পোশাক শিল্পপল্লী স্থাপন-মালিকদের সহযোগিতা কাম্য
সার্বিক বিবেচনায় পোশাক শিল্পকে রাজধানী ঢাকার পেটের ভেতর থেকে সরিয়ে নেওয়ার যৌক্তিক ধারণাটি এখন একটি গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। বিগত এবং বর্তমান সরকার একাধিকবার উদ্যোগও নিয়েছে পোশাক শিল্পপল্লী তৈরির জন্য। কিন্তু এ স্থানান্তর কেন হচ্ছে না, সে প্রশ্নে পোশাক শিল্প মালিকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ এবং সরকারের পক্ষ থেকে
পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে আসছে। পোশাক শিল্প মালিকরা বলছেন, শিল্পপল্লী স্থাপনে সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। পক্ষান্তরে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, শিল্প মালিকদের অনাগ্রহই এ জন্য দায়ী। একটি বিষয় অনুমেয় যে একটি গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধীন ব্যবসায়ী সম্প্রদায় যদি তাঁদের শিল্পপ্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে না চান তাহলে সরকারের পক্ষে তা চাপ প্রয়োগ করে সরিয়ে দেওয়া কঠিন কাজ। জানা গেছে, বিএনপি সরকারের সময় ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পোশাক শিল্পপল্লী তৈরির জন্য প্রাথমিক জমি নির্বাচন করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী ২০০৩ সালে বস্ত্র মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএর সঙ্গে সরকারের একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু তা থেমে যাওয়ার কারণ এখনো অস্পষ্ট। বর্তমান সরকারও ঢাকার অদূরে তিনটি বন্ধ বস্ত্র কারখানার জমি পোশাক খাতে বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এখন এ শিল্প মালিকরা সম্মত হলেই এর বাস্তবায়ন সম্ভব।
পোশাক শিল্প মালিকদের এখন বিষয়টি গভীরভাবে ভাবতে হবে। এ শিল্প বলিষ্ঠ করে টিকিয়ে রাখা যেমন জরুরি, তেমনি এ শিল্পকে ঘিরে যেসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে সেগুলো দূর করাও জরুরি। পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, অনূ্যন পাঁচ হাজার পোশাক তৈরির কারখানার ৮০ শতাংশই ঢাকা এবং তার আশপাশে অবস্থিত। যে কারণে ঢাকা শহরে স্থবির অবস্থা তৈরি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান শিল্পপল্লীতে সরিয়ে নিলে এই ঢাকা শহর অনেক সচল হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, পোশাক শিল্পের পরিবহনজনিত জটিলতাও দূর হবে। রাজধানীর বাইরে আশপাশ এলাকায় বরং এসব প্রতিষ্ঠান অনেক বেশি সুশৃঙ্খলভাবে চলতে পারে। শ্রমিকদের বসবাস এবং যাতায়াতও অনেক বেশি সহজতর হয়ে উঠবে। শ্রমিকদের ব্যয়ভার কমে যাওয়ায় তাঁরা যেমন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, তেমনি তাঁদের কাজেও গতি আসবে। অন্যদিকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে কারখানা থাকায় যে খরচ হচ্ছে তাও বেশ লাঘব হবে। সুতরাং ঘরের কাছে কারখানা থাকার আত্মতৃপ্তির বিষয়টি মালিকদের ত্যাগ করা উচিত। মালিকদের বুঝতে হবে, ঢাকা শহর থেকে পোশাক শিল্প সরিয়ে নেওয়া যৌক্তিক এবং জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে মালিকদের সহযোগিতা সব মহলের কাছে প্রত্যাশিত।
পোশাক শিল্প মালিকদের এখন বিষয়টি গভীরভাবে ভাবতে হবে। এ শিল্প বলিষ্ঠ করে টিকিয়ে রাখা যেমন জরুরি, তেমনি এ শিল্পকে ঘিরে যেসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে সেগুলো দূর করাও জরুরি। পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, অনূ্যন পাঁচ হাজার পোশাক তৈরির কারখানার ৮০ শতাংশই ঢাকা এবং তার আশপাশে অবস্থিত। যে কারণে ঢাকা শহরে স্থবির অবস্থা তৈরি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান শিল্পপল্লীতে সরিয়ে নিলে এই ঢাকা শহর অনেক সচল হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, পোশাক শিল্পের পরিবহনজনিত জটিলতাও দূর হবে। রাজধানীর বাইরে আশপাশ এলাকায় বরং এসব প্রতিষ্ঠান অনেক বেশি সুশৃঙ্খলভাবে চলতে পারে। শ্রমিকদের বসবাস এবং যাতায়াতও অনেক বেশি সহজতর হয়ে উঠবে। শ্রমিকদের ব্যয়ভার কমে যাওয়ায় তাঁরা যেমন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, তেমনি তাঁদের কাজেও গতি আসবে। অন্যদিকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে কারখানা থাকায় যে খরচ হচ্ছে তাও বেশ লাঘব হবে। সুতরাং ঘরের কাছে কারখানা থাকার আত্মতৃপ্তির বিষয়টি মালিকদের ত্যাগ করা উচিত। মালিকদের বুঝতে হবে, ঢাকা শহর থেকে পোশাক শিল্প সরিয়ে নেওয়া যৌক্তিক এবং জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে মালিকদের সহযোগিতা সব মহলের কাছে প্রত্যাশিত।
No comments