বিএনপি সংসদে : শুরুতেই উত্তেজনা, হাতাহাতি অবস্থা
টানা ৭৭ কার্যদিবস অনুপস্থিতির পর অধিবেশনে যোগ দিয়েই সংসদ উত্তপ্ত করে তুলল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। গতকাল রবিবার অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বিরোধী দলের এক সদস্যের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। সরকারি ও বিরোধী দলের দুই সদস্যের মধ্যে একপর্যায়ে হাতাহাতির উপক্রম হয়।
পরে দুই দলের অন্য সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াও উপস্থিত ছিলেন অধিবেশনে।
গতকাল বিকেলে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতেই রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব বিষয়ে আলোচনার জন্য স্পিকার প্রথমে ফ্লোর দেন সরকারি দলের হুইপ আ স ম ফিরোজকে। ফিরোজ বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। অথচ জামায়াত ও মৌলবাদীরা বিএনপিকে ধরেছে। আর বিএনপি অতীতের সব কিছু ভুলে গেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে তারা ঐক্য করেছে।
আ স ম ফিরোজের বক্তব্যের পর ফ্লোর পান বিএনপির সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও রেহানা আক্তার রানু। রানু প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে অশালীন মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, 'একানব্বই সালে গোলাম আযমের পা ছুঁয়ে সালাম করেছিলেন আপনাদের নেত্রী।'
ওই সময় রানুর পেছনের সারিতে বসা সরকারদলীয় সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী আঙুল উঁচিয়ে রানুকে বলেন, 'চুপ কর।' সঙ্গে সঙ্গে রানুর পাশের আসনে বসা বিএনপির শাম্মী আক্তার ও সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া তেড়ে যান বাপ্পীর দিকে। তাঁদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বাগ্বিতণ্ডা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়। ওই সময় ব্যাপক চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয় সংসদে। চার-পাঁচ মিনিট চলে এ অবস্থা। পরে আওয়ামী লীগের আসলামুল হক আসলাম ও বিএনপির শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এগিয়ে গিয়ে দুই পক্ষকেই সংযত করেন। তবে সরকারকে কটাক্ষ করে রানু তাঁর বক্তব্য চালিয়ে যান। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে তালেবানের শাসন চলছে। বর্তমান সরকার আদালতকে দিয়ে সব কিছু বৈধ করতে চায়। সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক টাকা নিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায়ের ব্যাপারে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, টাকা নিয়ে তিনি সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এক বিচারপতির নাম উল্লেখ করে রানু বলেন, 'উনি কত টাকা নিয়ে রায় দিচ্ছেন মানুষ তা জানতে চায়। আইনজীবীরা বলেন, ওনাকে নাকি মাঝে মাঝে ভূতে ধরে।'
সাগর-রুনির খুনিদের প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন রানু। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় এফবিআই এজেন্টের সাক্ষ্য দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিদেশ থেকে ভাড়া করে সাদা চামড়ার বুড়ি-শয়তানি এনেছেন আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য।' তিনি আরো বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের লোকজন ও আইন প্রতিমন্ত্রী কাপড়-চোপড় নিয়েও পালাতে পারবে না।
পরে স্পিকার রানুকে উদ্দেশ করে বলেন, অশালীন ও অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্যগুলো এক্সপাঞ্জ করা হবে।
নামাজের বিরতির পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাসদের মঈনউদ্দিন খান বাদল বলেন, 'আদালতের বিচারপতিদের সম্পর্কে যেভাবে কথা বলছেন এটার ব্যাখ্যা কী দেবেন? যেভাবে আইন প্রতিমন্ত্রীকে পেটানোর কথা বললেন, তার জবাব দেবেন কিভাবে?' শালীনতা বজায় রেখে সবাইকে সংসদে বক্তব্য রাখার জন্য তিনি স্পিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এরপরই বাদলকে নবাগত এমপি হিসেবে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, 'সরকারের শেষ সময়ে এসে সরকারের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রী হওয়া যাবে না।' তিনি আরো বলেন, 'পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন সৌদি সরকার ভিসা দিল না, এ জন্য লজ্জা হয়। আর কয়েক দিন পর জনগণ প্যাকেজ করে ভারতে পাঠিয়ে দেবে।'
এরপর ফ্লোর নিয়ে চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ বলেন, 'লজ্জা হয় ৯০ দিনের আগে সংসদ সদস্য পদ রক্ষা ও বেতন-ভাতার জন্য সংসদে এসেছেন।'
দাওয়াত দিতে দিতে টায়ার্ড : এর আগে বিএনপির শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি স্পিকারকে উদ্দেশ করে বলেন, 'দাওয়াত দিলে আগেই সংসদে আসতাম।' তখন স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, 'দাওয়াত দিতে দিতে টায়ার্ড হয়ে গেছি।' এরপর পাইকারি দাওয়াত না দিয়ে স্পিকারকে নিরপেক্ষ দাওয়াত দেওয়ার কথা বলে টাইম ১৫ মিনিটের পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন এ্যানি। তিনি বলেন, 'বিরোধী দল সরকারের পার্ট। কিন্তু সেই রকম আচরণ পাইনি।'
পাঁচ কোটি রুপি কি অনেক টাকা : সরকারি দলের উদ্দেশে এ্যানি বলেন, 'ওনাদের শরিকরাই বলেছেন, সেনাবাহিনীর সহায়তা ছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারতাম না। ওনাদের লোকই বলেছেন, মন্ত্রিসভায় ডিজিএফআইয়ের সদস্য রয়েছেন। আমরা মইন-ফখরুদ্দীনকে চ্যালেঞ্জ করে পার্লামেন্টে এসেছি। আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান দুররানি আদালতে যে হলফনামা দিয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশ বা বিএনপির নাম উল্লেখ নেই। আজ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো পত্রিকায় এ ধরনের কোনো তথ্য প্রকাশ হয়নি। আমাদের নেতা মওদুদ সাহেব বই লিখেছিলেন। সেখানে উল্লেখ আছে, লংড্রাইভের কাহিনী ও কত টাকা কে নিয়েছেন। পাঁচ কোটি রুপি কি অনেক টাকা যে এটা পাকিস্তান থেকে বিএনপির নিতে হবে? আওয়ামী লীগ ছিয়ানব্বই সালে বিদেশ থেকে টাকা এনেছিল। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমটি গঠন করতে হবে।'
আওয়ামী লীগের আ স ম ফিরোজ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের মতো এত ভালো নির্বাচন আর কখনো হয়নি। অনেক নির্বাচন নিয়ে কথা উঠেছে। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যেভাবে দেশে অত্যাচার-নির্যাতন-লুণ্ঠন হয়েছে, এর প্রতিবাদ জানিয়েই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, 'আজ একটি কুচক্রী মহল বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে। এ ব্যাপারে সরকার-বিরোধী দল সবাইকেই ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।'
গতকাল বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ে বিএনপির সংসদীয় দলের সভায় সংসদ অধিবেশনে যোগদানের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বিএনপি ছাড়াও জামায়াতের সংসদ সদস্য শামসুল ইসলাম ও হামিদুর রহমান আযাদ, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির কর্নেল (অব.) অলি আহমদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিরোধী জোট সংসদে যোগ দেয়। তবে নামাজের বিরতির পর বিএনপি সংসদে ফিরলেও খালেদা জিয়া যোগ দেননি।
সংসদে বিএনপির অনুপস্থিতি টানা ৭৭ দিন হলেও খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি ছিল ৮৩ কার্যদিবস।
গতকাল বিকেলে স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতেই রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব বিষয়ে আলোচনার জন্য স্পিকার প্রথমে ফ্লোর দেন সরকারি দলের হুইপ আ স ম ফিরোজকে। ফিরোজ বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। অথচ জামায়াত ও মৌলবাদীরা বিএনপিকে ধরেছে। আর বিএনপি অতীতের সব কিছু ভুলে গেছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে তারা ঐক্য করেছে।
আ স ম ফিরোজের বক্তব্যের পর ফ্লোর পান বিএনপির সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও রেহানা আক্তার রানু। রানু প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে অশালীন মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, 'একানব্বই সালে গোলাম আযমের পা ছুঁয়ে সালাম করেছিলেন আপনাদের নেত্রী।'
ওই সময় রানুর পেছনের সারিতে বসা সরকারদলীয় সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী আঙুল উঁচিয়ে রানুকে বলেন, 'চুপ কর।' সঙ্গে সঙ্গে রানুর পাশের আসনে বসা বিএনপির শাম্মী আক্তার ও সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া তেড়ে যান বাপ্পীর দিকে। তাঁদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বাগ্বিতণ্ডা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়। ওই সময় ব্যাপক চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয় সংসদে। চার-পাঁচ মিনিট চলে এ অবস্থা। পরে আওয়ামী লীগের আসলামুল হক আসলাম ও বিএনপির শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এগিয়ে গিয়ে দুই পক্ষকেই সংযত করেন। তবে সরকারকে কটাক্ষ করে রানু তাঁর বক্তব্য চালিয়ে যান। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে তালেবানের শাসন চলছে। বর্তমান সরকার আদালতকে দিয়ে সব কিছু বৈধ করতে চায়। সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক টাকা নিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায়ের ব্যাপারে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, টাকা নিয়ে তিনি সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এক বিচারপতির নাম উল্লেখ করে রানু বলেন, 'উনি কত টাকা নিয়ে রায় দিচ্ছেন মানুষ তা জানতে চায়। আইনজীবীরা বলেন, ওনাকে নাকি মাঝে মাঝে ভূতে ধরে।'
সাগর-রুনির খুনিদের প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন রানু। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় এফবিআই এজেন্টের সাক্ষ্য দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিদেশ থেকে ভাড়া করে সাদা চামড়ার বুড়ি-শয়তানি এনেছেন আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য।' তিনি আরো বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের লোকজন ও আইন প্রতিমন্ত্রী কাপড়-চোপড় নিয়েও পালাতে পারবে না।
পরে স্পিকার রানুকে উদ্দেশ করে বলেন, অশালীন ও অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্যগুলো এক্সপাঞ্জ করা হবে।
নামাজের বিরতির পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাসদের মঈনউদ্দিন খান বাদল বলেন, 'আদালতের বিচারপতিদের সম্পর্কে যেভাবে কথা বলছেন এটার ব্যাখ্যা কী দেবেন? যেভাবে আইন প্রতিমন্ত্রীকে পেটানোর কথা বললেন, তার জবাব দেবেন কিভাবে?' শালীনতা বজায় রেখে সবাইকে সংসদে বক্তব্য রাখার জন্য তিনি স্পিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এরপরই বাদলকে নবাগত এমপি হিসেবে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, 'সরকারের শেষ সময়ে এসে সরকারের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রী হওয়া যাবে না।' তিনি আরো বলেন, 'পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন সৌদি সরকার ভিসা দিল না, এ জন্য লজ্জা হয়। আর কয়েক দিন পর জনগণ প্যাকেজ করে ভারতে পাঠিয়ে দেবে।'
এরপর ফ্লোর নিয়ে চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ বলেন, 'লজ্জা হয় ৯০ দিনের আগে সংসদ সদস্য পদ রক্ষা ও বেতন-ভাতার জন্য সংসদে এসেছেন।'
দাওয়াত দিতে দিতে টায়ার্ড : এর আগে বিএনপির শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি স্পিকারকে উদ্দেশ করে বলেন, 'দাওয়াত দিলে আগেই সংসদে আসতাম।' তখন স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, 'দাওয়াত দিতে দিতে টায়ার্ড হয়ে গেছি।' এরপর পাইকারি দাওয়াত না দিয়ে স্পিকারকে নিরপেক্ষ দাওয়াত দেওয়ার কথা বলে টাইম ১৫ মিনিটের পরিবর্তে আরো বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন এ্যানি। তিনি বলেন, 'বিরোধী দল সরকারের পার্ট। কিন্তু সেই রকম আচরণ পাইনি।'
পাঁচ কোটি রুপি কি অনেক টাকা : সরকারি দলের উদ্দেশে এ্যানি বলেন, 'ওনাদের শরিকরাই বলেছেন, সেনাবাহিনীর সহায়তা ছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারতাম না। ওনাদের লোকই বলেছেন, মন্ত্রিসভায় ডিজিএফআইয়ের সদস্য রয়েছেন। আমরা মইন-ফখরুদ্দীনকে চ্যালেঞ্জ করে পার্লামেন্টে এসেছি। আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান দুররানি আদালতে যে হলফনামা দিয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশ বা বিএনপির নাম উল্লেখ নেই। আজ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো পত্রিকায় এ ধরনের কোনো তথ্য প্রকাশ হয়নি। আমাদের নেতা মওদুদ সাহেব বই লিখেছিলেন। সেখানে উল্লেখ আছে, লংড্রাইভের কাহিনী ও কত টাকা কে নিয়েছেন। পাঁচ কোটি রুপি কি অনেক টাকা যে এটা পাকিস্তান থেকে বিএনপির নিতে হবে? আওয়ামী লীগ ছিয়ানব্বই সালে বিদেশ থেকে টাকা এনেছিল। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমটি গঠন করতে হবে।'
আওয়ামী লীগের আ স ম ফিরোজ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের মতো এত ভালো নির্বাচন আর কখনো হয়নি। অনেক নির্বাচন নিয়ে কথা উঠেছে। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যেভাবে দেশে অত্যাচার-নির্যাতন-লুণ্ঠন হয়েছে, এর প্রতিবাদ জানিয়েই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, 'আজ একটি কুচক্রী মহল বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে। এ ব্যাপারে সরকার-বিরোধী দল সবাইকেই ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।'
গতকাল বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ে বিএনপির সংসদীয় দলের সভায় সংসদ অধিবেশনে যোগদানের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বিএনপি ছাড়াও জামায়াতের সংসদ সদস্য শামসুল ইসলাম ও হামিদুর রহমান আযাদ, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির কর্নেল (অব.) অলি আহমদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিরোধী জোট সংসদে যোগ দেয়। তবে নামাজের বিরতির পর বিএনপি সংসদে ফিরলেও খালেদা জিয়া যোগ দেননি।
সংসদে বিএনপির অনুপস্থিতি টানা ৭৭ দিন হলেও খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি ছিল ৮৩ কার্যদিবস।
No comments