সব কলকারখানায় বর্জ্য নিষ্কাশনব্যবস্থা নিশ্চিত করুন-কর্ণফুলী ও হালদা নদী দূষণ
দেশের নদী, খাল-বিল ও অন্যান্য জলাভূমি দখল ও দূষণের শিকার হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এভাবে কত যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেই ক্ষতির নেতিবাচক প্রভাব যে কত বহুমুখী ও সুদূরপ্রসারী—এ নিয়ে জনসচেতনতার বড্ড অভাব। যাঁরা শিল্পকারখানা চালান, তাঁদের অধিকাংশই পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিতে চান না;
পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের বিধানগুলো যে মেনে চলা বাধ্যতামূলক, এটা তাঁরা জেনেও মানতে চান না। তাই দেখা যায়, অনেক শিল্পকারখানায় বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই, কারখানার বর্জ্য ফেলা হয় নদীতে। অনেক সময় বর্জ্য নিষ্কাশনের এই সুবিধার কথা ভেবেই বুঝি কলকারখানা স্থাপন করা হয় নদীর তীরে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদী দূষণের দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গত বৃহস্পতিবার দুটি কারখানাকে মোট ৫১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। খবরটি ছাপা হয়েছে গতকাল শুক্রবারের প্রথম আলোয়। কারখানা দুটির একটি হচ্ছে ভোজ্যতেল শোধনাগার, অন্যটি কাগজকল। দুটি কারখানার কোনোটিতেই তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) নেই। ভোজ্যতেল শোধনাগারটি চলছে ২০০২ সাল থেকে, অর্থাৎ দীর্ঘ প্রায় নয় বছর ধরে সেটি তরল বর্জ্য ফেলছে একটি খালে, আর সেই খাল বেয়ে বর্জ্য গিয়ে মিশছে নদীর পানিতে। কাগজকলটি অপেক্ষাকৃত নতুন, ২০১০ সালে চালু হয়েছে। কিন্তু এটির দূষণের মাত্রা আরও বেশি। তাই এর বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
যে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, যে কারখানায় তরল বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করা হয়নি, তার তো উৎপাদন শুরু করারই অধিকার নেই। কারণ নিষ্কাশনব্যবস্থার অভাবে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানাটির বর্জ্য খাল, নদী ইত্যাদিতে ফেলবে—এভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের দূষণ ঘটবে। চট্টগ্রামের একটি ভোজ্যতেল শোধনাগার নয় বছর ধরে বর্জ্য শোধনাগার ছাড়াই চলে এসেছে—এটি একটি দৃষ্টান্ত। এ রকম কত শত কলকারখানা কত বছর ধরে বর্জ্য শোধনাগারের অভাবে খাল-বিল, নদী-নালার দূষণ ঘটিয়ে চলেছে, সে হিসাব কি পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে আছে? কয়েক দিন আগে বগুড়ায় করতোয়া নদীতে এক কাগজকলের বর্জ্য ফেলার খবর ছাপা হয়েছে। সে খবরে লেখা হয়েছে, কাগজকলটিতে ইটিপি নির্মাণ করা হয়নি—এই তথ্য জেনে পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। চট্টগ্রামে দুটি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। কারণ একদম কিছুই না করার চেয়ে একটা কিছু করা—অনেক দেরিতে হলেও ভালো। আর এ রকম অভিযান দেশজুড়ে চালালে আরও ভালো হয়।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদী দূষণের দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গত বৃহস্পতিবার দুটি কারখানাকে মোট ৫১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। খবরটি ছাপা হয়েছে গতকাল শুক্রবারের প্রথম আলোয়। কারখানা দুটির একটি হচ্ছে ভোজ্যতেল শোধনাগার, অন্যটি কাগজকল। দুটি কারখানার কোনোটিতেই তরল বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) নেই। ভোজ্যতেল শোধনাগারটি চলছে ২০০২ সাল থেকে, অর্থাৎ দীর্ঘ প্রায় নয় বছর ধরে সেটি তরল বর্জ্য ফেলছে একটি খালে, আর সেই খাল বেয়ে বর্জ্য গিয়ে মিশছে নদীর পানিতে। কাগজকলটি অপেক্ষাকৃত নতুন, ২০১০ সালে চালু হয়েছে। কিন্তু এটির দূষণের মাত্রা আরও বেশি। তাই এর বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
যে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, যে কারখানায় তরল বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করা হয়নি, তার তো উৎপাদন শুরু করারই অধিকার নেই। কারণ নিষ্কাশনব্যবস্থার অভাবে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানাটির বর্জ্য খাল, নদী ইত্যাদিতে ফেলবে—এভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের দূষণ ঘটবে। চট্টগ্রামের একটি ভোজ্যতেল শোধনাগার নয় বছর ধরে বর্জ্য শোধনাগার ছাড়াই চলে এসেছে—এটি একটি দৃষ্টান্ত। এ রকম কত শত কলকারখানা কত বছর ধরে বর্জ্য শোধনাগারের অভাবে খাল-বিল, নদী-নালার দূষণ ঘটিয়ে চলেছে, সে হিসাব কি পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে আছে? কয়েক দিন আগে বগুড়ায় করতোয়া নদীতে এক কাগজকলের বর্জ্য ফেলার খবর ছাপা হয়েছে। সে খবরে লেখা হয়েছে, কাগজকলটিতে ইটিপি নির্মাণ করা হয়নি—এই তথ্য জেনে পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। চট্টগ্রামে দুটি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। কারণ একদম কিছুই না করার চেয়ে একটা কিছু করা—অনেক দেরিতে হলেও ভালো। আর এ রকম অভিযান দেশজুড়ে চালালে আরও ভালো হয়।
No comments