আলোচনার সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখুন-বিএনপির সংসদে প্রত্যাবর্তনআলোচনার সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখুন-বিএনপির সংসদে প্রত্যাবর্তন
সংসদ অধিবেশনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির যোগদান বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও একটি আশান্বিত হওয়ার মতো বিষয়। সংসদে সরকারি বা বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখা প্রতিটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে বিরোধী দলগুলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে প্রায়ই একটানা সংসদ অধিবেশন বর্জন করে।
সংসদীয় রীতিতে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের কোনো নীতি বা পদক্ষেপের প্রতিবাদ করার জন্য বিরোধী দল ওয়াক আউট করতে পারে, যা সাময়িক। এটা গণতন্ত্রের নিয়মের মধ্যেই চলে। কিন্তু একটানা অধিবেশন বর্জন কাম্য নয়। বিগত কয়েকটি সরকারের আমলে দেখা গেছে, অনাকাঙ্ক্ষিত পদ্ধতিটি বিরোধী দল ব্যবহার করে আসছে। এর অবসান হওয়া দরকার।
অধিবেশনে উপস্থিত না থাকার কারণে বিএনপির মুলতবি প্রস্তাবগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়নি। সংসদের ২৮৪ কার্যদিবসে বিএনপি মুলতবি প্রস্তাব দিয়েছে ৭১৬টি। অথচ ওরা সংসদে উপস্থিত থেকেছে মাত্র ৫৪ দিন। অধিকাংশ দিন অনুপস্থিত থাকায় বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, গুপ্তহত্যাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা চাপা পড়ে গেছে। অথচ এসব বিষয়ে সংসদে আলোচনা হলে বিরোধী দল তাদের বক্তব্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে পারত। কিন্তু ভুল রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করায় বিরোধী দল সেই সুযোগ নষ্ট করেছে। সংসদে সরকারের জবাবদিহি করা যায়নি।
বিরোধী দল সংসদে না থাকলে তা সরকারি দলের জন্যও খারাপ। বিশেষত যখন অভিযোগ ওঠে যে সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলতে দেওয়া হয় না, মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন প্রশ্ন ওঠে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংসদে সরকারি দল কেন প্রত্যাশিত উদারতা দেখায় না। দুঃখজনক বিষয় হলো, সংসদে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। অনেক সময় স্পিকার মহোদয় এ ব্যাপারে সাংসদদের সতর্ক করেন। সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুস্থ আলোচনা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে উভয় দলকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিএনপি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল, ‘ইস্যুভিত্তিক ওয়াকআউট ছাড়া কোনো দল বা জোট সংসদের সেশন বা বৈঠক বর্জন করতে পারবে না। কোনো সাংসদ সংসদের অনুমোদন ছাড়া ৩০ দিনের অধিক অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সদস্যপদ শূন্য হবে।’ এখন সময় এসেছে বিএনপির নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার। সংসদের অবশিষ্ট মেয়াদে তারা সংসদে থাকবে, সরকারের ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে সংসদে বিতর্ক করবে, এটাই প্রত্যাশিত।
অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগও তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সংসদকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিল। রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের অঙ্গীকার করে সুনির্দিষ্টভাবে ওরা বলেছিল, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, স্বচ্ছ অর্থায়ন, শিষ্টাচার ও সহনশীল আচরণ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ এবার রাজনৈতিক শিষ্টাচার প্রদর্শনের পরীক্ষায় সরকারি দল উত্তীর্ণ হয় কি না, দেশবাসীর দৃষ্টি সেদিকে থাকবে।
অধিবেশনে উপস্থিত না থাকার কারণে বিএনপির মুলতবি প্রস্তাবগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়নি। সংসদের ২৮৪ কার্যদিবসে বিএনপি মুলতবি প্রস্তাব দিয়েছে ৭১৬টি। অথচ ওরা সংসদে উপস্থিত থেকেছে মাত্র ৫৪ দিন। অধিকাংশ দিন অনুপস্থিত থাকায় বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, গুপ্তহত্যাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা চাপা পড়ে গেছে। অথচ এসব বিষয়ে সংসদে আলোচনা হলে বিরোধী দল তাদের বক্তব্য দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে পারত। কিন্তু ভুল রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করায় বিরোধী দল সেই সুযোগ নষ্ট করেছে। সংসদে সরকারের জবাবদিহি করা যায়নি।
বিরোধী দল সংসদে না থাকলে তা সরকারি দলের জন্যও খারাপ। বিশেষত যখন অভিযোগ ওঠে যে সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলতে দেওয়া হয় না, মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন প্রশ্ন ওঠে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংসদে সরকারি দল কেন প্রত্যাশিত উদারতা দেখায় না। দুঃখজনক বিষয় হলো, সংসদে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। অনেক সময় স্পিকার মহোদয় এ ব্যাপারে সাংসদদের সতর্ক করেন। সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুস্থ আলোচনা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে উভয় দলকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিএনপি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল, ‘ইস্যুভিত্তিক ওয়াকআউট ছাড়া কোনো দল বা জোট সংসদের সেশন বা বৈঠক বর্জন করতে পারবে না। কোনো সাংসদ সংসদের অনুমোদন ছাড়া ৩০ দিনের অধিক অনুপস্থিত থাকলে তাঁর সদস্যপদ শূন্য হবে।’ এখন সময় এসেছে বিএনপির নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার। সংসদের অবশিষ্ট মেয়াদে তারা সংসদে থাকবে, সরকারের ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে সংসদে বিতর্ক করবে, এটাই প্রত্যাশিত।
অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগও তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সংসদকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিল। রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের অঙ্গীকার করে সুনির্দিষ্টভাবে ওরা বলেছিল, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, স্বচ্ছ অর্থায়ন, শিষ্টাচার ও সহনশীল আচরণ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ এবার রাজনৈতিক শিষ্টাচার প্রদর্শনের পরীক্ষায় সরকারি দল উত্তীর্ণ হয় কি না, দেশবাসীর দৃষ্টি সেদিকে থাকবে।
No comments