সেবা ও গতি বাড়াতে ব্যবস্থাপনা ঢেলেসাজান-পাকেচক্রে রেল
রেল খাতকে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার পর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হলেন এর প্রথম মন্ত্রী। তিনি আশার কথা শোনাচ্ছেন বটে, কিন্তু রেলের মতো লৌহকঠিন ব্যাপারটা মুখের কথায় নড়ছেও না, নরমও হচ্ছে না। কয়েক দশকের স্থবিরতা, অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতির পাকেচক্রে রেল আগের মতোই জেরবার দশাতেই আছে। তাই ভয় হয়, মন্ত্রীর আশাবাদ বাস্তবে ফলবে তো?
সর্বশেষ রেলমন্ত্রী বলেছেন, ‘এখন ৭৮ শতাংশ ট্রেন সময়মতো চলে’, তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের সময় যা ছিল ৪৪ শতাংশ। পরিসংখ্যানের হিসাবে পরিবর্তনটা ছোট নয়। ৭ মার্চ প্রথম আলোর সংবাদও বলছে, গড়ে এক তৃতীয়াংশ ট্রেন সময়মতো চলে না। তাহলেও কেবল সময়মতো চললেই হচ্ছে না, অচল রেলপথ, বিকল ইঞ্জিন আর দুর্বল যাত্রীসেবার চক্র থেকে রেল ও রেলযাত্রীরা কীভাবে রেহাই পাবেন, তার দিকদিশা কোথায়? রেল খাত যেন যোগাযোগ রাজ্যের দুয়োরানি, যার ভাগ্যে জোটে কেবলই অবহেলা।
এই সরকারের নেওয়া ৩৪টি প্রকল্পের ২৩টির কোনো বাস্তব কাজ এখনো শুরু হয়নি। একের পর এক প্রকল্প অনুমোদন করা হলেও টাকার বন্দোবস্ত হয়নি। এমনকি ভারতীয় ঋণে নেওয়া প্রকল্পগুলোও থমকে আছে। আবার যেখানে অর্থ বরাদ্দ আছে, সেখানে দীর্ঘসূত্রতায় বাস্তবায়ন স্থবির। কিন্তু সুদের টাকা ঠিকই গুনতে হচ্ছে, পাশাপাশি বাড়ছে বাস্তবায়ন ব্যয়। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, অর্থের সংস্থান না করে প্রকল্প অনুমোদন, প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতা, কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, দাতাদের কঠিন শর্ত, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ, অনিয়ম-দুর্নীতি ও লোকবলের সংকটই রেলের অবিকাশের কারণ। কারণ যখন জানা, তখন দশক চলে গেলেও প্রতিকার না হওয়ার কারণ কী? সরকারের উচিত ভেতরের বাধা চিহ্নিত করে তা অপসারণ করা। রেল বিষয়ে পুরোনো গীত আমরা আর শুনতে চাই না।
উন্নত দেশমাত্রই রেলই হলো যোগাযোগ ও মাল পরিবহনের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি হস্তক্ষেপে রেলের প্রাধান্য ক্রমশ খর্ব হয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে রেলের বিকল্প নেই। রেলের স্থবিরতা যাত্রীসেবা ও যোগাযোগব্যবস্থাকে দুর্বল করে রাখছে। যোগাযোগের এহেন সমস্যার কারণে অর্থনীতির গতিও যেন অব্যবস্থাপনার লাগামে বন্দী হয়ে থাকছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সার্বিক উন্নয়ন। দক্ষ ও নিষ্ঠাবান প্রশাসক-পরিকল্পকদের মাধ্যমে রেল খাতের পুনরুজ্জীবন আজ জাতীয় প্রয়োজন।
এই সরকারের নেওয়া ৩৪টি প্রকল্পের ২৩টির কোনো বাস্তব কাজ এখনো শুরু হয়নি। একের পর এক প্রকল্প অনুমোদন করা হলেও টাকার বন্দোবস্ত হয়নি। এমনকি ভারতীয় ঋণে নেওয়া প্রকল্পগুলোও থমকে আছে। আবার যেখানে অর্থ বরাদ্দ আছে, সেখানে দীর্ঘসূত্রতায় বাস্তবায়ন স্থবির। কিন্তু সুদের টাকা ঠিকই গুনতে হচ্ছে, পাশাপাশি বাড়ছে বাস্তবায়ন ব্যয়। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, অর্থের সংস্থান না করে প্রকল্প অনুমোদন, প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতা, কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, দাতাদের কঠিন শর্ত, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ, অনিয়ম-দুর্নীতি ও লোকবলের সংকটই রেলের অবিকাশের কারণ। কারণ যখন জানা, তখন দশক চলে গেলেও প্রতিকার না হওয়ার কারণ কী? সরকারের উচিত ভেতরের বাধা চিহ্নিত করে তা অপসারণ করা। রেল বিষয়ে পুরোনো গীত আমরা আর শুনতে চাই না।
উন্নত দেশমাত্রই রেলই হলো যোগাযোগ ও মাল পরিবহনের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি হস্তক্ষেপে রেলের প্রাধান্য ক্রমশ খর্ব হয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে রেলের বিকল্প নেই। রেলের স্থবিরতা যাত্রীসেবা ও যোগাযোগব্যবস্থাকে দুর্বল করে রাখছে। যোগাযোগের এহেন সমস্যার কারণে অর্থনীতির গতিও যেন অব্যবস্থাপনার লাগামে বন্দী হয়ে থাকছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সার্বিক উন্নয়ন। দক্ষ ও নিষ্ঠাবান প্রশাসক-পরিকল্পকদের মাধ্যমে রেল খাতের পুনরুজ্জীবন আজ জাতীয় প্রয়োজন।
No comments