ছিটমহল বিনিময়ের দাবি-পঞ্চগড়ে অনির্দিষ্টকালের গণ-অনশন শুরু
ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে ছিটমহল বিনিময়সহ তিন দফা দাবিতে গতকাল রোববার পঞ্চগড়ে ভারতীয় ছিটমহলে অনির্দিষ্টকালের গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ শাখার উদ্যোগে দেশের ১১১টি ছিটমহলের নেতারা এই অনশনে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের আমরণ অনশনে গতকাল সপ্তম দিন পেরিয়েছে। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চারজন অনশনকারীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার জেম জুট মিল এলাকায় ভারতের পুঁটিমারি ছিটমহলে গতকাল বিকেল চারটায় গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভাপতি মইনুল হক, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, শালবাড়ী ছিটমহলের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, গাড়াতী ছিটমহলের চেয়ারম্যান মফিজার রহমান, কাজলদিঘি ছিটমহলের চেয়ারম্যান জয় প্রকাশসহ দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু অনশনে যোগ দেয়।
সমন্বয় কমিটির নেতারা জানান, ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে অবিলম্বে ছিটমহল বিনিময়, ছিটমহলের জনগণের খাদ্য, বস্ত্র, আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে ‘হয় নাগরিকত্ব, নয় মৃত্যু’ স্লোগানে অনশন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ছিটমহল বিনিময়ে রাজি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের আপত্তির কারণে তা হচ্ছে না। নেতারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক বিবেচনায় সবাইকে তাঁদের আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান।
ছিটমহলবাসীর অনশনে সংহতি প্রকাশ করে অনশন মঞ্চে গিয়ে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ হাসান প্রধান, বোদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত।
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার উদ্যোগে গত সোমবার কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমা শহরের সংহতি ময়দানে অনশন শুরু হয়। ছিটমহলের আটজন প্রবীণ বাসিন্দাসহ সমন্বয় কমিটির একজন নেতা এই অনশন করছেন।
সমন্বয় কমিটি পশ্চিমবঙ্গ শাখার সহসম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই আন্দোলনকে সমর্থনে স্থানীয় বিধায়ক উদয়ন গুহর নেতৃত্বে গতকাল দিনহাটা মহকুমা শহরে নাগরিক মিছিল হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা এপিডিআর, রাজনৈতিক দল সিপিএম, ফরোয়ার্ড ব্লকসহ স্থানীয় বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার জেম জুট মিল এলাকায় ভারতের পুঁটিমারি ছিটমহলে গতকাল বিকেল চারটায় গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভাপতি মইনুল হক, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, শালবাড়ী ছিটমহলের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, গাড়াতী ছিটমহলের চেয়ারম্যান মফিজার রহমান, কাজলদিঘি ছিটমহলের চেয়ারম্যান জয় প্রকাশসহ দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু অনশনে যোগ দেয়।
সমন্বয় কমিটির নেতারা জানান, ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে অবিলম্বে ছিটমহল বিনিময়, ছিটমহলের জনগণের খাদ্য, বস্ত্র, আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে ‘হয় নাগরিকত্ব, নয় মৃত্যু’ স্লোগানে অনশন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ছিটমহল বিনিময়ে রাজি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের আপত্তির কারণে তা হচ্ছে না। নেতারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক বিবেচনায় সবাইকে তাঁদের আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান।
ছিটমহলবাসীর অনশনে সংহতি প্রকাশ করে অনশন মঞ্চে গিয়ে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এ হাসান প্রধান, বোদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত।
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার উদ্যোগে গত সোমবার কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমা শহরের সংহতি ময়দানে অনশন শুরু হয়। ছিটমহলের আটজন প্রবীণ বাসিন্দাসহ সমন্বয় কমিটির একজন নেতা এই অনশন করছেন।
সমন্বয় কমিটি পশ্চিমবঙ্গ শাখার সহসম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই আন্দোলনকে সমর্থনে স্থানীয় বিধায়ক উদয়ন গুহর নেতৃত্বে গতকাল দিনহাটা মহকুমা শহরে নাগরিক মিছিল হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা এপিডিআর, রাজনৈতিক দল সিপিএম, ফরোয়ার্ড ব্লকসহ স্থানীয় বেশ কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে।
No comments