নামবিপত্তি, নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ আটকে গেছে by সেলিম জাহিদ
নাম নিয়ে বিপত্তি বাধায় আটকে গেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সম্প্রসারিত নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ। এ কারণে সম্ভাব্য এই জোটের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে রাখা হলেও তাতে চার দলের শরিক ও সমমনা দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতারা স্বাক্ষর করেননি।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন এই জোটের নাম ‘সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট’ বলে প্রাথমিকভাবে সাব্যস্ত করা হয়। কিন্তু বিএনপির একটি পক্ষ ‘সম্মিলিত’ শব্দটির জায়গায় ‘জাতীয়তাবাদী’ শব্দ যোগ করতে চায়। এতে আপত্তি চার দলের শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের। তারা ‘জাতীয়তাবাদী’ শব্দ বসালে এর পাশে ‘ইসলামী’ শব্দটি যোগ করার প্রস্তাব দেয়।
জোটের ঘোষণাপত্র তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য প্রথম আলোকে জানান, জোটের নাম ছাড়া ঘোষণাপত্রের অন্যান্য বিষয় প্রায় চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘোষণাপত্রে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর ছয়জন ও বিএনপির দুই নেতার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বা দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলার বিষয়েও কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে রাজনৈতিক কারণে বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে বিচারের নামে প্রহসন চালানো, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাবন্দী করা এবং অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ঘোষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে।
১১ মার্চ রাতে এই ঘোষণাপত্রে জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে ইচ্ছুক দলগুলোর প্রধানদের সই করার কথা ছিল। পরদিন মহাসমাবেশে প্রকাশ করার কথা ছিল নতুন জোটের নাম। কিন্তু ১২ মার্চ নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জোট সম্প্রসারণ করার ঘোষণা দিলেও নতুন জোটের নাম প্রকাশ করেননি।
জানতে চাইলে ঘোষণাপত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জোটের নাম নিয়ে সামান্য সমস্যা আছে। তবে এটা বড় কোনো সমস্যা নয়। আসলে ১২ মার্চের দিকেই আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল, এ কারণে সই হয়নি।’
চার দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন এই জোটের একাধিক নাম প্রস্তাব করা হয় খালেদা জিয়ার কাছে। এর মধ্যে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট, ১৬ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট উল্লেখযোগ্য। জামায়াতের পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের নাম প্রস্তাব করা হয়। এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে শেষে নাম নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএনপির চেয়ারপারসনকে। শেষে খালেদা জিয়া এ নামের পক্ষে সায় দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। পরে চার দলের শরিক এবং সমমনা দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নামটি প্রকাশও করেন তিনি। কিন্তু বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা এ নামের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করলে শেষ মুহূর্তে এসে খালেদা জিয়া দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন বলে ওই সূত্র জানায়। এ কারণে ১১ মার্চ রাতে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর গ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।
চার দলের শরিক খেলাফত মজলিসের আমির মুহাম্মদ ইসহাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘নামে ফাঁকফোকর নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির অবকাশ নেই। বিরোধী দল আক্রান্ত; নাম যা-ই দেওয়া হোক, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।’
জোটের ঘোষণাপত্র তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য প্রথম আলোকে জানান, জোটের নাম ছাড়া ঘোষণাপত্রের অন্যান্য বিষয় প্রায় চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘোষণাপত্রে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর ছয়জন ও বিএনপির দুই নেতার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বা দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলার বিষয়েও কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে রাজনৈতিক কারণে বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে বিচারের নামে প্রহসন চালানো, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাবন্দী করা এবং অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ঘোষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে।
১১ মার্চ রাতে এই ঘোষণাপত্রে জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে ইচ্ছুক দলগুলোর প্রধানদের সই করার কথা ছিল। পরদিন মহাসমাবেশে প্রকাশ করার কথা ছিল নতুন জোটের নাম। কিন্তু ১২ মার্চ নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জোট সম্প্রসারণ করার ঘোষণা দিলেও নতুন জোটের নাম প্রকাশ করেননি।
জানতে চাইলে ঘোষণাপত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘জোটের নাম নিয়ে সামান্য সমস্যা আছে। তবে এটা বড় কোনো সমস্যা নয়। আসলে ১২ মার্চের দিকেই আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল, এ কারণে সই হয়নি।’
চার দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন এই জোটের একাধিক নাম প্রস্তাব করা হয় খালেদা জিয়ার কাছে। এর মধ্যে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোট, ১৬ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট উল্লেখযোগ্য। জামায়াতের পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের নাম প্রস্তাব করা হয়। এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে শেষে নাম নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএনপির চেয়ারপারসনকে। শেষে খালেদা জিয়া এ নামের পক্ষে সায় দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। পরে চার দলের শরিক এবং সমমনা দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নামটি প্রকাশও করেন তিনি। কিন্তু বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা এ নামের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করলে শেষ মুহূর্তে এসে খালেদা জিয়া দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন বলে ওই সূত্র জানায়। এ কারণে ১১ মার্চ রাতে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর গ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।
চার দলের শরিক খেলাফত মজলিসের আমির মুহাম্মদ ইসহাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘নামে ফাঁকফোকর নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির অবকাশ নেই। বিরোধী দল আক্রান্ত; নাম যা-ই দেওয়া হোক, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।’
No comments