এনজিও-সরকারকে পরিপূরক হিসেবেই কাজ করতে হবে-নাগরিক উদ্বেগ আমলে নিন
সরকারের দিক থেকে উন্নয়ন খাতে কর্মরত বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপর খবরদারিতে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। গত বুধবার ঢাকায় আয়োজিত আলোচনা সভায় এই খাতের সঙ্গে জড়িত এনজিও, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
কয়েকটি প্রভাবশালী এনজিওর সঙ্গে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের মতভেদের প্রেক্ষাপটে এই উদ্বেগকে হালকা করে দেখার অবকাশ নেই। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও দারিদ্র্য বিমোচনসহ দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক বা বৈরী ভাব কারও জন্যই শুভকর নয়।
বিভিন্ন প্রশ্নে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক সমাজে তা অস্বাভাবিক নয়। উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনার উদ্দেশ্যে সরকারও নজরদারি করতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা উচিত নয়। কোনো বিষয়ে ভুল-বোঝাবুঝি ঘটে থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া প্রয়োজন। অধিকারবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানুষের দুর্দশা কমানোয় এনজিওগুলো কাজ করলে সরকারের কর্তব্য হবে তাকে সহায়তা করা। বিশেষত, এনজিওদের সেবামূলক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ মানুষের উপকৃত হওয়ার দিকটি মোটেই উপেক্ষণীয় নয়।
বিভিন্ন সময়ে সরকারের দিক থেকে উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকার আর এনজিওদের একযোগে কাজ করার কথা বলা হয়। বলা হয়, সীমিত সম্পদ দিয়ে বিপুল জনগোষ্ঠীকে সেবা দেওয়া একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে।
নাগরিক সমাজের উদ্বেগ ও অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সরকারের উচিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। অন্যদিকে এনজিওদের সব কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচনের নামে বিদেশ থেকে অর্থ এনে তা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার করা অনৈতিক এবং বেআইনিও। নিজের কাজে স্বচ্ছতা না থাকলে অন্যের কাজের স্বচ্ছতা চাওয়ার নৈতিক অধিকার থাকে না। সেই সঙ্গে এনজিওগুলোর অরাজনৈতিক, অলাভজনক এবং নিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখাও জরুরি।
বিভিন্ন প্রশ্নে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক সমাজে তা অস্বাভাবিক নয়। উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনার উদ্দেশ্যে সরকারও নজরদারি করতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা উচিত নয়। কোনো বিষয়ে ভুল-বোঝাবুঝি ঘটে থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া প্রয়োজন। অধিকারবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানুষের দুর্দশা কমানোয় এনজিওগুলো কাজ করলে সরকারের কর্তব্য হবে তাকে সহায়তা করা। বিশেষত, এনজিওদের সেবামূলক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ মানুষের উপকৃত হওয়ার দিকটি মোটেই উপেক্ষণীয় নয়।
বিভিন্ন সময়ে সরকারের দিক থেকে উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকার আর এনজিওদের একযোগে কাজ করার কথা বলা হয়। বলা হয়, সীমিত সম্পদ দিয়ে বিপুল জনগোষ্ঠীকে সেবা দেওয়া একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে।
নাগরিক সমাজের উদ্বেগ ও অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সরকারের উচিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। অন্যদিকে এনজিওদের সব কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচনের নামে বিদেশ থেকে অর্থ এনে তা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার করা অনৈতিক এবং বেআইনিও। নিজের কাজে স্বচ্ছতা না থাকলে অন্যের কাজের স্বচ্ছতা চাওয়ার নৈতিক অধিকার থাকে না। সেই সঙ্গে এনজিওগুলোর অরাজনৈতিক, অলাভজনক এবং নিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখাও জরুরি।
No comments