পবিত্র কোরআনের আলো-প্রত্যেক মানুষকেই পরকালে জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে এবং নিজের কর্মফল গ্রহণ করতে হবে
৫৩. ওয়া ইয়াছ্তাম্বিঊনাকা আহাক্কুন হুয়া; ক্বুল ঈ, ওয়া রাব্বী ইন্নাহু লাহাক্কুন; ওয়া মা আনতুম বিমু'জিযীন। ৫৪. ওয়া লাও আন্না লিকুলি্ল নাফছিন যালামাত্ মা ফিল আরদ্বি লাফ্তাদাত্ বিহী; ওয়া আছার্রুন নাদা-মাতা লাম্মা- রাআউল আ'যা-বা ওয়াক্বুদ্বিইয়া বাইনাহুম বিলকি্বছতি্ব ওয়া হুম লা-ইউয্লামূন।
৫৫. আলা- ইন্না লিল্লা-হি মা ফিস সামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদ্বি; আলা- ইন্না ওয়া'দাল্লা-হি হাক্কুন ওয়ালা-কিন্না আক্ছারাহুম লা-ইয়া'লামূন।
৫৬. হুয়া ইউহ্য়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া ইলাইহি তুরজাঊ'ন।
[সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৫৩-৫৬]
অনুবাদ : ৫৩. এরা আপনার কাছে জানতে চায়, (পরকালে জবাবদিহিতার) বিষয়টা কি আসলেই সত্য? আপনি বলে দিন, আমার প্রভুর শপথ, এটা অমোঘ সত্য। তোমরা কোনো দিনই জবাবদিহিতাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারবে না।
৫৪. যদি প্রত্যেক জালেম ব্যক্তির কাছে সেদিন পৃথিবীর সমুদয় সম্পত্তির সমপরিমাণ সম্পদ থাকে, আর তারা এর সবটুকু মুক্তির বিনিময়ে দিয়ে দিতে চাইবে (কিন্তু তাতে কিছু হবে না), যখন তারা পরকালের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন অনুতাপ গোপন করতেই বাধ্য হবে, (কারণ তখন কিছু করার থাকবে না) তাদের ব্যাপারে ফায়সালা কিন্তু অত্যন্ত ন্যায়বিচারের সঙ্গে হবে এবং তাদের প্রতি কোনোরকম জুলুম করা হবে না।
৫৫. সাবধান! জেনে রেখো, আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর। সাবধান! আরো জেনে রেখো, আল্লাহর অঙ্গীকার সত্য, কিন্তু অধিকাংশ লোকই তা জানে না।
৫৬. তিনি জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু ঘটান। তাঁরই কাছে তোমাদের সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
ব্যাখ্যা : ৫৩ নম্বর আয়াতে কাফিরদের সেই প্রশ্নটাকেই সামনে আনা হয়েছে, যেখানে তারা পরকালে প্রত্যেক মানুষকে আল্লাহর সামনে হাজির হয়ে জবাবদিহি করার বিচয়টাতে সন্দেহ করা হয়েছে। তারা রাসুল (সা.)-এর কাছে আবারও জানতে চায়, আসলেই এটা সত্য কি না। আল্লাহ তাঁর রাসুলকে বলছেন, এ কথা জানিয়ে দিতে যে এটা এক অমোঘ সত্য। মানুষ কোনো দিনই এই জবাবদিহিতাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারবে না। অর্থাৎ যারা আল্লাহর হুকুম অমান্য করে অসত্য ও অন্যায়ের পথে চলবে, তারা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে, আর যারা সত্য ও ন্যায়ের পথে চলবে, তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শাস্তি।
৫৪ নম্বর আয়াতে শেষ বিচার দিনের সেই পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যখন মানুষ আল্লাহর সামনে জবাবদিহির মুখোমুখি হবে। একটা বোধগম্য উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। ধরা যাক, সেই অপরাধী ব্যক্তির কাছে যদি তখন সারা দুনিয়ার সব সম্পদের সমপরিমাণ সম্পত্তি থাকে, আর সে যদি তার পাপমুক্তির বিনিময়ে সবটা দিয়ে দিতে চায়, তবে তাতে বিন্দুমাত্র কাজ হবে না। তারা যখন পরকালের ভয়াবহ শাস্তির স্বরূপ দেখতে পাবে তখন অনুতাপ করারও সুযোগ পাবে না। কারণ অনুতাপ করে তখন আর কোনো লাভ নেই। তবে সেদিন অপরাধীদের ওপরও কোনোরকম অবিচার করা হবে না। তাদের ব্যাপারে অত্যন্ত ন্যায়নিষ্ঠতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারা জীবনে যা কমরছে, ঠিক তারই প্রতিফল দেওয়া হবে। এ সূরায়ই এর আগে এক আয়াতে বলা হয়েছে, সৎ কাজের বিনিময় বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে, তবে মন্দ কাজের পরিণাম দেওয়া হবে সে যা অর্জন করেছে ঠিক ততটুকুই।
৫৫ ও ৫৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদের মর্মবাণী অত্যন্ত ভাবগম্ভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ তিনি সর্বময় ন্যায়বিচারের অধিকর্তা।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
৫৬. হুয়া ইউহ্য়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া ইলাইহি তুরজাঊ'ন।
[সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৫৩-৫৬]
অনুবাদ : ৫৩. এরা আপনার কাছে জানতে চায়, (পরকালে জবাবদিহিতার) বিষয়টা কি আসলেই সত্য? আপনি বলে দিন, আমার প্রভুর শপথ, এটা অমোঘ সত্য। তোমরা কোনো দিনই জবাবদিহিতাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারবে না।
৫৪. যদি প্রত্যেক জালেম ব্যক্তির কাছে সেদিন পৃথিবীর সমুদয় সম্পত্তির সমপরিমাণ সম্পদ থাকে, আর তারা এর সবটুকু মুক্তির বিনিময়ে দিয়ে দিতে চাইবে (কিন্তু তাতে কিছু হবে না), যখন তারা পরকালের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে, তখন অনুতাপ গোপন করতেই বাধ্য হবে, (কারণ তখন কিছু করার থাকবে না) তাদের ব্যাপারে ফায়সালা কিন্তু অত্যন্ত ন্যায়বিচারের সঙ্গে হবে এবং তাদের প্রতি কোনোরকম জুলুম করা হবে না।
৫৫. সাবধান! জেনে রেখো, আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর। সাবধান! আরো জেনে রেখো, আল্লাহর অঙ্গীকার সত্য, কিন্তু অধিকাংশ লোকই তা জানে না।
৫৬. তিনি জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু ঘটান। তাঁরই কাছে তোমাদের সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
ব্যাখ্যা : ৫৩ নম্বর আয়াতে কাফিরদের সেই প্রশ্নটাকেই সামনে আনা হয়েছে, যেখানে তারা পরকালে প্রত্যেক মানুষকে আল্লাহর সামনে হাজির হয়ে জবাবদিহি করার বিচয়টাতে সন্দেহ করা হয়েছে। তারা রাসুল (সা.)-এর কাছে আবারও জানতে চায়, আসলেই এটা সত্য কি না। আল্লাহ তাঁর রাসুলকে বলছেন, এ কথা জানিয়ে দিতে যে এটা এক অমোঘ সত্য। মানুষ কোনো দিনই এই জবাবদিহিতাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারবে না। অর্থাৎ যারা আল্লাহর হুকুম অমান্য করে অসত্য ও অন্যায়ের পথে চলবে, তারা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে, আর যারা সত্য ও ন্যায়ের পথে চলবে, তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শাস্তি।
৫৪ নম্বর আয়াতে শেষ বিচার দিনের সেই পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যখন মানুষ আল্লাহর সামনে জবাবদিহির মুখোমুখি হবে। একটা বোধগম্য উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। ধরা যাক, সেই অপরাধী ব্যক্তির কাছে যদি তখন সারা দুনিয়ার সব সম্পদের সমপরিমাণ সম্পত্তি থাকে, আর সে যদি তার পাপমুক্তির বিনিময়ে সবটা দিয়ে দিতে চায়, তবে তাতে বিন্দুমাত্র কাজ হবে না। তারা যখন পরকালের ভয়াবহ শাস্তির স্বরূপ দেখতে পাবে তখন অনুতাপ করারও সুযোগ পাবে না। কারণ অনুতাপ করে তখন আর কোনো লাভ নেই। তবে সেদিন অপরাধীদের ওপরও কোনোরকম অবিচার করা হবে না। তাদের ব্যাপারে অত্যন্ত ন্যায়নিষ্ঠতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারা জীবনে যা কমরছে, ঠিক তারই প্রতিফল দেওয়া হবে। এ সূরায়ই এর আগে এক আয়াতে বলা হয়েছে, সৎ কাজের বিনিময় বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে, তবে মন্দ কাজের পরিণাম দেওয়া হবে সে যা অর্জন করেছে ঠিক ততটুকুই।
৫৫ ও ৫৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদের মর্মবাণী অত্যন্ত ভাবগম্ভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ তিনি সর্বময় ন্যায়বিচারের অধিকর্তা।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments