জনস্বাস্থ্য-এইডস প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্য by আ ফ ম রুহুল হক
৮-১০ জুন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এইডসবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে মিলিত হন বিশ্বনেতারা। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, গবেষক, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের এই মিলনমেলা প্রকৃত অর্থেই বিশ্বব্যাপী এইডস প্রতিরোধবিষয়ক কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি পর্যালোচনা, বিভিন্ন
শিক্ষণীয় বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আলোচনার একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
এইডস রোগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ বছর আগে ১৯৮১ সালের এই জুন মাসেই আমেরিকার চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো একজন রোগীকে শনাক্ত করেন, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই রোগেরই নামকরণ করা হয় এইডস। ১০ বছর আগে জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক বিশেষ অধিবেশনে বিশ্বনেতারা এইডসকে একটি ‘গ্লোবাল ইমারজেন্সি’ হিসেবে ঘোষণা দেন এবং এই মহামারি প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে একটি সমন্বিত ও টেকসই কার্যক্রম হাতে নেওয়া আহ্বান জানান।
তিন দশক পর আজ সময় এসেছে এইডস প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী গৃহীত সেই সমন্বিত কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়নের। জাতিসংঘ মহাসচিবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের শেষদিকে সারা বিশ্বের নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ বাঁচাতে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট (এইডস প্রতিরোধে চিকিৎসা) নিয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ২০০৩ সালেও এ সংখ্যা ছিল মাত্র চার লাখ। এইডস মহামারির এত সব জটিল সমীকরণ সত্ত্বেও গত এক দশকে নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ৫০ শতাংশেরও বেশি গর্ভবতী মা এইচআইভিমুক্ত সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন।
জাতিসংঘের সেই প্রতিবেদনে অবশ্য এসব অর্জনকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এইচআইভি মহামারি। এ রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম ছাপিয়ে গেছে এবং এখনো যাচ্ছে। কারণ এখনো একজন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি যে সময় চিকিৎসা শুরু করছে, সে সময় আরও দুজন ব্যক্তি নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এইডস কার্যক্রমের জন্য অর্থের জোগানেও পড়েছে ভাটা, তা ছাড়া কৌশলগত নেতৃত্ব ও জবাবদিহির বিষয়টি এখনো অধরাই রয়ে গেছে।
এইচআইভি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদারের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্বনেতাদের প্রতি ২০১৫ সালের জন্য ছয়টি লক্ষ্য নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন। লক্ষ্যমাত্রাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
* যৌনকর্মের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের হার বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেমন—তরুণ-তরুণী, সমকামী ও যৌনকর্মী এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক নেওয়ায় নতুন করে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ।
* এক কোটি ৩০ লাখ লোকের জন্য এইচআইভি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
* এইচআইভি-আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে টিবি মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ হ্রাস করা।
* মা থেকে সন্তানের দেহে এইচআইভি সংক্রমণ নির্মূল করা, মায়েদের বাঁচিয়ে রাখা এবং নারী, শিশু ও পরিবারের স্বাস্থ্য উন্নয়ন।
* এইডসের কারণে এতিম ও অসহায় শিশুদের শিক্ষায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
* এইচআইভির কারণে প্রবেশ, অবস্থান ও বসবাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশের সংখ্যা ৫০ শতাংশ হ্রাস করা।
বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে ওপরের লক্ষ্যসমূহ অর্জনে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে। দেশে এইচআইভি-আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার অনেক আগেই রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমণের হার নিম্ন পর্যায়ে রাখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও সেবার মানসম্পন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এইচআইভি কার্যক্রম শুরু করেছি। পাশাপাশি এনজিও ও নাগরিক সমাজ এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে একটি মানবাধিকারভিত্তিক প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে। আর এসব কার্যক্রম দেশে ২০ বছর ধরে এইচআইভি সংক্রমণের হার নিম্নপর্যায়ে রাখতে আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করেছে।
যাদের এইচআইভি চিকিৎসার ওষুধ (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট) প্রয়োজন, তারা যেন তা পায় এবং স্কুলের পাঠ্যবইতে সব শিশুর জন্য এইচআইভি তথা জীবনমুখী শিক্ষার (লাইফ স্কিল) অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।
এসব অর্জন সত্ত্বেও আমাদের সন্তুষ্টির সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশে রয়েছে বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী এবং তাদের এইচআইভিবিষয়ক সচেতনতা বেশ কম। তা ছাড়া দেশে অভিবাসী জনগোষ্ঠীসহ অনেকে ঝুঁকির মধ্যে আছে। এইচআইভির ঝুঁকি নারীদের মধ্যে আরও বেড়ে যায়, যখন তারা তাদের পূর্ণ অধিকার না পায় অথবা তারা যখন নারী হিসেবে বৈষম্যের শিকার হয়। আমরা এসব তরুণ ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বজনীন সুযোগ ও সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
একটি কার্যকর এইডস কার্যক্রম পরিচালনায় দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন আর এ জন্য আমাদের প্রয়োজন জ্ঞাত ও টেকসই অর্থের উৎস। বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য এইচআইভি প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও সেবার সর্বজনীন সুযোগ নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তথ্যনির্ভর ও মানবাধিকারভিত্তিক কৌশল বিনির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশে এইচআইভি মহামারি প্রেক্ষাপট পরিবর্তন আমাদের কাম্য। জাতীয় এইডস কর্মসূচি দেশের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অংশ। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও পুরুষ এ কর্মসূচিতে যাতে অগ্রাধিকার পায়, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব। সরকার গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে এইডস সেবা কার্যক্রম পৌঁছে দিতে পর্যায়ক্রমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সার্ভিস ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় তা অন্তর্ভুক্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, আমরা এইচআইভি-আক্রান্ত ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামাজিক অপবাদ ও বৈষম্য হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
ডা. আ ফ ম রুহুল হক: মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এইডস রোগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ বছর আগে ১৯৮১ সালের এই জুন মাসেই আমেরিকার চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো একজন রোগীকে শনাক্ত করেন, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই রোগেরই নামকরণ করা হয় এইডস। ১০ বছর আগে জাতিসংঘের এইডসবিষয়ক বিশেষ অধিবেশনে বিশ্বনেতারা এইডসকে একটি ‘গ্লোবাল ইমারজেন্সি’ হিসেবে ঘোষণা দেন এবং এই মহামারি প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে একটি সমন্বিত ও টেকসই কার্যক্রম হাতে নেওয়া আহ্বান জানান।
তিন দশক পর আজ সময় এসেছে এইডস প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী গৃহীত সেই সমন্বিত কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়নের। জাতিসংঘ মহাসচিবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের শেষদিকে সারা বিশ্বের নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ বাঁচাতে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট (এইডস প্রতিরোধে চিকিৎসা) নিয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ২০০৩ সালেও এ সংখ্যা ছিল মাত্র চার লাখ। এইডস মহামারির এত সব জটিল সমীকরণ সত্ত্বেও গত এক দশকে নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ৫০ শতাংশেরও বেশি গর্ভবতী মা এইচআইভিমুক্ত সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন।
জাতিসংঘের সেই প্রতিবেদনে অবশ্য এসব অর্জনকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এইচআইভি মহামারি। এ রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম ছাপিয়ে গেছে এবং এখনো যাচ্ছে। কারণ এখনো একজন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি যে সময় চিকিৎসা শুরু করছে, সে সময় আরও দুজন ব্যক্তি নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এইডস কার্যক্রমের জন্য অর্থের জোগানেও পড়েছে ভাটা, তা ছাড়া কৌশলগত নেতৃত্ব ও জবাবদিহির বিষয়টি এখনো অধরাই রয়ে গেছে।
এইচআইভি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদারের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্বনেতাদের প্রতি ২০১৫ সালের জন্য ছয়টি লক্ষ্য নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন। লক্ষ্যমাত্রাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
* যৌনকর্মের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের হার বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী যেমন—তরুণ-তরুণী, সমকামী ও যৌনকর্মী এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক নেওয়ায় নতুন করে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ।
* এক কোটি ৩০ লাখ লোকের জন্য এইচআইভি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
* এইচআইভি-আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে টিবি মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ হ্রাস করা।
* মা থেকে সন্তানের দেহে এইচআইভি সংক্রমণ নির্মূল করা, মায়েদের বাঁচিয়ে রাখা এবং নারী, শিশু ও পরিবারের স্বাস্থ্য উন্নয়ন।
* এইডসের কারণে এতিম ও অসহায় শিশুদের শিক্ষায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
* এইচআইভির কারণে প্রবেশ, অবস্থান ও বসবাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী দেশের সংখ্যা ৫০ শতাংশ হ্রাস করা।
বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে ওপরের লক্ষ্যসমূহ অর্জনে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে। দেশে এইচআইভি-আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার অনেক আগেই রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমণের হার নিম্ন পর্যায়ে রাখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও সেবার মানসম্পন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এইচআইভি কার্যক্রম শুরু করেছি। পাশাপাশি এনজিও ও নাগরিক সমাজ এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে একটি মানবাধিকারভিত্তিক প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে। আর এসব কার্যক্রম দেশে ২০ বছর ধরে এইচআইভি সংক্রমণের হার নিম্নপর্যায়ে রাখতে আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করেছে।
যাদের এইচআইভি চিকিৎসার ওষুধ (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ট্রিটমেন্ট) প্রয়োজন, তারা যেন তা পায় এবং স্কুলের পাঠ্যবইতে সব শিশুর জন্য এইচআইভি তথা জীবনমুখী শিক্ষার (লাইফ স্কিল) অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।
এসব অর্জন সত্ত্বেও আমাদের সন্তুষ্টির সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশে রয়েছে বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী এবং তাদের এইচআইভিবিষয়ক সচেতনতা বেশ কম। তা ছাড়া দেশে অভিবাসী জনগোষ্ঠীসহ অনেকে ঝুঁকির মধ্যে আছে। এইচআইভির ঝুঁকি নারীদের মধ্যে আরও বেড়ে যায়, যখন তারা তাদের পূর্ণ অধিকার না পায় অথবা তারা যখন নারী হিসেবে বৈষম্যের শিকার হয়। আমরা এসব তরুণ ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বজনীন সুযোগ ও সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
একটি কার্যকর এইডস কার্যক্রম পরিচালনায় দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন আর এ জন্য আমাদের প্রয়োজন জ্ঞাত ও টেকসই অর্থের উৎস। বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য এইচআইভি প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও সেবার সর্বজনীন সুযোগ নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তথ্যনির্ভর ও মানবাধিকারভিত্তিক কৌশল বিনির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশে এইচআইভি মহামারি প্রেক্ষাপট পরিবর্তন আমাদের কাম্য। জাতীয় এইডস কর্মসূচি দেশের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অংশ। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও পুরুষ এ কর্মসূচিতে যাতে অগ্রাধিকার পায়, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব। সরকার গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে এইডস সেবা কার্যক্রম পৌঁছে দিতে পর্যায়ক্রমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সার্ভিস ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় তা অন্তর্ভুক্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, আমরা এইচআইভি-আক্রান্ত ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামাজিক অপবাদ ও বৈষম্য হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
ডা. আ ফ ম রুহুল হক: মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
No comments