নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কেন বে-নজর?-‘প্রাপ্তবয়স্কদের পানীয়’
খেতে বিষাক্ত ওষুধের মতো, নেশায় ফেনসিডিলের মতো—এই হলো ‘রেড হর্স’ নামের পানীয়। ‘শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য’ সতর্কবাণী লিখে তরুণদের মধ্যে এর আকর্ষণ আরও বাড়ানো হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব পানীয় আধা-গোপন, আধা-প্রকাশ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকারি অনুমোদন নেই, আইনি অনুমতি নেই, তবু এসব চলছে কী করে? এবং বরাবরের মতোই গণমাধ্যম জানার আগে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু জানতে পারে না কেন? জনমতের চাপ ছাড়া আইনি কর্তৃপক্ষও মাঠে নামে না কেন? এত সব প্রশ্নের একটাই উত্তর—দায়িত্বহীনতা।
দেশে ১৬ কোটি মানুষেরই রয়েছে বিভিন্ন প্রয়োজন। চরম দরিদ্রদেরও বাজারে যেতে হয়। কিন্তু ভেজাল ও দামের কারচুপি ঠেকানোর নজরদারি দুর্বল হওয়ায় যে কারও পক্ষেই মানহীন পণ্য বিক্রি করে মুনাফা করা সম্ভব হচ্ছে। এর মধ্যে বেশি মারাত্মক হচ্ছে, পানীয়র নামে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নেশাদ্রব্য বিপণন। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুদি দোকানেও তা মিলছে। শুধু সীমান্তের ওপার থেকে ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইনের মতো সর্বনাশা নেশাদ্রব্যই আসছে না, স্থানীয়ভাবেও তৈরি হচ্ছে ‘নকল’ নেশাদ্রব্য। যে নামেই ডাকি, গোলাপ গোলাপই। যে নামই দেওয়া হোক, নেশাদ্রব্য নেশারই দ্রব্য এবং তা ব্যক্তির শরীর-মন এবং সমাজের শান্তি ও সুস্থতার জন্য ক্ষতিকর। মাদারীপুরে ‘রেড হর্স’ নামের দেশি ফেনসিডিল এমনই এক ক্ষতিকর পানীয়, যা ‘শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য’ সতর্কবাণীর আড়ালে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এর বাইরেও ‘শক্তিবর্ধক’, ‘হার্বাল ড্রিংক’ ইত্যাদি নাম নিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে তরল নেশার উপকরণ। আসলই হোক, আর নকলই হোক, বিষাক্ত নেশা জনস্বাস্থ্যের জন্য সর্বনাশা।
অনুমোদিত পানীয়র মান ঠিক থাকছে কি না, অননুমোদিত পানীয় ‘অনুমোদিত’ বলে চালানো হচ্ছে কি না, এটা দেখার জন্য বিএসটিআই আছে, আছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলায় জেলায় তাদের দপ্তর আছে। তাদের নজরটি কোথায় থাকে যে এসব অপকর্ম দেদার চলতে পারছে? পুলিশ প্রশাসনই বা কী করছে? মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নকল ও নিষিদ্ধ দ্রব্য অনুসন্ধানের অভিযান চলতে দেখা যায়। এসবের প্রচার যত, কাজ তত হয় না। অন্যদিকে, ঢাকায় নিষিদ্ধ হয়ে অনেকে জেলা পর্যায়ে গিয়ে সেই একই নকল, ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণন চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব দমনে শুধু মৌসুমি অভিযান নয়, দক্ষ লোকবল নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। একই সঙ্গে এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে।
দেশে ১৬ কোটি মানুষেরই রয়েছে বিভিন্ন প্রয়োজন। চরম দরিদ্রদেরও বাজারে যেতে হয়। কিন্তু ভেজাল ও দামের কারচুপি ঠেকানোর নজরদারি দুর্বল হওয়ায় যে কারও পক্ষেই মানহীন পণ্য বিক্রি করে মুনাফা করা সম্ভব হচ্ছে। এর মধ্যে বেশি মারাত্মক হচ্ছে, পানীয়র নামে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নেশাদ্রব্য বিপণন। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুদি দোকানেও তা মিলছে। শুধু সীমান্তের ওপার থেকে ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইনের মতো সর্বনাশা নেশাদ্রব্যই আসছে না, স্থানীয়ভাবেও তৈরি হচ্ছে ‘নকল’ নেশাদ্রব্য। যে নামেই ডাকি, গোলাপ গোলাপই। যে নামই দেওয়া হোক, নেশাদ্রব্য নেশারই দ্রব্য এবং তা ব্যক্তির শরীর-মন এবং সমাজের শান্তি ও সুস্থতার জন্য ক্ষতিকর। মাদারীপুরে ‘রেড হর্স’ নামের দেশি ফেনসিডিল এমনই এক ক্ষতিকর পানীয়, যা ‘শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য’ সতর্কবাণীর আড়ালে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এর বাইরেও ‘শক্তিবর্ধক’, ‘হার্বাল ড্রিংক’ ইত্যাদি নাম নিয়েও বিক্রি করা হচ্ছে তরল নেশার উপকরণ। আসলই হোক, আর নকলই হোক, বিষাক্ত নেশা জনস্বাস্থ্যের জন্য সর্বনাশা।
অনুমোদিত পানীয়র মান ঠিক থাকছে কি না, অননুমোদিত পানীয় ‘অনুমোদিত’ বলে চালানো হচ্ছে কি না, এটা দেখার জন্য বিএসটিআই আছে, আছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলায় জেলায় তাদের দপ্তর আছে। তাদের নজরটি কোথায় থাকে যে এসব অপকর্ম দেদার চলতে পারছে? পুলিশ প্রশাসনই বা কী করছে? মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নকল ও নিষিদ্ধ দ্রব্য অনুসন্ধানের অভিযান চলতে দেখা যায়। এসবের প্রচার যত, কাজ তত হয় না। অন্যদিকে, ঢাকায় নিষিদ্ধ হয়ে অনেকে জেলা পর্যায়ে গিয়ে সেই একই নকল, ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণন চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব দমনে শুধু মৌসুমি অভিযান নয়, দক্ষ লোকবল নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। একই সঙ্গে এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে।
No comments