সাংবাদিক মহাসমাবেশ-৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকারীরা ৭ এপ্রিলের মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে ৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করবেন সাংবাদিকেরা। একই দিনে ঢাকার বাইরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ও ঘেরাও করা হবে।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের মহাসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সাগর-রুনি হত্যাসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মহাসমাবেশে সাংবাদিকদের প্রাতিষ্ঠানিক ঐক্যের ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) যৌথভাবে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। দুই দিন পর পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, ‘তদন্তের প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। কিন্তু ৩৮ দিন পেরোলেও ঘটনার কোনো কিনারা হয়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকেরা দফায় দফায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে রাজনৈতিক আদর্শে বিভক্ত সাংবাদিক সংগঠনগুলো।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএফইউজের অপর অংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সমাবেশে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিক ইউনিয়ন ও অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
মহাসমাবেশে ইকবাল সোবহান বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই তদন্তকারী সংস্থাগুলো সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করবে। আর না করলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, সরিয়ে দিতে হবে দায়িত্ব থেকে।’
ইকবাল সোবহান বলেন, ‘১৯৯২ সাল থেকে রাজনৈতিকভাবে সাংবাদিকদের বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। এর ফলে সাংবাদিকেরা অধিকার হারিয়েছেন, বঞ্চিত হয়েছেন, সহকর্মীদের রক্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এখন সেই হারানো মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। যে দলটি যখন বিরোধী দলে থাকে, তারা সাংবাদিকদের সাহসী হতে বলে। আর সরকারে গেলেই বলে দায়িত্বশীল হতে। আমরা বলতে চাই, সাংবাদিকেরা সবসময়ই সাহসী আর দায়িত্বশীল।’ তিনি ঘোষণা দেন, এখন থেকে সাংবাদিকদের বিভক্ত ইউনিয়নগুলো একীভূত হবে, এক সংগঠনে একজন সভাপতি আর একজন মহাসচিব থাকবেন। কোনো সংগঠন রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত থাকবে না। জেলা-উপজেলাগুলোতেও একটি মাত্র সংগঠন থাকবে।
ইকবাল সোবহান বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছি। এখন আপনারা পুরো স্বাধীনতা নিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করবেন, তা হবে না। আমরা কথা বলব। যদি আপনাদের ক্ষমতা থাকে তাহলে আদালতে দাঁড় করাতে পারেন। পুরো সাংবাদিক সমাজ কাঠগড়ায় হাজির হবে।’
রুহুল আমিন গাজী ৮ এপ্রিলের পর সাংবাদিক সমাজ নিজেরা তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলে উল্লেখ করেন। প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব বিচারপতি বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করছেন, তাঁদের বিরত করুন।
নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দীন আহমেদ বলেন, মানুষ ভাবতে বাধ্য হচ্ছে কোনো কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর পরও যদি সরকার অনড় থাকে তাহলে ঢাকায় সাংবাদিক সামিট (শীর্ষ সম্মেলন) করার প্রস্তাব করেন তিনি।
বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, টিভি চ্যানেল বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। এটা বুঝতে হবে লঞ্চ বন্ধ করা আর টিভি চ্যানেল বন্ধ করা এক কথা নয়। সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না করলে তা বুমেরাং হবে। তথ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি ঢাকা ক্লাবের মন্ত্রী না প্রেসক্লাবের মন্ত্রী, তা পরিষ্কার করতে হবে।’
শওকত মাহমুদ বলেন, এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এখন কারও পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। যিনিই পিছিয়ে যাবেন, তিনিই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।’
ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের সভাপতি কামালউদ্দীন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, আরেক অংশের সভাপতি আবদুস শহীদ, সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইনসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও জেলা থেকে আসা সাংবাদিকেরা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। দুই দিন পর পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, ‘তদন্তের প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। কিন্তু ৩৮ দিন পেরোলেও ঘটনার কোনো কিনারা হয়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকেরা দফায় দফায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে রাজনৈতিক আদর্শে বিভক্ত সাংবাদিক সংগঠনগুলো।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএফইউজের অপর অংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সমাবেশে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিক ইউনিয়ন ও অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
মহাসমাবেশে ইকবাল সোবহান বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই তদন্তকারী সংস্থাগুলো সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করবে। আর না করলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, সরিয়ে দিতে হবে দায়িত্ব থেকে।’
ইকবাল সোবহান বলেন, ‘১৯৯২ সাল থেকে রাজনৈতিকভাবে সাংবাদিকদের বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। এর ফলে সাংবাদিকেরা অধিকার হারিয়েছেন, বঞ্চিত হয়েছেন, সহকর্মীদের রক্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এখন সেই হারানো মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। যে দলটি যখন বিরোধী দলে থাকে, তারা সাংবাদিকদের সাহসী হতে বলে। আর সরকারে গেলেই বলে দায়িত্বশীল হতে। আমরা বলতে চাই, সাংবাদিকেরা সবসময়ই সাহসী আর দায়িত্বশীল।’ তিনি ঘোষণা দেন, এখন থেকে সাংবাদিকদের বিভক্ত ইউনিয়নগুলো একীভূত হবে, এক সংগঠনে একজন সভাপতি আর একজন মহাসচিব থাকবেন। কোনো সংগঠন রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত থাকবে না। জেলা-উপজেলাগুলোতেও একটি মাত্র সংগঠন থাকবে।
ইকবাল সোবহান বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছি। এখন আপনারা পুরো স্বাধীনতা নিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করবেন, তা হবে না। আমরা কথা বলব। যদি আপনাদের ক্ষমতা থাকে তাহলে আদালতে দাঁড় করাতে পারেন। পুরো সাংবাদিক সমাজ কাঠগড়ায় হাজির হবে।’
রুহুল আমিন গাজী ৮ এপ্রিলের পর সাংবাদিক সমাজ নিজেরা তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলে উল্লেখ করেন। প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব বিচারপতি বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করছেন, তাঁদের বিরত করুন।
নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দীন আহমেদ বলেন, মানুষ ভাবতে বাধ্য হচ্ছে কোনো কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর পরও যদি সরকার অনড় থাকে তাহলে ঢাকায় সাংবাদিক সামিট (শীর্ষ সম্মেলন) করার প্রস্তাব করেন তিনি।
বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, টিভি চ্যানেল বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। এটা বুঝতে হবে লঞ্চ বন্ধ করা আর টিভি চ্যানেল বন্ধ করা এক কথা নয়। সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না করলে তা বুমেরাং হবে। তথ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি ঢাকা ক্লাবের মন্ত্রী না প্রেসক্লাবের মন্ত্রী, তা পরিষ্কার করতে হবে।’
শওকত মাহমুদ বলেন, এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এখন কারও পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। যিনিই পিছিয়ে যাবেন, তিনিই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।’
ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, বিএফইউজের একাংশের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের সভাপতি কামালউদ্দীন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, আরেক অংশের সভাপতি আবদুস শহীদ, সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইনসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও জেলা থেকে আসা সাংবাদিকেরা।
No comments