্পৃক্ততার কথা জানতে পারেন। খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, মুন্সী আতিক ও আবদুর রশিদ তখন মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেননি। মূল আসামিদের বাঁচাতে তাঁরা না করে পরস্পর যোগসাজশে জজ মিয়াসহ তিনজনের কাছ থেকে বলপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেন। আদালত এই চারজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮ ও ৩৩০ ধারায়ও অভিযোগ গঠন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে সৈয়দ রেজাউর রহমানের সঙ্গে আরও ছিলেন মহানগর কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু, আবুল কালাম, আবু আবদুল্লাহ ভুঞা, আকরাম উদ্দিন প্রমুখ। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন টি এম আকবর, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শক করে তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার সমাবেশে ওই গ্রেনেড হামলা হয়। এতে দলের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েক শ ব্যক্তি।
এ ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য) সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ২৮ মার্চ ধার্য করেন বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। গতকাল আদালতে গ্রেপ্তার থাকা আসামিদের হাজির করা হয়। আদালতের প্রশ্নের জবাবে তাঁরা সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এ ঘটনার তদন্ত বারবার ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন করে এ মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডি এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির প্রথম অভিযোগপত্র দেয়। তাতে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, তাঁর ভাই জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিন, মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে মামলা দুটির অধিকতর তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে গত বছরের ৩ জুলাই আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। নতুন এই ৩০ জনসহ এখন মোট আসামি ৫২। এঁদের মধ্যে তারেকসহ ১৯ জন পলাতক আছেন।
নতুন ৩০ আসামি: হত্যা মামলায় নতুন আসামিরা হলেন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও জামায়াতের নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাংসদ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, ঢাকার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপির নেতা আরিফুল ইসলাম, হানিফ পরিবহনের স্বত্বাধিকারী মো. হানিফ, জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মুফতি আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ ওরফে আবদুল হান্নান, মাওলানা শেখ ফরিদ, হাফেজ ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য মো. ইউসুফ বাট ওরফে মজিদ বাট (কাশ্মীরি নাগরিক), আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই বাবু ওরফে রাতুল বাবু, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, ঘটনার সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন, লে. কর্নেল (চাকরিচ্যুত) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, খালেদা জিয়ার ভাগনে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, ঘটনার সময় মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, উপকমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, জোট সরকার আমলের তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি আবদুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা বিশেষ পুলিশ সুপার রহুল আমিন ও তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি (সিআইডি) খোদা বক্স চৌধুরী।
এই ৩০ জনের মধ্যে শেষের ১১ জনকে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে করা মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ: রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার প্রধান সরকারি কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হত্যা মামলায় নতুন ৩০ আসামির মধ্যে তারেক রহমান, মুজাহিদ, বাবর, হারিছ চৌধুরী, রেজ্জাকুল হায়দার, আবদুর রহিম, কায়কোবাদ, আরিফুল ইসলাম, হানিফ ও ১০ জঙ্গি নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা, হত্যার চেষ্টা এবং গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে দণ্ডবিধির ১২০বি/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/১০৯ ও ৩৪ ধারায় আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
জোট সরকার আমলের সিআইডির প্রধান ও তিন তদন্ত কর্মকর্তা খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, মুন্সি আতিক ও আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহ ও বলপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার, এ টি এম আমিন, সাবেক দুই আইজিপি আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, খান সাঈদ হাসান, ওবায়দুর রহমান খানের বিরুদ্ধে কর্তব্যকাজে অবহেলার জন্য দণ্ডবিধির ২১২ ও ২১৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ ছাড়া খান সাঈদ ও ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে আলামত ধ্বংস করার দায়ে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ ছাড়া সিআইডি কর্মকর্তারা ২০০০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও পরের বছর সিলেটে বোমা হামলার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে হুজি নেতা মুফতি হান্নানের সম্পৃক্ততার কথা জানতে পারেন। খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, মুন্সী আতিক ও আবদুর রশিদ তখন মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেননি। মূল আসামিদের বাঁচাতে তাঁরা না করে পরস্পর যোগসাজশে জজ মিয়াসহ তিনজনের কাছ থেকে বলপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেন। আদালত এই চারজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮ ও ৩৩০ ধারায়ও অভিযোগ গঠন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে সৈয়দ রেজাউর রহমানের সঙ্গে আরও ছিলেন মহানগর কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু, আবুল কালাম, আবু আবদুল্লাহ ভুঞা, আকরাম উদ্দিন প্রমুখ। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন টি এম আকবর, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শক করে তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার সমাবেশে ওই গ্রেনেড হামলা হয়। এতে দলের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েক শ ব্যক্তি।
No comments